অন্তর্বর্তী সরকারের ৩ মাস
ফসিহ উদ্দীন মাহতাব
প্রকাশ : ০৮ নভেম্বর ২০২৪ ১৭:৪২ পিএম
আপডেট : ০৮ নভেম্বর ২০২৪ ১৮:৫২ পিএম
ফাইল ফটো
আজ শুক্রবার অন্তর্বর্তী সরকারের ৩ মাস পূর্ণ হচ্ছে। এই সময়ে প্রশাসন, পুলিশ, মানবাধিকার, অর্থনীতি ও আইনশৃঙ্খলাসহ নানা ক্ষেত্রে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার। এতে প্রশাসনে গতি কিছুটা ফিরলেও ফাইলের হয়রানি থামেনি। প্রশাসনের দুর্নীতিবাজ ও দলবাজ কর্মকর্তাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করলেও তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারেনি। সব কিছু মিলে প্রশাসনিক সংস্কার সরকারের বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সরকার এখন পর্যন্ত ৭টি সংস্কার কমিশন গঠন করেছে। ইতোমধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও কমিশনার নিয়োগের জন্য সার্চ কমিটি গঠন করেছে। রাজনৈতিক দলগুলো নামের তালিকা দেওয়া শুরু করেছে।
প্রশাসনের তিন শতাধিক কর্মকর্তাকে বদলি আর ১০ জন সচিবকে ওএসডি এবং ছয়জন সচিবের চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়সহ বেশিভাগ মন্ত্রণালয়ে থাকা বিগত সরকারের ক্ষমতাধর কর্মকর্তাদের বদলি করা হলেও অনেকে রয়েছেন বহাল তবিয়তে। সব মিলে প্রশাসনিক সংস্কার সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। ৮ আগস্ট নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়।
বর্তমান সংস্কার কমিটির অন্যতম লক্ষ্য প্রশাসনকে জনমুখী করা। এটা অত্যন্ত কঠিন চ্যালেঞ্জ। অতীতে প্রশাসন জনগণের প্রত্যাশা পূরণে বারবার ব্যর্থ হয়েছে।
স্থানীয় সরকার বিভাগ, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়সহ বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগে বর্তমানে সচিব নেই। এসব দপ্তরে দায়িত্ব পাওয়া অতিরিক্ত সচিবরা সচিবের রুটিন কাজ চালিয়ে নিচ্ছেন। তবে গুরুত্বপূর্ণ কোনো সিদ্ধান্ত হচ্ছে না। মাঠ প্রশাসনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদ জেলা প্রশাসক (ডিসি)। যাদর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে এখনো তাদের প্রত্যাহার করা হয়নি।
শূন্য পদ পূরণে তোড়জোড় শুরু করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে। কোথাও কাউকে পদায়ন করার পরই আদেশ বাতিল করার ঘটনাও ঘটছে। এদিকে যুগ্ম সচিব ও উপসচিব পদে দুটি ব্যাচের বিপুলসংখ্যক কর্মকর্তা পদোন্নতির অপেক্ষায়। পদায়ন ও পদোন্নতির কাজে দক্ষতা দেখাতে না পারলেও উল্টো জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা নানা বিতর্কে নিজেদের জড়িয়ে ফেলছেন।
বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর গত ১৯ আগস্ট সব উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, সিটি করপোরেশন ও পৌর মেয়রদের অপসারণ ও প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়। তবে এখনো সারা দেশে বিগত সরকারের ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের অপসারাণ করা হয়নি।
রাষ্ট্র সংস্কার কার্যক্রম এগিয়ে নিতে গঠিত সংস্কার কমিশন প্রধানদের সঙ্গে গত ৪ নভেম্বর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বৈঠক করেছেন। সংস্কার কমিশনের প্রধানরা কমিশনের কাজের অগ্রগতি জানিয়েছেন। জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করা হয়েছে। কমিশন প্রধান আব্দুল মুয়িদ চৌধুরী জানান, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের কাজ পুরোদমে শুরু হয়েছে। কমিশনের সদস্যরা জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সফর করে জনসাধারণের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। কমিশনগুলো ৯০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেবে। প্রতিবেদনের সুপারিশ নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে। যেখানে সমাজের সব পর্যায়ের মানুষের প্রতিনিধিত্ব থাকবে। এভাবেই সংস্কারকাঠামো চূড়ান্ত করার পরিকল্পনা করেছে সরকার।
প্রধান উপদেষ্টা গত ১১ সেপ্টেম্বর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে নির্বাচনব্যবস্থা, পুলিশ, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন, সংবিধান ও দুর্নীতি দমন বিষয়ে সংস্কারের জন্য ছয়টি কমিশন গঠনের কথা জানান। নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বদিউল আলম মজুমদার, পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান, দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশনের প্রধান ইফতেখারুজ্জামান, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী। আর সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে প্রথমে বিশিষ্ট আইনজীবী শাহদীন মালিকের নাম ঘোষণা করা হলেও পরে তা পরিবর্তন করে অধ্যাপক আলী রীয়াজকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এটা বাদে বাকি কমিশনগুলোর প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি
বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্য নির্ধারণ হবে গণশুনানির মাধ্যমে, নির্বাহী আদেশে নয়। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের চুক্তি পর্যালোচনায় কমিটি গঠন হয়েছে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০এর আওতায় নতুন কোনো চুক্তি হবে না। বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো বিদ্যুৎ উৎপাদনের পর তা বিক্রি করে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) কাছে।
ভূমি রাজস্ব আয় বাড়াতে
জমিতে বিরোধে নিষ্পত্তির ক্ষমতা এসিল্যান্ডদের হাতে থাকলেও খতিয়ানের করণিক ভুলের সংশোধণে অনিহা ডিসি-এডিসি-এসিল্ড্যাদের। খতিয়ানের করণিক ভুল সংশোধনের বেড়াজালে ভূমি সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন দেশে প্রায় ৩ কোটি মানুষ, ভুমি সেবায় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে জমির মালিকদের। মাঠপর্যায়ে ভূমি অফিসগুলোতে দুর্নীতি রোধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে একটি সার্কুলার জারি করা হবে। সরকারি স্বার্থ না দেখলে ডিসি-এডিসি-এসিল্যান্ডদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে সরকার। এমন বিধান আওয়ামী লীগ সরকার যুক্ত করায় একদিকে বিপাকে পড়েছে দেশের জনগণ, অন্যদিকে বিরোধে নিষ্পত্তি করতে অনিহা ডিসি-এডিসি-এসিল্যান্ডদের।
ভূমি সেবায় জনগণের দূর্ভোগ ও হয়রানি বন্ধে ভূমি আইন সংস্কার ও ভূমি ব্যবস্থাপনা ডিজিটালকরণে ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে চিঠি দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। অপর দিকে ভূমি সেবায় জনগণের দূর্ভোগ ও হয়রানি বন্ধে সারাদেশে মাঠ প্রশাসনে ডিসি-এডিসি এবং এসিল্ড্যাদের নির্দেশনা দিয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয়।
এলজিআরডি ও ভূমি উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেছেন, ভূমি মন্ত্রণালয়ের ব্যবস্থাপনায় জনস্বার্থে তাৎক্ষণিক প্রয়োজন এবং সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে ভূমি অধিগ্রহণ ও হুকুম দখল কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়। ভূমি অধিগ্রহণ কার্যক্রম নিয়ে প্রায়ই অনিয়মের তথ্য পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে, যাতে করে কেউ ন্যায্যতা থেকে বঞ্চিত বা মাত্রাতিরিক্ত ক্ষতিপূরণ না পান।
এ বিষরেয় ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ বলেন, আসলে গত ১৫ বছরে জমি-জমা নিয়ে জনগণের হয়রানি বেড়েছিল। জনগণের হয়রানি বন্ধে ইতোমধ্যে আমি রংপুরের নীলফামারী জেলায় ভূমি অফিস পরিদর্শন করেছি। ভূমি রাজস্ব আয় বাড়াতে কেন্দ্রীয় ও মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম সমন্বিতকরণের তাগিদ দেওয়া হয়েছে। ভূমি মালিকদের ভূমি সেবা বিষয়ে ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টির উপর গুরুত্বারোপ করে রাজস্ব আয় লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হবে। এজন্য কেন্দ্রীয় ও মাঠপর্যায়ের প্রশাসনের তত্ত্বাবধান কার্যক্রম সমন্বিত উপায়ে জোরদার করতে হবে। এতে করে জাতীয় অর্থনীতির বিকাশে অবদান রাখা সম্ভব।
জাতীয় পানি মহাপরিকল্পনা
সরকার কর্তৃক গৃহীত জাতীয় পানি নীতি ও জাতীয় পানি মহাপরিকল্পনার এবং অন্যান্য বিধানাবলী সাপেক্ষে, বোর্ড নিম্নবর্ণিত কার্যাবলী সম্পাদন এবং তদুদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় প্রকল্প প্রণয়ন, বাস্তবায়ন, পরিচালনা, রক্ষণাবেক্ষণ ও মূল্যায়ন সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম গ্রহণ হাতে নেওয়া হচ্ছে। নদী ও নদী অববাহিকা নিয়ন্ত্রণ ও উন্নয়ন এবং বন্যা নিয়ন্ত্রন, পানি নিস্কাশন, সেচ ও খরা প্রতিরোধের লক্ষ্যে জলাধার, ব্যারেজ, বাঁধ, রেগুলেটর অবকাঠামো নির্মাণ। সেচ, মৎস্য চাষ, নৌ-পরিবহন, বনায়ন, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও পরিবেশের সার্বিক উন্নয়নে সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে পানি প্রবাহের উন্নয়ন কিংবা পানি প্রবাহের গতিপথ পরিবর্তনের জন্য জলপথ, খালবিল ইত্যাদি পুনঃ খনন; নদীর তীর সংরক্ষণ এবং নদী ভাঙ্গন হইতে সম্ভাব্য ক্ষেত্রে শহর, বাজার, হাট এবং ঐতিহাসিক ও জাতীয় জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহ সংরক্ষণ; উপকূলীয় বাঁধ নির্মাণ ও সংরক্ষণ; লবণাক্ততার অনুপ্রবেশ রোধ এবং মরুকরণ প্রশমন; সেচ, পরিবেশ সংরক্ষণ ও পানীয় জল আহরণের লক্ষ্যে বৃষ্টির পানি ধারণ; প্রকল্প প্রণয়ন, বাস্তবায়ন ও রক্ষণাবেক্ষণে প্রকল্প এলাকার জনগণের অংশগ্রহণ সম্পর্কিত প্রতিবেদন প্রণয়ন; প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে কৃষিকাজ, পরিবেশ, নৌ-চলাচল, পানি প্রবাহ, মৎস্য সম্পদ, জনজীবন ও পারিপার্শ্বিক এলাকায় উহার প্রভাব ও বিরুপ প্রতিক্রিয়া (যদি থাকে) এবং উহার সম্ভাব্য প্রতিকার সম্পর্কে প্রতিবেদন প্রণয়ন। এছাড়া তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজের গতি বাড়াতে পারেনি সরকার।
নির্বাহী আদেশ ও সিদ্ধান্ত
৫ সেপ্টেম্বর গণভবনকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর’ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ২৯ আগস্ট ‘জাতির পিতার পরিবার-সদস্যগণের নিরাপত্তা (রহিতকরণ) অধ্যাদেশ, ২০২৪’ -এর খসড়া অনুমোদন দেয় অন্তর্র্বতী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এর ফলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যরা বিশেষ নিরাপত্তাসুবিধা পাবেন না।
সংসদ, আদালত-ইসি
৬ আগস্ট দ্বাদশ জাতীয় সংসদ ভেঙে দেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ২ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী পদত্যাগ করেন। গত ১০ আগস্ট প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এবং আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতি পদত্যাগ করেন। একই দিনে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। তার আগে ৮ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামানকে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। ৫ সেপ্টেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন পদত্যাগ করেন। ৬ আগস্ট বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে নির্বাহী আদেশে মুক্তি দেওয়া হয়। ২৮ আগস্ট জামায়াতে ইসলামী ও এর অঙ্গসংগঠনকে নিষিদ্ধ করে জারি করা প্রজ্ঞাপন বাতিল করা হয়। ৫ সেপ্টেম্বর সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত ফ্যাসিবাদী দল ও জোট পুনর্বাসনের সুযোগ পাবে না।
গত ১৩ আগস্ট উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের সাধারণ ছুটি বাতিল করা হয়। ৪ সেপ্টেম্বর সরকারি অর্থে প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বা স্থাপনার নামকরণের বিষয়ে আইনি কাঠামো ঠিক করতে উপদেষ্টা কমিটি গঠন করা হয়েছে। একই দিনে সরকারের সব পর্যায়ে সংস্কার কর্মসূচি গ্রহণ করতে সচিবদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।