আজ কলঙ্কময় জেলহত্যা দিবস
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৩ নভেম্বর ২০২৪ ১০:৩৫ এএম
আপডেট : ০৩ নভেম্বর ২০২৪ ১১:২৯ এএম
সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ,এম মনসুর আলী ও এএইচএম কামরুজ্জামান।
আজ ৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবস। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর বন্দি করা হয় তার ঘনিষ্ঠ চার সহচর সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামারুজ্জামানকে। বঙ্গবন্ধুর খুনি চক্রই ওই বছরের ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ঢুকে হত্যা করে এই জাতীয় চার নেতাকে। পঁচাত্তরের খুনিদের দায়মুক্তিও দিয়েছিল তৎকালীন সরকার।
১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু গ্রেপ্তার হয়ে পাকিস্তানে থাকার মধ্যে তার ঘনিষ্ঠ সহচর এই চার নেতাই স্বাধীনতা যুদ্ধ এগিয়ে নিয়েছিলেন।
আওয়ামী লীগের শাসনকালে জেলহত্যা দিবস জাতীয়ভাবে পালিত না হলেও দিনটিতে দলীয় কর্মসূচি থাকত। এবার ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর কোনো কর্মকাণ্ড নেই দলটির। তবে দলের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে জেলহত্যা দিবসের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। দিবসটি স্মরণে বনানী কবরস্থানে সৈয়দ নজরুল, তাজউদ্দীন ও মনসুর আলীর কবরে শ্রদ্ধা নিবেদনের কর্মসূচি রাখা হয়েছে। পাশাপাশি জাতীয় চার নেতাসহ মুক্তিযুদ্ধ এবং দেশের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের আন্দোলনে শহীদ সবার স্মরণে দোয়া-মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।
আওয়ামী লীগের ফেসবুক পাতায় প্রকাশিত দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার এক বিবৃতিতে বলা হয়, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর দ্বিতীয় কলঙ্কজনক অধ্যায় ৩ নভেম্বর। আগস্ট হত্যাকাণ্ডের মাত্র তিন মাসের মধ্যে এইদিনে জাতির পিতার অনুপস্থিতিতে তার ঘনিষ্ঠ সহচর জাতীয় চার নেতাকে এই দিনে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। কারাগারের অভ্যন্তরে এ ধরনের বর্বর হত্যাকাণ্ড পৃথিবীর ইতিহাসে নজিরবিহীন। আমি জাতির পক্ষ থেকে জাতীয় চার নেতার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি।
জেলহত্যা দিবসের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে গত কয়েক বছর থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছেন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের পুত্র আওয়ামী লীগের সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজীম আহমেদ সোহেল তাজ। এবার আজ পদযাত্রা করে যমুনায় গিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন তিনি।
গতকাল সোহেল তাজ তার ভেরিফায়েড ফেসবুকে লিখেছেন, বিকাল সাড়ে ৩টায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের পশ্চিম পাশে সাকুরার সামনে অবস্থান নেবেন তিনি। এরপর বিকাল ৪টায় সেখান থেকে রওনা হবেন যমুনার উদ্দেশে। স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ, বৈষম্যবিরোধী চেতনায় বিশ্বাসী সবাইকে এই পদযাত্রায় অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে সোহেল তাজ লিখেছেন, “দেখতে দেখতে ৪৯ বছর পার হয়ে গেল, অথচ এখন পর্যন্ত জাতির এই ৪ বীর, যাদের নেতৃত্বে সফলভাবে মহান মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হলো, যাদের নেতৃত্বে আমরা বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র পেলাম, আজ অবধি রাষ্ট্রীয়ভাবে তাদের কোনো স্বীকৃতি নাই। এটা মেনে নেওয়া যায় না।”