প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৫:০৪ পিএম
আপডেট : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৬:৫৫ পিএম
আলোচিত আয়নাঘর পরিদর্শন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। প্রবা ফটো
দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমের প্রতিনিধি ও ভুক্তভোগীদের সঙ্গে নিয়ে বহুল আলোচিত বন্দিশালা আয়নাঘর পরিদর্শন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
পরিদর্শন শেষে তিনি
জানান, সবক্ষেত্রে আইয়ামে জাহেলিয়াত (অন্ধকার যুগ) প্রতিষ্ঠা করে গেছে আওয়ামী লীগ
সরকার। যারা এমন অপরাধের সঙ্গে জড়িত তাদের বিচার করা হবে।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি)
বেলা সাড়ে ১২টার দিকে আয়নাঘর পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা জানান।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এই আয়নাঘরের নৃশংসতার কথা যত শুনি অবিশ্বাস্য লাগে। এটা কি আমাদেরই জগত, আমাদের সমাজ? যারা নিগৃহীত হয়েছেন, যারা নৃশংসতার শিকার হয়েছেন, তারাও আমাদের সঙ্গে আছেন। তাদের মুখ থেকে শুনলাম কীভাবে এখানে নির্যাতন করা হয়েছে।’
ড. ইউনূস বলেন, ‘বিনা কারণে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে আসা হতো। বিনা দোষে কতগুলো সাক্ষী হাজির করে তাদেরকে বানিয়ে দেওয়া হতো জঙ্গি। এরকম টর্চার সেল সারা বাংলাদেশ জুড়ে আছে বলেও আজকে শুনলাম।’
ভুক্তভোগীর সংখ্যা নিয়ে তিনি বলেন, ‘কয়েকজন ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা বলেছি। ভুক্তভোগীর
সংখ্যা আমার জানামতে প্রায় সাড়ে ১৭শ’। অজানা কত সেটা তো আর জানি না। কেউ কেউ বলছেন,
এটা ৩ হাজারেরও বেশি হতে পারে।’
দেশের বিভিন্ন জায়গায় আরও আয়নাঘর আছে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আজ শুনলাম আয়নাঘরের বিভিন্ন ভার্সন সারা বাংলাদেশ জুড়ে আছে। কেউ বলছে ৭০০, কেউ বলছে ৮০০। এটির সংখ্যাও নিরূপণ করা যায় না।’
তিনি বলেন, ‘গত সরকার আইয়ামে জাহেলিয়াত প্রতিষ্ঠিত করে গেছে
সবক্ষেত্রে। আয়নাঘর তার একটা নমুনা। কিভাবে একটি দেশকে সবদিক থেকে ধ্বংস করা যায়, একেবারে
সামান্যতম যে মানবিক অধিকার, সেটুকু থেকেও বঞ্চিত করে রাখা হয়েছিল।’
আয়নাঘরের সন্ধান পাওয়া
এসব স্থাপনা সিলগালা করা হবে বলে জানান প্রধান উপদেষ্টা।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার
দিকে বিদেশি গণমাধ্যমকর্মী ও ভুক্তভোগীদের নিয়ে আয়নাঘর পরিদর্শনে যান প্রধান উপদেষ্টা
ও কয়েকজন উপদেষ্টা। তারা প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদফরের (ডিজিএফআই) যৌথ জিজ্ঞাসাবাদ
সেল এবং র্যাব-২ এর সিপিসি-৩ এর ভেতরের সেলগুলো পরিদর্শন করেন।