প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২০:৫৮ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, রমজান মাসে জনসাধারণ যেন সহজে প্রাণিজ আমিষের চাহিদা মেটাতে পারে, সে লক্ষ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় মাসব্যাপী সুলভ মূল্যে ভ্রাম্যমাণ দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রি শুরু করবে।
এ কর্মসূচির আওতায় পাস্তুরিত তরল দুধ প্রতি লিটার ৮০ টাকা, গরুর মাংস প্রতি কেজি ৬৫০ টাকা, ড্রেসড ব্রয়লার প্রতি কেজি ২৫০ টাকা এবং ডিম প্রতি ডজন ১১৪ টাকা দরে বিক্রয় করা হবে।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) নিজ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে আসন্ন রমজান মাসে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম এবং বিগত ৬ মাসে মন্ত্রণালয়ের কাজের অগ্রগতি বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ফরিদা আখতার বলেন, প্রথম রমজান থেকে শুরু হয়ে ২৮ রমজান পর্যন্ত দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রি করা হবে। ঢাকা শহরের ২৫টি স্থানে এ ব্যবস্থা চালু থাকবে। সুলভ মূল্যে প্রাণিজাত পণ্য বিক্রয়ের ক্ষেত্রে জুলাই বিপ্লবের সময় যে সকল স্থানে সাধারণ মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণ বেশি ছিল, সে সকল স্থানকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।
মৎস্য উপদেষ্টা বলেন, সামুদ্রিক জলসীমায়ও ইলিশ ও অন্যান্য মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে মৎস্য আহরণের ওপর প্রতি বছর ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত মাছ ধরা নিষিদ্ধ। কিন্তু এ সময়কাল পার্শ্ববর্তী দেশের সঙ্গে সমন্বয় না থাকায় মাছ আহরণে ওই দেশের মৎস্যজীবীরা সুযোগ নিচ্ছে। ফলে সব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে বঙ্গোপসাগরে বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ অধিকাংশ মাছের ব্রিডিং পিরিয়ড এপ্রিল থেকে জুন হওয়ায় ১৫ এপ্রিল হতে ১১ জুন পর্যন্ত মোট ৫৮ দিন বঙ্গোপসাগরে সকল ধরনের মাছ ধরা বন্ধ রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, সারা বছর পাঠানো না গেলেও অধিক ইলিশ প্রাপ্তির সময় আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে প্রবাসীদের জন্য ইলিশ পাঠানোর ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। প্রাথমিকভাবে সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে মোট ১১ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করা হবে। এ বছর আগস্ট, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে যা কার্যকর করার পরিকল্পনা রয়েছে।