প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১০ জানুয়ারি ২০২৫ ১৬:৫৪ পিএম
আপডেট : ১০ জানুয়ারি ২০২৫ ১৭:১৭ পিএম
আদিলুর রহমান খান। ছবি : সংগৃহীত
বাংলাদেশ একটি বহুমাত্রিক দেশ। সমস্ত ধর্ম, ভাষা, ও জাতিগত সম্প্রদায়ের মানুষকে একত্রিত করে দেশটি গড়ে তুলতে হবে বলে জানিয়েছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। তিনি বলেছেন, আমরা কাজ করে যাচ্ছি যাতে বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিক যেন বঞ্চিত বা সমাজের মূলধারার বাইরে না থাকে।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) ঢাকায় উত্তরায় বৌদ্ধ মহাবিহার চত্ত্বরে বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতি ঢাকা অঞ্চল আয়োজিত ‘বাংলাদেশ বৌদ্ধ সর্বজনীন মহাশ্মশানের ভিত্তি স্থাপন’ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা বলেন, জুলাই মাসের আন্দোলনে তরুণদের যে রক্তঝরা সংগ্রাম ছিল, তা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সবার জন্য সমান অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ছিল। বাংলাদেশের মানুষের জন্য বাস্তবায়নের দায়িত্ব আমরা পেয়েছি এবং তা পালনের চেষ্টা করছি।
বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতি ঢাকা অঞ্চলের সভাপতি দীপাল চন্দ্র বড়ুয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ. ফ. ম. খালিদ হোসেন, শ্রীলংকার হাইকমিশনার মি. ধর্মপালা ওইয়ারাকোদ্দি, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত হাকন অ্যারাল্ড গুলব্রানসেন ও রাজউকের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব:) মো: ছিদ্দিকুর রহমান সরকারসহ বৌদ্ধ সমিতির নেতারা।
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ. ফ. ম. খালিদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। আমরা চেষ্টা করছি বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণের জন্য অনেক প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে, যার মধ্যে একটি হচ্ছে নেপালের লুম্বিনীতে বৌদ্ধ বিহার ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন।
রাজউকের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব:) মো. ছিদ্দিকুর রহমান সরকার বলেন, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মহোদয় দেড় মাস আগে নির্দেশ দিয়েছিলেন, মহাশ্মশানের জন্য যায়গা দিতে হবে। আমরা দিয়েছি এবং এক সপ্তাহের মধ্যে জায়গার দখল বুজিয়ে দেওয়া হবে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বৌদ্ধ মহাবিহারেরঅধ্যক্ষ মুদিতাপাল থেরো, বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতির ঢাকা অঞ্চলের সাধারণ সম্পাদক স্বপন বড়ুয়া চৌধুরী, দীপ্তিময় বড়ুয়া সেলু, দেবাশীষ বড়ুয়াসহ বৌদ্ধ ধর্মের নেতারা।
উল্লেখ্য, অন্তর্বতী সরকার প্রথম বারের মতো বৌদ্ধদেরকে মহাশ্মশানের জন্য জায়গা বরাদ্দ দিয়েছে। নির্দিষ্টস্থানে ঢাকাবাসী বৌদ্ধদের অন্তিম শেষকৃত্য (শবদাহ) করার জন্য রাজউক ঢাকার উত্তরায় ১৬ নম্বর সেক্টরে ২৩ কাঠার প্লট বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতির অনুকূলে বরাদ্দ দিয়েছে।