ধানমন্ডি ৩২
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০০:০৫ এএম
ধানমন্ডি ৩২ নাম্বার শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভাঙার ষষ্ঠ দিনেও অবশিষ্ট যা আছে, তা নেওয়ার কার্যক্রম চলছে। ছবি : সংগৃহীত
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভাঙার ষষ্ঠ দিনেও থামেনি মানুষের ঢল। বিভিন্ন অংশ ভেঙে অবশিষ্ট যা আছে, তা নেওয়ার কার্যক্রম এখনও চলছে।
দুই ভবনের মাঝের দুই অংশে কয়েকজনকে মাটি খুঁড়তে দেখা যায়। কি করছেন জানতে চাইলে এক ব্যক্তি বলেন ‘কিছু পাওয়া যায় কিনা দেখছি। একজন তার, পাইপ- এগুলো পেয়েছেন। এখানেও অবশ্যই কিছু পাব।’
তিনি আরও বলেন ‘আপনারা যে যার ইচ্ছা দেখতে পারেন, কিছু পান কিনা। আমরা যেমন নিজ উদ্যোগে এসেছি, আপনারাও দেখতে পারেন। কেউ বাধা দিবে না।’
আব্দুল মান্নান নামের একজন এসেছেন পরিবার নিয়ে। তিনি বলেন ‘প্রথমদিন এসেছিলাম ভাঙা দেখতে। সেদিন উদ্বোধন করে দিয়ে গিয়েছি। আজ এসেছি পরিবার নিয়ে যে এখন কি অবস্থায় আছে।’
আরেকজন দর্শনার্থী বলেন ‘আমি আজই প্রথম এসেছি। সবার কাছে শুনেছি। আজ দেখতে এলাম।’
এদিকে বাড়ি ভাঙার পরদিন থেকে লোকমুখে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় চাউর হয়, বাড়ির নিচে আয়নাঘর পাওয়া গেছে। সেটি দেখতে মানুষের ভিড় যেন বেড়েই চলেছে।
সরজমিনে দেখা যায়, ডানপাশের ভবনের পাশেই রয়েছে নিচে নামার সিঁড়ি। সেখানে দোতলা বেইজমেন্ট এর মতো ঘর। কিছু অংশে পানি জমে আছে।
অন্ধকার ঘরে লোকজনের ভিড়। তবে তারা বলছেন, আমরা আয়নাঘর ভেবেই এসেছিলাম। এখন দেখি কিছুই নেই। দেখে মনে হচ্ছে গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা।
আরেকজন বলেন ‘শুনেছিলাম কঙ্কালসহ অনেক কিছু পাওয়া গেছে। কিন্তু দেখিনি। এখন মনে হচ্ছে কিছুই ছিল না।’
গত বুধবার আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শেখ হাসিনার ভাষণের ঘোষণা দেওয়া হয়। এর প্রতিবাদে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সংগঠনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ এক ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘হাসিনাকে বক্তব্য প্রকাশের সুযোগ দেওয়াকে বাংলাদেশের ফ্যাসিবাদবিরোধী জনগণের বিরুদ্ধে ভারতের যুদ্ধ হিসেবে দেখি।’
পরে ওইদিনই সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ফেসবুকে আরেক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আজ রাতে বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদের তীর্থভূমি মুক্ত হবে।’
তারপর রাত ৮টার পর থেকেই ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে জড়ো হতে শুরু করে ছাত্র-জনতা। ৯টার দিকে ভবনটির তৃতীয় তলায় অগ্নিসংযোগ করা হয়। সাড়ে ১০টার দিকে বাড়িটির সামনে একটি ক্রেন নিয়ে আসা হয়, পরে আসে একটি এক্সাভেটর। ভেঙে ফেলা হয় ভবনের সামনের অংশ।
সূত্র : ইউএনবি