প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩০ নভেম্বর ২০২৪ ১৮:০৪ পিএম
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ফাইল ফটো
সামাজিক অস্থিরতা তৈরির পেছনে কিছু ব্যক্তি সোশাল মিডিয়ায় ভূমিকা রাখছে বলে মনে করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
তিনি বলেন, ‘একদিকে ডায়াসপোরা- একটা রেস্টলেসনেস আপনাকে দিচ্ছে। প্রতিদিন একে সরান, ওকে সরান। একে আনেন, একে আনেন, ওকে আনেন। কোনো ধরনের মিনিমাম অর্ডার এরা ইয়ে (মানতে) করতে চাচ্ছে না।’
শনিবার (৩০ নভেম্বর) মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) উদ্যোগে রাষ্ট্র সংস্কার প্রস্তাব বিষয়ক সেমিনারে প্রেস সচিব এ মন্তব্য করবেন।
শফিকুল আলম বলেন, ‘এখন আমি তো জানি না, ইনি যেটা বলছেন- সেটা সত্য কি না। উনার পারসোনাল বেনিফিটেড কারণে করছেন নাকি আপনার জাতীয় জীবনের ইচ্ছার কারণে বলছেন। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, এদের এতো ফলোয়িং- পুরো জাতিকে, বিভিন্ন গ্রুপকে ইয়ে (প্রভাবিত) করছে।’
ভারতের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, এই রেস্টলেসনেস আমাদের সোসাইটিকে আমি দেখতেছি যে- এটা ডিভল্ভ করতেছে।…সাথে আছে ধরেন বর্ডারের ওই পারের থেকে একধরনের কো-অর্ডিনেটেড ম্যাসিভ একটা ডিজইনফরমেশন ক্যাম্পেইন।
প্রেস সচিব বলেন, ‘একটা মহৎ একটা গ্লোরিয়াস আন্দোলনের কারণে এই জায়গাতে এসছি। এবং আমরা কী আগের জায়গায় আবার ফিরে যাব কি না। আমরা কি আবার, এই যে আমাদের মাঝে যে রেস্টলেস মাইন্ডগুলো আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতেছে, আমরা কি সত্যিকার অর্থে রিফর্মগুলো করতে পারব, না করতে পারব না? এটা এখন বিগ ইস্যু।
সরকারের অবস্থান তুলে ধরতে গিয়ে শফিকুল আলম বলেন, কত দিক দিয়ে, মানে ব্যাটেল কত দিক দিয়ে করবেন।
রাষ্ট্র মেরামত না হলে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে
প্রেস সচিব বলেন, ‘অনেকে বলছেন, এত রিফর্মের কী দরকার। আপনারা ইলেকশন দিয়ে চলে যান। সত্যিকার অর্থে কী, আপনি যদি সারা বাংলাদেশটা ঘোরেন, পুরো বাংলাদেশটা আমার ঘোরা আছে।’
শফিকুল আলম বলেন, দেখবেন যে প্রতিটা ওয়ালে ওয়ালে রাষ্ট্র মেরামতের গল্প আছে। প্রতিটা ওয়ালে ওয়ালে লেখা আছে রাষ্ট্রটাকে মেরামত করতে হবে। আমরা যদি রাষ্ট্র মেরামতের কোনো আয়োজন না করে, কিছু না করে, আমরা চলে যাই, আমাদেরকে এই জেনারেশন বলবে যে তোমরা আমাদেরকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাবে। বলবে যে, ‘না আমরা কিছুই করিনি’।’
২০০৭-০৮ সালের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, “মঈন আর ফখরুদ্দীনের প্রতি যে মানুষের রাগ, মূলত তারা কোনো সংস্কার করতে পারেনি। বরঞ্চ খুব দ্রুত একটা হচপচ করে একটা সলিউশন করে তারা ভেগে গেছে।
‘আমরা এখানে থাকতে চাই, আমি এখানে পারলে জেলে পঁচে মরতে চাই, তাও আমরা চাই যে এখানে একটা ভাল রিফর্ম হোক।’
এনডিএমের ৯ প্রস্তাব
সেমিনারে নয়টি আলাদা উপস্থাপনায় নয়টি বিষয়ে সংস্কার প্রস্তাব করে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম)।
সংবিধান সংস্কার, জুডিসিয়াল রিফর্ম, নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার ও নির্বাচন কমিশনের শক্তিশালীকরণ, পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংস্কার, মিডিয়া ও মুক্ত সাংবাদিকতার সংস্কার, ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতের সংস্কার, বাণিজ্য বিষয়ক সংস্কার, শিক্ষা খাত এবং জ্বালানি খাতের আধুনিকায়ন বিষয়ে তাদের সংস্কার প্রস্তাব তুলে ধরা হয়।
এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ বলেন, ‘আমরা দুটো বিষয় সামনে রেখে প্রাথমিক প্রস্তাব করেছি। আমরা চাই বাংলাদেশের ভবিষ্যতে আর কেউ ফ্যাসিস্ট ব্যবস্থা বাস্তবায়ন যেন না করে, ফ্যাসিস্ট যেন আর না আসতে পারে এবং জবাবদিহিমূলক গণতন্ত্র করতে পারি- সেজন্য এ প্রস্তাবনা তুলে ধরেছি।’