ফসিহ উদ্দীন মাহতাব
প্রকাশ : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১১:২১ এএম
প্রবা গ্রাফিক্স
জেলা প্রশাসনের প্রধান হিসেবে জেলা প্রশাসকরা (ডিসি) আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত জেলা কমিটির সভাপতি। তাদের সভাপতিত্বেই এ কমিটির সভায় কমিটিভুক্ত সব সদস্য উপস্থিত থাকার কথা। কিন্তু অধিকাংশ জেলাতেই জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি) সভায় উপস্থিত হন না বলে ঢের অভিযোগ রয়েছে। যে কারণে অনেকাংশেই ফলপ্রসূ সভা হয় না। এমন অভিযোগ অতীতের সরকারপ্রধানের কার্যালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগসহ জেলা প্রশাসক সম্মেলনেও উত্থাপন হয়েছে। এরপরও সরকার তা আমলে নেয়নি। এবারও জেলা প্রশাসক সম্মেলন ২০২৫-এ একাধিক জেলা প্রশাসক বিষয়টি উত্থাপন করে প্রস্তাব ও সুপারিশ জানিয়েছেন। তার মধ্যে অন্যতম হলোÑ জেলার পুলিশ সুপার ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদন (এসিআর) প্রদানের ক্ষমতা জেলা প্রশাসকদের হাতে দেওয়া।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে গতকাল রবিবার জেলা প্রশাসক সম্মেলন উদ্বোধন হয়েছে। ওই সভায় আসন্ন রমজানে দ্রব্যমূল্য যেকোনো মূল্যে নিয়ন্ত্রণে রাখা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ অন্যান্য বিষয়ে ডিসিদের নির্ভয়ে কাজ করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস নির্দেশনা দিয়েছেন। কারও চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে এসব দায়িত্ব পালনে জেলা প্রশাসকদের অভয়ও দিয়েছেন তিনি।
সম্মেলনের উদ্বোধনীতে বক্তব্য দেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশিদ, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম ও পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক ছবেদ আলী।
দুপুর ১২টা থেকে টানা ৪৫ মিনিট প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন একাধিক ডিসি ও বিভাগীয় কমিশনাররা। এ সময় সরকারপ্রধানের সামনে মাঠ প্রশাসনের সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরেন ডিসিরা। প্রধান উপদেষ্টা তাদের সব বক্তব্য মনোযোগ দিয়ে শোনেন এবং তাদেরকে নানা পরামর্শ দেন। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সভায় অংশ নেওয়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক জেলা প্রশাসক বলেন, সম্মেলনে জেলা প্রশাসকদের প্রস্তাবনার ওপরই তারা কথা বলেছেন। অনেকেই জেলার আইনশৃঙ্খলা নিয়ে কথা বলেছেন। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখার ক্ষেত্রে প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, কমিটির প্রধান জেলা প্রশাসক সভা আহ্বান করলেও তাতে পুলিশ সুপাররা আসেন না। একজন প্রতিনিধিকে পাঠানো হয়। তাই জেলার আইনশৃঙ্খলা সম্পর্কে অনেক ক্ষেত্রে পরিপূর্ণ অবগত থাকতে পারেন না তারা। অথচ জেলার সব উন্নয়ন-অগ্রগতিসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সংক্রান্ত প্রতিবেদন বিভাগীয় কমিশনারের মাধ্যমে সরকারপ্রধানের কার্যালয় ও মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে উপস্থাপন করতে হয়।
প্রতিটি জেলা প্রশাসক সম্মেলনেই ডিসিরা সংক্ষিপ্ত বিচারসহ ফৌজদারি কার্যবিধির (সিআরপিসি) কয়েকটি ধারার ক্ষমতা ফিরে পাওয়ার প্রস্তাব দিয়ে আসছেন। এরপরও বাস্তবায়ন হয় না। অতীতে জেলা প্রশাসকরা পুলিশ সুপারের বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদন (এসিআর) লিখতেন। যে কারণে জবাবদিহিতা থাকত। তাই এসিআর লেখার ক্ষমতা ডিসিদের ফিরিয়ে দেওয়া দরকার।
অন্যদিকে বিচার বিভাগ পৃথকীকরণের পর মাঠপর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখাসহ বিভিন্ন প্রশাসনিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতেও সমস্যা হচ্ছে। এমন পরিপ্রেক্ষিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে তারা লিখিত প্রস্তাব দিয়েছেন। এসব বাস্তবায়ন হবে বলে তারা আশা করছেন।
সূত্র বলছে, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পুলিশকে আরও জবাবদিহিতার আওতায় আনতে সরকার কাজ করছে। কারণ পতিত সরকারের ১৫ বছরের শাসনামলে পুলিশের ক্ষমতার ব্যাপক অপব্যবহার ঘটেছে। ফলে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। বিরোধীদের দমনে রাজনৈতিকভাবে পুলিশকে ব্যবহার করা হয়েছে। তাদের কর্মকাণ্ডে সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ হয়। তাই পুলিশকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কাজ করছে।
এ লক্ষ্যে অতীতের মতো জেলা প্রশাসকদের পুলিশ সুপারের বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদন দেওয়ার ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে একাধিক জেলা প্রশাসক প্রস্তাব দিয়েছেন। শুধু জেলায় নয়, উপজেলা পর্যায়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) গোপনীয় প্রতিবেদন দেওয়ার ক্ষমতা দিতেও প্রস্তাব করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিলেট বিভাগের এক জেলা প্রশাসক প্রস্তাবনায় বলেছেন, পুলিশের ওপর নিয়ন্ত্রণ না থাকায় তারা অতীতের মতোই নিজেদের ইচ্ছায় কাজ করছে। মাঠপর্যায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মতো ক্ষমতা প্রয়োগের সুযোগ না থাকায় অন্য কোনো অপরাধের ক্ষেত্রে অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা সম্ভব হয় না। শহর-বন্দরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে যেকোনো অপরাধের বিচার দ্রুত করা সম্ভব হওয়ায় অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।
দক্ষিণাঞ্চলের এক ডিসি প্রস্তাবনায় উল্লেখ করেন, জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। প্রকৃতপক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর কোনো দাপ্তরিক নিয়ন্ত্রণ না থাকায় অনেক ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন কঠিন হয়ে পড়ে। এ কারণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ক্ষেত্রে বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদন জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিয়ন্ত্রণে রাখা প্রয়োজন। তাদের পারফরম্যান্স সম্পর্কে ডিসি ও ইউএনওদের মাধ্যমে গোপনীয় প্রতিবেদন নেওয়া দরকার।
অন্যান্য ডিসি ভিন্ন ভিন্ন প্রস্তাব দিয়েছেন। এর মধ্যে গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান প্রস্তাবনায় উল্লেখ করেছেন, নাগরিক সেবা দ্রুত সম্পাদন করতে প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে ইন্টারনেট সুবিধা বিদ্যমান। সেখানে ইন্টারনেট সেবার পাশাপাশি ব্যক্তি পর্যায়ে মাঠপ্রশাসনে কর্মরত সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীর মোবাইল ও ইন্টারনেট সেবা সচল থাকা বাঞ্ছনীয়। তাই মাঠ পর্যায়ে সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীর মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট ভাতা চালু থাকা আবশ্যক।
ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আওয়াল বলেন, সার্কিট হাউসে আগত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। এ ছাড়াও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে রেকর্ড রুমে গুরুত্বপূর্ণ রেকর্ডপত্র, স্ট্যাম্প ও মূল্যবান দ্রব্যাদি সংরক্ষিত থাকায় সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা জরুরি। এজন্য শুধু সার্কিট হাউস ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের পাশাপাশি জেলা ও দায়রা জজ আদালত, পুলিশ সুপারের কার্যালয়কে কেপিআইভুক্ত (কি পয়েন্ট ইনস্টলেশন) ও সার্বক্ষণিক নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা আবশ্যক। এজন্য কেপিআইভুক্ত নিরাপত্তা নীতিমালা, ২০১৩ প্রয়োজনীয় সংশোধন করার সুপারিশ করেন তিনি।
ঢাকা জেলা প্রশাসক তানভীর আহমেদ বলেন, বর্তমানে ঢাকা জেলা প্রশাসকের ভবনটি অত্যন্ত জরাজীর্ণ ও পুরাতন। রেকর্ড সংরক্ষণের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ অফিস কক্ষ নেই। জরুরি ভিত্তিতে জেলা প্রশাসকের নতুন ভবন নির্মাণ করা দরকার।
এর আগে সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে তিন দিনব্যাপী এই জেলা প্রশাসক সম্মেলনের উদ্বোধন করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। উদ্বোধন শেষে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে শুরু হয়েছে কার্য অধিবেশন। তিন দিন ধরে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ সম্পর্কিত কার্য অধিবেশনগুলো চলবে এখানে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানসহ মোট ৩৪টি অধিবেশন হবে।
সম্মেলন উপলক্ষে ডিসি ও বিভাগীয় কমিশনারদের পক্ষ থেকে দেওয়া প্রায় ১ হাজার ৫০টি প্রস্তাবের মধ্যে আলোচনার জন্য ৩৫৪টি প্রস্তাব নির্ধারণ করা হয়েছে।
ডিসিদের সুন্দর নিদর্শন রাখা ও শিক্ষায় অনিয়ম বন্ধের নির্দেশ
শহরগুলোতে একটি করে সুন্দর নিদর্শন রেখে যাওয়া এবং শিক্ষা প্রশাসনে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধে ডিসিদের নির্দেশনা দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। গতকাল বিকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের প্রথম দিনে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ এবং পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ সম্পর্কিত কার্য অধিবেশনে ডিসিদের এই নির্দেশনা দেন শিক্ষা উপদেষ্টা।
পরে শিক্ষা ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত অধিবেশন শেষে আলোচনার বিষয়বস্তু সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরেন তিনি।
গতকাল বিকালে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিষয়ক কার্য অধিবেশন শেষে শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘ডিসিদের রেখে যাওয়া ভালো কাজ দেখে যেন অনেকেই মনে করেন, তিনি ওই সময়ে ওই জেলা বা শহরের জেলা প্রশাসক ছিলেন। তারা জেলায় একটা সুন্দর দিঘি, স্টেডিয়াম, স্কুল বা একটা সুন্দর পার্ক নির্মাণ করতে পারেন।’
শিক্ষা উপদেষ্টা আরও বলেন, শিক্ষায় অনেক অনিয়ম-দুর্নীতি রয়েছে। সেগুলোতে নজরদারি করতে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) নির্দেশনা দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। অনেক শিক্ষক ঠিকমতো বেতন-ভাতা পান না। আবার কোথাও কোথাও স্কুল পরিদর্শক দ্বারা শিক্ষকরা হেনস্থার শিকার হন। তবে সেক্ষেত্রে দুপক্ষের দোষও থাকতে পারে। এসব নজরদারি করতে ডিসিদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, বিগত সময়ে পরিচালনা পর্ষদ থেকে চলে গেছেন এবং চর দখলের মতো আবার নতুন প্রভাবশালীরা এসে দখল করার চেষ্টা করেছেন। প্রাথমিকভাবে বেসরকারি স্কুল-কলেজের পরিচালনা পর্ষদগুলো ভেঙে দিয়ে প্রশাসক নিয়োগ করা হয়েছিল। কিন্তু ডিসি-ইউএনওদের এতগুলো দায়িত্ব নেওয়া কঠিন। সে কারণে বেসরকারি স্কুল-কলেজের পরিচালনা পর্ষদগুলো আবার শুরু করতে বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক চাপ প্রতিহত করে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে স্থানীয় যারা ভালো ও সৎ মানুষ আছেন, তাদের মধ্যে সরকারি চাকরিজীবী আছেন, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আছেন, এ ধরনের মানুষদের যেন পরিচালনা পর্ষদে নেওয়া হয়। যাতে শিক্ষকেরা তাদের সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে হেনস্থা না হন। পরিচালনা পর্ষদে বিএ পাস বা এমএ পাস ব্যক্তিকে নিয়োগ দিতে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল। যে কারণে ডিসিদের পক্ষে রাজনৈতিক চাপ সামলাতে অনেকটা সুবিধা হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের নামে কোথাও কিছু হবে না শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, আজকাল তো রাজনীতিকের নামে ছাড়া কিছু হয় না। তবে অন্তর্বর্তী সরকারের কারও নামে কোথাও কিছু হবে না। কোনো ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হবে না। সরকারের একমাত্র কাজ হলো একটা সুন্দর নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাওয়া।
পরিকল্পনা বিভাগ সম্পর্কিত নির্দেশনার কথা জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, এখন স্থানীয় পর্যায়ে যে প্রকল্পগুলো চলছে, এগুলোয় অনেক অসুবিধা তৈরি হয়েছে। তার কারণ অনেকগুলো প্রকল্পে যে ঠিকাদার ছিলেন তাদের আর পাওয়া যাচ্ছে না। অনেক প্রকল্প অসমাপ্ত রয়ে গেছে। আগে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ছিলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হলেও অনেক প্রকল্পের চাহিদা ছিল। এখন তা আর নেই। নিজেদের উদ্যোগে স্থানীয়ভাবে যেগুলো দরকার, যেমন রাস্তাঘাট নির্মাণ, অনেক রাস্তা আছে কিন্তু সেতু নষ্ট হয়ে গেছে, কোথাও স্কুলঘরের ভগ্নদশাÑ এগুলোর বিষয়ে নতুন করে কী ধরনের প্রকল্প নিতে হবে, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা সরাসরি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠাতে ডিসিদের বলা হয়েছে। আর যে প্রকল্পগুলো আধাসমাপ্ত রেখে ঠিকাদারেরা চলে গেছেন, সেগুলো কী করে আবার শুরু করে শেষ করা যায় এবং জনহিতকর প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন যেন বিঘ্নিত না হয়, সে বিষয়েও ডিসিদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।