প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৩:১৬ পিএম
আপডেট : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৪:৩১ পিএম
নির্বাচন ভবন। ছবি: সংগৃহীত
নির্বাচন কমিশন (ইসি) এনআইডি সেবা গ্রহণকারী পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তথ্য পাচারের প্রমাণ পেয়েছে বলে জানিয়েছেন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এনআইডি যাচাই সেবা গ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।
এনআইডির তথ্য ফাঁসে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম পোর্ট অথরিটি, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আইবাস, ইউসিবি ব্যাংকের উপায়।
ইসি সচিব বলেন, ‘এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে শোকজ করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর অসতর্কতায় না ইচ্ছেকৃত এটা হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদি কেউ স্বপ্রণোদিতভাবে এটা করে থাকে তাহলে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।’
আখতার আহমেদ জানান, ১৮২টি প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে এনআইডি’র তথ্য যাচাই করে। বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান থেকে আবার অন্য প্রতিষ্ঠানে সেবা নিচ্ছে, যা চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে। কোন প্রতিষ্ঠানের কতটুকু তথ্য প্রয়োজন, যতোটুকু নিচ্ছে তা বেশি নিচ্ছে কি না অংশীজনদের সাথে তা পর্যালোচনা করা হবে। ডেটা ইউজের ক্ষেত্রে একটা সীমা রাখা উচিত। ওপেন রেখে চোরকে দোষ দেওয়া যাবে না।
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) থেকে নাগরিকের তথ্য ফাঁসের ঘটনা নিয়ে তোলপাড় হয় সারা দেশে। সেই সময় প্রতিষ্ঠানটি দায় এড়ালেও পুনরায় যাচাই-বাছাই করে নাসির উদ্দিন কমিশন।
নিবন্ধনের তথ্য-উপাত্ত যাচাই-বাছাইয়ের চুক্তি লঙ্ঘন করার বিষয় প্রমাণ হলে বিগত বছরের ২০ ডিসেম্বর বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে নির্বাচন কমিশন। বিসিসির পর এবার পাঁচ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তথ্য পাচারের প্রমাণ পেল ইসি।