নৌবাহিনীকে লক্ষ্য করে সন্ত্রাসীদের বোমা বিস্ফোরণ

ডেভিল হান্ট অভিযানে নৌবাহিনীকে লক্ষ্য করে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়।  এছাড়া নৌবাহিনী পৃথক অভিযান চালিয়ে আরও পাঁচ সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেছে। 

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাতে হাতিয়ার ৬নম্বর চরকিং ইউনিয়নের কলেজ রোডে কাওসার মিয়ার ব্রিকফিল্ড এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে।

আটক ব্যক্তিরা হলেন-  মো. নবির উদ্দিন, মো. ইমাম হোসেন ও মো. ফখরুল ইসলাম টিপু।

আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এসব তথ্য জানিয়েছে। 

আইএসপিআর জানিয়েছে, সরকারের নির্দেশনায় অপারেশন ডেভিল হান্টের আওতায় বাংলাদেশ নৌবাহিনী দায়িত্বপ্রাপ্ত এলাকাসমূহে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসছে। অভিযান চলাকালে সোমবার দিবাগত রাতে গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে জানা যায় হাতিয়া থানার ৬নম্বর চরকিং ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডের কলেজ রোডের হাজী আবুল বাশার মার্কেটের বিপরীতে কাওসার মিয়ার ব্রিকফিল্ড এলাকায় বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী অবস্থান করছে। নৌবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনীর একটি দল তৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে যায়। সন্ত্রাসীরা উপস্থিতি টের পেয়ে সেখানে বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে নবির উদ্দিন, ইমাম হোসেন ও ফখরুল ইসলাম টিপুকে আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল (ম্যাগাজিন ও ১ রাউন্ড গুলিসহ), তিনটি একনলা দেশিয় বন্দুক, আটটি  কার্তুজ, ২০টি ককটেল, দুইটি ডেগার, তিনটি ক্রিজ ও একটি তলোয়ার উদ্ধার করা হয়।

অপর দিকে চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপে পরিচালিত অভিযানে হুমায়ুন কবির ওরফে বাবুল নামক এক সন্ত্রাসীকে তার নিজ বাড়ি থেকে আটক করা হয়। আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নিজ নিজ এলাকায় হত্যা, ডাকাতি, মাদক ও চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া মোংলা বন্দর ও দিগরাজ এলাকায় অন্য আরেকটি যৌথ অভিযানে চারজনকে অস্ত্রসহ আটক করা হয়। এ সময় একটি দুইনলা বিদেশি বন্ধুক ও ১৫ রাউন্ড তাজা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। যৌথবাহিনীর অভিযানসমূহে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সঙ্গে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ও পুলিশ অংশগ্রহণ করে।