শ্বেতপত্র কমিটির বৈঠক
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৭ অক্টোবর ২০২৪ ১৪:৪১ পিএম
আপডেট : ০৭ অক্টোবর ২০২৪ ১৪:৪৪ পিএম
শেরেবাংলা নগরের এনইসি সন্মেলন কক্ষে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রবা ফটো
সরকারি ব্যবস্থাপনায় দুর্নীতি বন্ধ চান বেসরকারি উন্নয়ন সহযোগীরা। তারা বলেছেন, স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত দেশে যে উন্নয়ন হয়েছে এর মধ্যে বড় অংশই অবদান রেখেছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা বা এনজিওরা। কিন্তু তাদের কোন স্বীকৃতি মেলেনি। এছাড়া কাজ করতে গিয়ে সরকারি কর্মকর্তা, সংস্থা এবং কখনও কখনও সরকারি নীতিমালার কারণে বাধাগ্রস্ত হতে হয়।
সোমবার (৭ অক্টোবর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সন্মেলন কক্ষে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির সঙ্গে বৈঠকে নেতৃবৃন্দ এসব কথা তুলে ধরেন।
শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের সভাপতিত্বে বৈঠকে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে মিলে ৭৮ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন ড. দেবপ্রিয়। এসময় শ্বেতপত্র প্রণয়ণ কমিটির সদস্য ড. সেলিম রায়হানসহ অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ড. দেবপ্রিয় বলেন, ‘প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন যে, উন্নয়নে বড় অংশীদার হলেও তাদের প্রতিনিধিত্ব থাকে না। এর ফলে তারা বৈষম্যের শিকার হন বলে মনে করেন। বর্তমান অবস্থায় মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করে মানুষকে কষ্টের হাত থেকে বাঁচাতে হলে বেসরকারি সংস্থাগুলোর ভূমিকা জোরদার করতে হবে। তারা আরও জানিয়েছেন, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো কার্যকরভাবে কাজ করতে গিয়ে সবচেয়ে বড় বাধায় পড়ে দুর্নীতির কারণে। সরকারি প্রাতিষ্ঠানের বাধাও রয়েছে। ডিসি, সরকারি কর্মকর্তা, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী এবং সরকারি ব্যবস্থাপনাকে দুর্নীতিমুক্ত করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘যেকোন কাজের উৎসাহ না দিলে সেই কাজ ভালো হয় না। এনজিওরা উন্নয়নে অনেক অবদান রাখলেও তাদের কোন স্বীকৃতি ছিল না। ফলে দেশের মানুষও তাদেও অবদান সম্পর্কে জানতে পারেনি।’
দেবপ্রিয় বলেন, ‘বৈঠকে আরও জানানো হয়েছে, দেশের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী বিশেষ করে প্রতিবন্ধী, সমতল ও পাহাড়ি আদিবাসী, ধর্মীয় সংখ্যালঘু, শিশু শ্রম ও বাল্য বিবাহের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর জন্য নানা কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। এ বিষয়ে তারা বিস্তারিত তুলে ধরেছেন। পাশাপাশি টাকা লেনদেনের ডিজিটাল পদ্ধতি, ভাতা প্রদান এবং উপবৃত্তিসহ বিভিন্ন সরকারি আর্থিক সেবা প্রদানে যে দুর্নীতি আছে সেগুলো দূর করতে হবে। এক কথায় সরকারি ব্যবস্থাপনা স্বচ্ছ, কার্যকর ও দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে।’