প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৪ নভেম্বর ২০২৪ ১১:৩৪ এএম
আপডেট : ০৪ নভেম্বর ২০২৪ ১১:৪৫ এএম
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদর দপ্তর পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। প্রবা ফটো
পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পুনঃতদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
তিনি বলেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ড তদন্তে কমিশন গঠন করা হবে কি না তা এখন বলা যাচ্ছে না। তবে এটা নিশ্চিত যেভাবেই হোক, এ হত্যাকাণ্ডের পুনঃতদন্ত করা হবে।
সোমবার (৪ নভেম্বর) বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদর দপ্তর পরিদর্শন শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশের শান্তি রক্ষায় সীমান্তে যেন কোনো ছাড় দেওয়া না হয় এ বিষয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কোনো অন্যায় আদেশ যেন পালন না করা হয় এ কথা জানিয়ে জাহাঙ্গীর আলম আরও বলেন, দায়িত্ব পালনের সময় স্থানীয় জনগণের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে হবে বিজিবিকে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ড তদন্তে কমিশন গঠন করা হবে কি না তা এখন বলা যাচ্ছে না। তবে এটা নিশ্চিত যেভাবেই হোক, এ হত্যাকাণ্ডের পুনঃতদন্ত করা হবে।
এদিকে পিলখানায় বিডিআর হত্যার নেপথ্যের কারণ উদ্ঘাটনে পুনঃতদন্ত কমিশন হয়েছে কি না তা রাষ্ট্রপক্ষের কাছে জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
বিজিবিকে একগুচ্ছ নির্দেশনা দেওয়ার কথা তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, জনগণের সঙ্গে একটা সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক যেন বজায় রাখে। বিজিবির যেহেতু বর্ডারভিত্তিক কাজ করতে হয়, জনগণের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে হয়। জনগণের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখলেই কাজ করতে সুবিধা হয়। তারাই কিন্তু বিভিন্ন ধরনের সাহায্য-সহযোগিতা করে।
রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবির অবস্থান জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনুপ্রবেশ নিষেধ। কিন্তু মানবিক একটা দিক রয়েছে। ওই বেল্টে আপনারা জানেন সারা দিনই গোলাগুলি হচ্ছে। এদের কিন্তু আবার পাঠিয়ে দেওয়া হয়, খুব একটা বেশি রোহিঙ্গা ঢুকতে পারে না। এরই মধ্যে ১২ লাখ রোহিঙ্গা আছে, এখন ১৩ লাখের মতো হয়ে গেছে। তবু কিছু ঢুকছে, আমি অস্বীকার করছি না। তবে তাদের পাঠিয়েও দেওয়া হচ্ছে।
রবিবার সকালে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায়চৌধুরীর বেঞ্চ রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর কাছে বিষয়টি জানতে চান। আগামী মঙ্গলবার এ নিয়ে আদেশ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন রিটকারী আইনজীবীরা।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদর দপ্তরে বিপথগামী সদস্যরা কিছু দাবিদাওয়া আদায়ের নামে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও নির্মম হত্যাযজ্ঞের মাধ্যমে তাণ্ডব চালায়। এতে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন হত্যাকাণ্ডের শিকার হন।