ভোটার হালনাগাদ
প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১২:৪৮ পিএম
আপডেট : ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১২:৪৯ পিএম
ফাইল ফটো
বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন (ইসি) সফলভাবে ভোটার হালনাগাদের কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে। ২০ জানুয়ারি শুরু হওয়া তথ্য সংগ্রহের কাজ শেষ হয়েছে ৩ ফেব্রুয়ারি।
এবারের হালনাগাদ কার্যক্রমে মোট ৪৭ লাখের বেশি নাগরিকের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে, যার মধ্যে ১০ লাখ ৩৯ হাজার ২২০ জন মৃত ভোটারের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে।
নতুন ভোটার হিসেবে ৩৭ লাখ ৪৫ হাজার ৭৮৪ জন নাগরিকের তথ্য যুক্ত করা হয়েছে। তবে চূড়ান্ত সংখ্যা সোমবারের তথ্য যোগ হওয়ার পর সামান্য পরিবর্তিত হতে পারে।
ভোটার তালিকা হালনাগাদের পরবর্তী ধাপ শুরু হবে ৫ ফেব্রুয়ারি, যেখানে নতুন ভোটারদের ছবি তোলা, আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিশের প্রতিচ্ছবি গ্রহণ করা হবে। এই প্রক্রিয়া চলবে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত।
২০০৭-২০০৮ সালে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা চালুর পর এটি সপ্তমবারের মতো হালনাগাদ কার্যক্রম। এর আগে ছয়বার এই প্রক্রিয়া পরিচালিত হয়েছে- ২০০৯-২০১০ সাল, ২০১২-২০১৩ সাল, ২০১৫-২০১৬ সাল, ২০১৭-২০১৮ সাল, ২০১৯-২০২০ ও ২০২২-২০২৩ সালে বাড়ি বাড়ি গিয়ে হালনাগাদ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে ইসি।
নতুনভাবে ভোটার নিবন্ধনের জন্য নাগরিকদের নিম্নলিখিত কাগজপত্র প্রদান করতে হবে-
১৭ ডিজিটের অনলাইন জন্মসনদের কপি
জাতীয়তা বা নাগরিকত্ব সনদের কপি
নিকট আত্মীয়ের এনআইডি কার্ডের ফটোকপি (যেমন: পিতা-মাতা, ভাই-বোন)
এসএসসি/দাখিল/সমমান বা অষ্টম শ্রেণি উত্তীর্ণের সনদের কপি (যদি প্রযোজ্য হয়)
বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি বা চৌকিদারি রশিদের ফটোকপি
নাম, পিতা-মাতার নাম এবং জন্ম তারিখ অবশ্যই জন্মনিবন্ধন বা শিক্ষাসনদের সঙ্গে মিলিয়ে লিখতে হবে।
সঠিক জন্ম তারিখ নিশ্চিত করতে হবে।
স্থায়ী ঠিকানা ভুল না লিখে যথাযথভাবে প্রদান করতে হবে।
দ্বৈত বা একাধিকবার ভোটার হওয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) সতর্ক করে জানিয়েছে, কেউ একাধিকবার ভোটার হলে আঙুলের ছাপ পরীক্ষার মাধ্যমে তা শনাক্ত করা হবে এবং এটি আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।
সর্বশেষ হালনাগাদ অনুযায়ী, বাংলাদেশের মোট ভোটার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি ১৮ লাখ ৫০ হাজার ১৬০ জন।