পুঁজিবাজার
প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ ১৭:৪৪ পিএম
ঢাকার পুঁজিবাজারে সপ্তাহের শেষ দিনও শেষ হয়েছে দরপতনের মধ্য দিয়ে। আগের চার কর্মদিবসেও একই ধারা অব্যাহত থেকেছে। পতনের ধারা অব্যাহত রয়েছে দেশের অন্য পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৮ পয়েন্ট কমে সার্বিক সূচক দাঁড়িয়েছে পাঁচ হাজার ১৩৩ পয়েন্টে।
বছাইকৃত শেয়ার ব্লুচিপ ডিএস-৩০ কমেছে ৪ পয়েন্ট আর শরীয়াভিত্তিক শেয়ার ডিএসইএসের সূচক কমেছে ৬ পয়েন্ট।
আগের দিন বুধবারের তুলনায় এদিন ৪৩ কোটি টাকা কম লেনদেন হয়েছে পুঁজিবাজারে। এক লাখ ২৯ হাজার শেয়ার ১৪ কোটি ৮৩ লাখ বার হাতবদলের মাধ্যমে মোট লেনদেন হয়েছে ৩৬৩ কোটি টাকা।
সূচক কমার পাশাপাশি দাম কমেছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের। দাম বেড়েছে ১৪১টি কোম্পানির, কমেছে ১৯৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসইর ‘এ’ ক্যাটাগরির ২২০ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৮টির, কমেছে ৯৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম। ‘বি’ ক্যাটাগরিতে ৮৮টি কোম্পানির মধ্যে বেড়েছে ২৪টির, কমেছে ৫৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১১টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
‘জেড’ ক্যাটাগরির ৮৬ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৬টির, কমেছে ৪৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। দাম কমেছে বেশিরভাগ মিচ্যুয়াল ফান্ডের। ৩৭টি মিচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ৭টির। বাকিগুলোর মধ্যে কমেছে ১২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮টির দাম।
বৃহস্পতিবার সি অ্যান্ড এ টেক্সটাইল কোম্পানিকে ‘বি’ ক্যাটাগরি থেকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করেছে ডিএসই। এই কোম্পানির শেয়ার কেনার জন্য কোনো ধরনের ঋণ না দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মার্চেন্ট ব্যাংক এবং ব্রোকারেজ হাউজগুলোকে।
এদিকে বিনিয়োগকারীদের গত বছর জুলাই প্রান্তিকের লভ্যাংশের টাকা দিয়েছে ইফাদ অটোস পিএলসি। বিগত এক দশকে সর্বনিম্ন লভ্যাংশ দিয়েছে ইফাদ। শেয়ারপ্রতি বিনিয়োগকারীরা লভ্যাংশ পেয়েছেন ১ শতাংশ হারে।
পতনের ধারা অব্যাহত রয়েছে চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সিএসই-৫০ সূচক ৩ দশমিক ৪৩ পয়েন্ট ও সিএসই-৩০ সূচক ৫৫ দশমিক ৩১ পয়েন্ট কমে যথাক্রমে ১ হাজার ৯৬ দশমিক ৩৫ ও ১১ হাজার ৭৫৯ দশমিক ৫০ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর সিএসআই সূচক কমেছে ৫ দশমিক ১৪ পয়েন্ট। সূচক অবস্থান করছে ৯৩৪ দশমিক ৫৯ পয়েন্টে।
পতনের পাশাপাশি লেনদেনও কমেছে সিএসইতে। গত দিনের তুলনায় লেনদেন কমেছে ৪ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। দিন শেষে লেনদেন হয়েছে ৪ কোটি ৭২ লাখ টাকা, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৭৮ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৭, কমেছে ৯৬ ও অপরিবর্তিত আছে ২৫টি কোম্পানির শেয়ার দর।