এক হচ্ছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দুই বিভাগ

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ ও সুরক্ষা সেবা বিভাগকে আগের মতো একত্রীকরণ করছে সরকার। কাজের ব্যাপকতা, অধিকতর সমন্বয়, গতিশীল আনয়ন ও গুরুত্ব বিবেচনা করে এই দুই বিভাগকে জনস্বার্থে একত্রীতকরণে প্রধান উপদেষ্টা অনুশাসন দিয়েছেন।

রবিবার (৩ নভেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের পরিচালক একেএম মনিরুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ কথা বলা হয়েছে। এ বিষয়ে কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়।

চিঠিতে বলা হয়, উপর্যুক্ত বিষয় ও সূত্রের পরিপ্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ ও সুরক্ষা সেবা বিভাগ দুটির কাজের ব্যাপকতা, অধিকতর সমন্বয়, গতিশীলতা আনয়ন ও গুরুত্ব বিবেচনা করে জনস্বার্থে একত্রীকরণে প্রধান উপদেষ্টা সদয় অনুশাসন প্রদান করেছেন।

এর আগে ২০১৭ সালের ১৯ জানুয়ারি কাজের সুবিধার যুক্তিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে জননিরাপত্তা বিভাগ ও সুরক্ষা সেবা বিভাগ নামে দুটি আলাদা বিভাগ গঠন করা হয়।

জানা গেছে, দুই ভাগ করার পর কাজের সুবিধার চেয়ে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে বেশি। জননিরাপত্তা বিভাগ ও সুরক্ষা সেবা বিভাগের কর্মরতদের মধ্যে নানা সময়ে মতানৈক্য তৈরি হয় দফায় দফায়।

ভাগ করার পর জননিরাপত্তা বিভাগের অধীনে ৬টি সংস্থা রাখা হয়। সেগুলো হচ্ছে, পুলিশ, বিজিবি, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী, কোস্ট গার্ড, তদন্ত সংস্থা ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

আর সুরক্ষা সেবা বিভাগের অধীনে রাখা হয় ৪টি বিভাগ। সেগুলো হচ্ছে, বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর, কারা অধিদপ্তর, বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং ব্যবস্থা।

এখন প্রধান উপদেষ্টার অনুশাসন অনুযায়ী একত্রীকরণ হওয়ার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ১০টি অধিদপ্তর থাকবে। পুলিশ অধিদপ্তর, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড, তদন্ত সংস্থা, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যাল, ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার, বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর, কারা অধিদপ্তর, বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর এবং মাদকদ্রব্য অধিদপ্তর।