পণ্য বাজার
প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২২:৪৯ পিএম
ফাইল ছবি
দেশের বাজারে ফের স্বর্ণের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। ভরিতে এবার সর্বোচ্চ ২ হাজার ৯২৮ টাকা বাড়িয়ে নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন করে দাম বাড়ানোর ফলে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম হবে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৮১৮ টাকা। স্বর্ণের এই দাম দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এর আগে গত ১ ফেব্রুয়ারি দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ১ লাখ ৪৪ হাজার ৮৯০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল স্বর্ণের দাম।
গতকাল বুধবার বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নতুন দাম নির্ধারণের কথা জানানো হয়েছে।এতে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার থেকে স্বর্ণের নতুন দাম কার্যকর হবে।
এর আগে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম বেড়ে রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছে। মূলত যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের পাল্টাপাল্টি শুল্কারোপের কারণে স্বর্ণের দাম এতটা বেড়েছে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের। গতকাল স্পট গোল্ডের দাম আউন্সপ্রতি শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে ২ হাজার ৮৫৫ ডলারে দাঁড়িয়েছে। আগের সেশনে এই স্বর্ণের দাম বেড়ে রেকর্ড সর্বোচ্চ ২ হাজার ৮৫৮ দশমিক ১২ ডলার হয়। একই সময়ে মার্কিন স্বর্ণের দাম আউন্সপ্রতি শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ বেড়ে ২ হাজার ৮৮৪ দশমিক ৬০ ডলার হয়েছে। খবর রয়টার্সের
এশিয়া প্যাসিফিকের জন্য ওএনডিএর সিনিয়র বাজার বিশ্লেষক কেলভিন ওং বলেছেন, বর্তমান বাণিজ্য পরিস্থিতির কারণে স্বর্ণের দাম বাড়ছে। কারণ সেইফ হ্যাভেনে চাহিদা অব্যাহত রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা ১০ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পাল্টা ব্যবস্থা নিয়েছে চীন। এখন থেকে মার্কিন পণ্যগুলোতেও ১০ থেকে ১৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে চীন।
বেইজিং জানিয়েছে, মার্কিন কয়লা ও তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) আমদানির ওপর ১৫ শতাংশ শুল্ক বসানো হবে। এ ছাড়া ক্রুড অয়েল, কৃষি যন্ত্রপাতি, পিকআপ, ট্রাক ও বড় ইঞ্জিনযুক্ত গাড়ির ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে।
চীন সরকার জানিয়েছে, নিজেদের স্বার্থ রক্ষায় যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম বেইজিং। আর মূলত অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষা করতে ও মার্কিন শুল্কনীতির বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া জানাতেই পাল্টা এই শুল্ক বসানো হয়েছে। গত মঙ্গলবার থেকে চীনা পণ্যের ওপর নতুন শুল্ক কার্যকর করে মার্কিন প্রশাসন। ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, চীনের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমানো ও মার্কিন শিল্প রক্ষা করাই এই শুল্ক আরোপের প্রধান উদ্দেশ্য।