প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৫ অক্টোবর ২০২৪ ০০:১৬ এএম
আপডেট : ০৫ অক্টোবর ২০২৪ ১১:০৬ এএম
শুক্রবার দেশের ৮ বিভাগেই বৃষ্টি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ৩৫৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে ঢাকা বিভাগে। শুক্রবার রাজধানীর মৎস্য ভবন মোড়ে তোলা ছবি। ফোকাস বাংলা
রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে আজ শনিবারও বৃষ্টিপাত হতে পারে। ৮ বিভাগের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি আবার কোথাও মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। সঙ্গে বইতে পারে দমকা হাওয়া। গতকালও সারা দেশে বৃষ্টি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয় ঢাকা বিভাগে। এদিকে টানা বৃষ্টিপাতের ফলে নদ-নদীগুলোয় পানি বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ময়মনসিংহ বিভাগের কোনো কোনো নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। তাতে সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তার কাছাকাছি উপকূলীয় এলাকায় শুক্রবার একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চরণশীল মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে। এর প্রভাবে উপকূলীয় এলাকা, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও সমুদ্র বন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ অবস্থায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে তিন নম্বর (পুনঃ) তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে হবে।
গতকাল দেশের ৮ বিভাগেই বৃষ্টি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে ঢাকা বিভাগে। সেখানে ৩৫৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। তা ছাড়া রাজশাহীতে ৮৪, রংপুরে ১৬, ময়মনসিংহে ২৩১, সিলেটে ৬৪, চট্টগ্রামে ৭৮, খুলনায় ৯২ ও বরিশাল বিভাগে ১৫ মিলিমিটারসহ সারা দেশে ৯৩৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান জানান, ময়মনসিংহ বিভাগের ভুগাই-কংস, সোমেশ্বরী ও জিঞ্জিরাম নদগুলোর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং ভুগাই নদী শেরপুর জেলার নাকুয়াগাঁও পয়েন্টে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায়, ভুগাই-কংস, সোমেশ্বরী ও জিঞ্জিরাম নদগুলোর পানি সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে, এবং শেরপুরের ভুগাই নদীর ভাটিতে নেত্রকোণার কংস নদ এবং জামালপুরের জিঞ্জিরাম নদ বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। এর ফলে ভুগাই-কংস নদ-সংলগ্ন শেরপুর, ময়মনসিংহ ও নেত্রকোণা এবং জিঞ্জিরাম নদ সংলগ্ন জামালপুর জেলার কতিপয় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত সিলেট বিভাগ ও তৎসংলগ্ন উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের প্রবণতা রয়েছে, যার প্রেক্ষিতে সুরমা ও কুশিয়ারা নদীগুলোর পানি সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে। তা ছাড়া খোয়াই ও ধলাই নদগুলোর পানি আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে, তবে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।