× ই-পেপার প্রচ্ছদ সর্বশেষ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ধর্ম ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

অবশেষে উন্নত চিকিৎসায় লন্ডনের পথে খালেদা জিয়া

প্রবা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৮ জানুয়ারি ২০২৫ ০০:৩২ এএম

আপডেট : ০৮ জানুয়ারি ২০২৫ ১১:০২ এএম

উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ার সময় বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বিদায় জানাচ্ছেন নেতাকর্মীরা। প্রবা ফটো

উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ার সময় বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বিদায় জানাচ্ছেন নেতাকর্মীরা। প্রবা ফটো

লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের কাছে বারবার আবেদন করে ব্যর্থ হওয়ার পর অবশেষে ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে গেলেন তিনবারের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।

কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির পাঠানো ‘বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে’ গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে লন্ডনের পথে যাত্রা করেন তিনি।

দীর্ঘদিন থেকে লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ, কিডনিসহ নানা স্বাস্থ্য জটিলতায় ভুগছেন এই প্রবীণ রাজনীতিক। লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছার পর সরাসরি তাকে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হবে যুক্তরাজ্যের নামকরা বিশেষায়িত হাসপাতাল লন্ডন ক্লিনিকে। সেখানকার চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী চলবে খালেদা জিয়ার পরবর্তী চিকিৎসা।

বিএনপি চেয়ারপারসনের সুস্থতা কামনা করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা, রাজনীতিবিদসহ বিভিন্ন স্তরের বিশিষ্টজনেরা। বিএনপির নেতাকর্মীরাও নেত্রীর সুস্থতা কামনা করেছেন। বিএনপি প্রধান উন্নত চিকিৎসার মধ্য দিয়ে সুস্থ হয়ে দ্রুতই দেশে ফিরবেন এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন তারা।

অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল সোমবার তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করেছেন। 

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বিএনপি চেয়ারপারসনের সুস্থতা কামনা করেছেন।

লন্ডনে চিকিৎসার পাশাপাশি দীর্ঘ ৭ বছর পর দেখা হবে বড় ছেলে তারেক রহমানের সঙ্গেও। হিথরো বিমানবন্দরে খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাবেন তারেক রহমানসহ তার পরিবারের সদস্য ও বিএনপির নেতাকর্মীরা। চিকিৎসার জন্য দলীয় প্রধানের লন্ডনে আগমনকে কেন্দ্র করে উজ্জীবিত যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতাকর্মীরাও।

এদিকে খালেদা জিয়াকে বিদায় জানাতে গতকাল দুপুর থেকেই গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়সহ বিমানবন্দর ও বিমানবন্দর সড়কের দুপাশে ভিড় জমান দলের নেতাকর্মী-সমর্থকরা। 

লন্ডনে যাওয়ার জন্য গতকাল রাত ৮টায় গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে বের হন খালেদা জিয়া। সেখানে হাজার হাজার নেতাকর্মী তাকে হাত নেড়ে বিদায় জানান। শুধু বাসার সামনে নয়; বিমানবন্দরসহ গুলশান থেকে বিমানবন্দর রোডের কুর্মিটোলা, কুড়িল, খিলক্ষেত, আশকোনা এলাকায়ও ছিল নেতাকর্মীর ঢল। প্রিয় নেত্রীকে বিদায় জানানোর জন্য তারা দুপুর থেকে এই সড়ক ও বিমানবন্দরে ভিড় জমান। 

খালেদা জিয়ার যাত্রাকে নির্বিঘ্ন করতে বিমানবন্দরসহ আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়।

খালেদা জিয়াকে বহনকারী বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি আজ বুধবার লন্ডনের স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় হিথ্রো বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা। বিমানবন্দরে তাকে ভিআইপি প্রটোকল দেবে হিথ্রো কর্তৃপক্ষ। 

লন্ডনের উদ্দেশে যাত্রাপথে খালেদা জিয়াকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত আনুমানিক ২টায় কাতারের হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। বেগম খালেদা জিয়া এক ঘণ্টার জন্য কাতারে অবস্থান করবেন।

সূত্র জানায়, খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরুর পর কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি তার রাজকীয় বহরে থাকা বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি খালেদা জিয়ার সম্মানে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন। এটি একটি বিশেষ বিমান, যার মধ্যে সব ধরনের বিশেষায়িত চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে। এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে কাতারের রাজকীয় চার চিকিৎসক ও প্যারামেডিক ঢাকায় আসেন। সোমবার রাত ৭টা ৪০ মিনিটে এই বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি ঢাকায় পৌঁছে।

হিথ্রো থেকে নেওয়া হবে হাসপাতালে 

লন্ডনে হিথ্রো বিমানবন্দরে খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা জানাবেন তার বড় ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান এবং লন্ডন বিএনপির নেতারা। আর ঢাকা থেকে খালেদা জিয়ার সঙ্গে চিকিৎসকদের পাশাপাশি যাচ্ছেন তার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান। 

বিমানবন্দর থেকে তারেক রহমানের বাসায় না নিয়ে খালেদা জিয়াকে সরাসরি নিয়ে যাওয়া হবে যুক্তরাজ্যের পশ্চিম লন্ডনের নামকরা বিশেষায়িত হাসপাতাল লন্ডন ক্লিনিকে। সেখানকার চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী চলবে খালেদা জিয়ার পরবর্তী চিকিৎসা। পরবর্তীতে লন্ডন ক্লিনিক সুপারিশ করলে তাকে যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটি হসপিটালে নেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক দল ও লন্ডন বিএনপির নেতারা। 

লন্ডনে চিকিৎসা প্রসঙ্গে গত সোমবার খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘লন্ডন ক্লিনিক নামে একটি পুরোনো হাসপাতালে ম্যাডামকে ভর্তি করা হবে এবং সেখানেই চিকিৎসা চলবে। এই হাসপাতালে ম্যাডামের পরীক্ষা-নিরীক্ষা হবে। তাদের পরামর্শে চিকিৎসার পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

খালেদা জিয়ার লিভার ট্রান্সপ্লান্ট প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ডা. জাহিদ বলেন, ‘ম্যাডামের বয়স বিবেচনায় নিয়ে লিভার ট্রান্সপ্লান্ট ইউনিটে যাওয়ার পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। সেখানে (লন্ডন ক্লিনিকে) এই সুবিধা আছে। সুতরাং তারাই সিদ্ধান্ত নেবেন পরবর্তী চিকিৎসার বিষয়ে। তাই এ বিষয়ে এখন আমরা ভাসা ভাসা কথা বলছি। কারণ আমরা জানি না কালকে সফরটা কেমন হবে।’ 

খালেদা জিয়াকে লন্ডনের যে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে সেটি সবচেয়ে পুরোনো, বিশ্বস্ত এবং আধুনিক সুবিধা সংবলিত মাল্টিডিসিপ্লিনারি সেন্টার। সেখানে তাদের সব ধরনের ব্যবস্থা আছে।

যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘লন্ডন ক্লিনিকের চিকিৎসকরা যদি খালেদা জিয়ার আমেরিকায় চিকিৎসার সুপারিশ করেন কিংবা জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে যদি এমন চিকিৎসা ব্যবস্থা থাকে, যেটা ম্যাডামের প্রয়োজন তখন বিষয়টি আসবে।’

সফরসঙ্গী যারা

লন্ডনযাত্রায় খালেদা জিয়ার সফরসঙ্গী হয়েছেন তার মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা, ব্যক্তিগত কর্মকর্তা ও স্টাফ। গত সোমবার এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন। 

তিনি জানান, কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে রাজকীয় কাতারের চারজন চিকিৎসক এবং প্যারামেডিকস থাকবেন। ঢাকা থেকে খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ডের ছয়জন সদস্য এ বিমানে যাবেন। তারা হলেনÑ অধ্যাপক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদার, অধ্যাপক ডা. এফ এম সিদ্দিক, অধ্যাপক নুরুদ্দিন আহমেদ, ডা. জাফর ইকবাল, অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন ও ডা. মোহাম্মদ আল মামুন। 

এ ছাড়া বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে রয়েছেন তার ছোট পুত্রবধূ সৈয়দা শর্মিলা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এনামুল হক চৌধুরী, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল ও খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এ বি এম আবদুস সাত্তার, গৃহকর্মী ফাতিমা বেগম ও রূপা শিকদারসহ ব্যক্তিগত কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী।

বিদেশে যেতে পোড়াতে হয়েছে বহু কাঠখড়

বাংলাদেশের সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার উদ্দেশ্যে বিদেশ যাওয়ার জন্য বহু কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ দীর্ঘদিন থেকে লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ, কিডনি, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসসহ নানা শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন। 

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি একটি দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে কারাগারে যাওয়ার পর খালেদা জিয়ার শারীরিক জটিলতা বেড়ে যায়। 

তবে ২০২০ সালের মার্চে করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে খালেদা জিয়াকে সাময়িক মুক্তি দেয় হাসিনা সরকার। মূলত সাময়িক কারামুক্তির পর থেকেই বাসায় ও হাসপাতালে থেকে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছিলেন তিনি। 

ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে বিভিন্ন সময়ে আইসিইউতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে মেডিকেল বোর্ডের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে দীর্ঘ সময় চিকিৎসা নিতে হয়েছে। একাধিকবার তিনি জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণেও পড়েন। মৃত্যুর গুজবও ছড়িয়েছিল অনেকবার। 

২০২৩ সালের অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় হসপিটালের তিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে খালেদা জিয়ার শরীরে রক্তনালিতে সফল অস্ত্রোপচার হয়। তার চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডও বারবার তাকে বিদেশে নেওয়ার পরামর্শ দেয়। 

তার এই স্বাস্থ্যের অবনতির কথা বিবেচনা করে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠাতে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকারের আমলে ১৮ বার আবেদন করে পরিবার। শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেও বিদেশে নেওয়ার অনুমতি চেয়েছিলেন খালেদা জিয়ার ভাই শামীম ইস্কান্দার, বোন সেলিমা ইসলাম, বোনের স্বামী রফিকুল ইসলামসহ পরিবার ও দলের সদস্যরা। কিন্তু শেখ হাসিনা সরকার তাকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি। 

মুক্ত খালেদা জিয়া

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে যাওয়ার পর রাষ্ট্রপতির এক আদেশে মুক্তি পান বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এরপর দুর্নীতির যে দুটি মামলায় তিনি কারাবন্দি হয়েছিলেন, সেগুলোর রায় বাতিল করেন আদালত।

রাষ্ট্রপতির আদেশে খালেদা জিয়ার মুক্তির পর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তবে খালেদা জিয়াসহ সফরসঙ্গীদের কারও কারও ভিসা-সংক্রান্ত জটিলতা ও রাজনৈতিক নানা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার কারণে একাধিকবার পিছিয়ে যায় তার বিদেশ যাত্রার তারিখ। শেষ পর্যন্ত গতকাল মঙ্গলবার বিদেশ যাত্রার দিনক্ষণ চূড়ান্ত হলে নেয়া হয় সব প্রস্তুতি। 

খালেদা জিয়া যুক্তরাজ্যের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের ভিসা নিয়েছেন। চিকিৎসা শেষে ওমরাহ হজ করে তিনি দেশে ফেরার কথা রয়েছে।


উজ্জীবিত খালেদা পরিবার ও লন্ডন বিএনপি

সবশেষ ২০১৭ সালের ১৫ জুলাই লন্ডন গিয়েছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। ওই সময় লন্ডনে একটি ঈদ উদযাপন করার পাশাপাশি লন্ডনের মরফিন্ড আই হাসপাতালে চোখের অপারেশন করান তিনি। 

তবে খালেদা জিয়ার এবারের লন্ডন যাত্রার প্রেক্ষাপট একবারে ভিন্ন। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নয়, বরং উন্নত চিকিৎসার অতীব প্রয়োজনে লন্ডন গেলেন তিনি। 

খালেদা জিয়ার এই লন্ডন আগমনে উজ্জীবিত তার পরিবার ও লন্ডন বিএনপির নেতাকর্মীরা। এই যাত্রায় দীর্ঘ সাত বছর পর তার দেখা হবে বড় ছেলে তারেক রহমানের সঙ্গে। মা-ছেলের বহুল প্রত্যাশিত এই সাক্ষাতে দেশ, দলসহ ভবিষ্যতের রাজনীতি নিয়েও আলোচনা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আসতে পারে আগামীর বার্তাও। 

যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এম এ মালেক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘দীর্ঘ সময় পর আমরা গণতন্ত্রের মাকে কাছে পাচ্ছি। আমরা ম্যাডামকে বরণ করতে প্রস্তুত। কিন্তু ম্যাডামের স্বাস্থ্যগত বিষয় চিন্তা করে বিমানবন্দরে যাতে লোকজন জড়ো না হয় সে বিষয়ে সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আমাদের লিডার (তারেক রহমান) বিষয়টি সরাসরি দেখভাল করছেন। আমরা আশা করি, ম্যাডাম সুস্থ হয়ে দেশে ফিরে যাবেন।’

যুক্তরাজ্য বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক খসরুজ্জামান খসরু বলেন, ‘আমাদের নেত্রীর আগমন উপলক্ষে যুক্তরাজ্যে বসবাসরত বাংলাদেশিরা অনেক উজ্জীবিত। দীর্ঘ ৭ বছর পর তিনি আবার পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন। পরিবারের সবাই তার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় রয়েছেন। তবে অন্যান্য সময়ের মতো আমাদের বিশেষ কোনো কর্মসূচি নেই। কেউ যেন বিমানবন্দরে ভিড় না করে সে জন্য আমরা সবাইকে নির্দেশনা দিয়েছি।’

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : মোরছালীন বাবলা

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা