প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ১৬:৩৮ পিএম
আপডেট : ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ১৬:৪০ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা মহানগরে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচলে নীতিমালা চূড়ান্ত করতে সাত দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছেন ব্যাটারিচালিত রিকশা চালক-মালিকরা। ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধে উচ্চ আদালতের দেওয়া নির্দেশ পুনর্বিবেচনাসহ লাইসেন্স ও রুট পারমিট দিতে নীতিমালার বিষয়ে সুরাহা করতে এ সময় বেঁধে দেয় ব্যাটারি রিকশা-ভ্যান ও ইজিবাইক চালক সংগ্রাম পরিষদ।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সংগঠনটির ঢাকা মহানগর শাখা আয়োজিত সমাবেশে এ আল্টিমেটাম দেন নেতারা। এ বিষয়ে সংগঠনের আহ্বায়ক খালেকুজ্জামান লিপন বলেছেন, একটা নীতিমালা তৈরি করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের লাইসেন্স দেয়া, রুট পারমিট ও সড়কে পৃথক লেনের দাবিতে তাদের সংগঠন ১২ বছর ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসছে।
৬ জুলাই বিআরটিএ থেকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়, আমাদের দাবিটা যৌক্তিকভাবে পরিচালনা করছে। ২৪ অক্টোবর আমাদের জানানো হলো নীতিমালা চূড়ান্ত হয়ে আছে। আমরা আশায় বুক বেঁধে আছি কিন্তু প্যাডেলচালিত রিকশাচালকদের একটি সংগঠন রিট করল। পেটে লাথি মেরে কোনো রিট হতে পারে না।
সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, একটা নীতিমালা করে লাইসেন্স দিয়ে, নিবন্ধন করে রুট পারমিট দিয়ে দিন। যখন লাইসেন্স আর রুট পারমিটের বিষয়টি আসবে তখনই নিরাপত্তার বিষয়টি চলে আসবে। তাই নীতিমালাটা অবিলম্বে সাত দিনের মধ্যে চূড়ান্ত করুন। নতুবা ৩০ নভেম্বর ঢাকার ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে দেশের ৬৪ জেলায় সমাবেশ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা মহাসড়কে চলাচল না করতে সুপ্রিম কোর্টের একটি রায় এখনও বহাল রয়েছে। তারপর হাইকোর্ট কীভাবে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধে রায় দেয়? সুপ্রিম কোর্টের যে রায় আছে তার ফলে হাইকোর্টের রায় এমনিতেই বাতিল হয়ে যায়। ২০২২ সালের এপ্রিলে ব্যাটারিচালিত তিন চাকার যানবাহন মহাসড়কে উঠতে পারবে না বলে আদেশ দেয় আপিল বিভাগ। এর ফলে মহাসড়ক ছাড়া অন্য সব সড়কে এই যানগুলো চলার বৈধতা পায়। মঙ্গলবার উচ্চ আদালত থেকে ঢাকা মহানগর এলাকায় তিন দিনের মধ্যে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের নির্দেশ আসে। এর পরদিনই ঢাকার সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল অব্যাহত রাখার দাবিতে দয়াগঞ্জ মোড়ে অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন রিকশাচালকরা।
এ বিষয়ে খালেকুজ্জামান লিপন বলেন, আমরা মহাসড়কে উঠতে চাই না। বাইলেন সার্ভিস করে দিন। আমরা ধৈর্য ধরে আন্দোলন করছি, এখনও সারাদেশে করি নাই। সারাদেশে প্রায় ৬০ লাখ ব্যাটারিচালিত রিকশার সঙ্গে ৩ কোটি মানুষের জীবিকা নির্ভরশীল। তাই আপনারা হুঁশিয়ার হয়ে যান। অবিলম্বে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দূর করে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের আলোকে লাইসেন্স দেয়ার ব্যবস্থা করেন।