প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৩ নভেম্বর ২০২২ ১৫:২১ পিএম
আপডেট : ২৩ নভেম্বর ২০২২ ১৬:১১ পিএম
এ কে এম রেজাউল করিম রতন। ফাইল ছবি
কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের মামলার আসামি উপসচিব এ কে এম রেজাউল করিম রতনকে অবশেষে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। ধর্ষণ মামলার আসামি হওয়ায় আগে থেকেই সাময়িক বরখাস্ত অবস্থায় ছিলেন তিনি। এবার বিভাগীয় মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে অবসরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
রেজাউল করিম রতনকে অবসরে পাঠানো সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে সোমবার স্বাক্ষর করেছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী। অবশ্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিভাগীয় মামলায় রেজাউলের বিরুদ্ধে ‘অসদাচরণের’ অভিযোগ আনা হয়েছে।
শিক্ষা ক্যাডার (১৪ ব্যাচ) থেকে উপসচিব হয়ে প্রেষণে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীনে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন রেজাউল। ২০১৯ সালে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। বরখাস্ত থাকার সময়টিকে বিশেষ ছুটি হিসেবে বিবেচনা করেছে সরকার।
গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক হওয়ার আগে মোহাম্মদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন রেজাউল। ২০১৭ সালে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই কলেজের একজন ছাত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন তিনি। পরে তাদের মধ্যে বিরোধ দেখা দিলে রেজাউলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেন ওই ছাত্রী। ওই মামলায় ২০১৯ সালের ১২ অক্টোবর হাজারীবাগ থানা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন রেজাউল।
এ ঘটনায় বিভাগীয় মামলা হওয়ার পর রেজাউলকে অভিযোগের বিষয়ে ব্যাক্তিগত শুনানি এবং লিখিতভাবে জবাব দেওয়ার সুযোগ দেয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। কিন্তু তার জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় রেজাউলকে সরকারি চাকরি হতে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়ার সুপারিশ করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। এরপর এ বিষয়ে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) মতামত চাওয়া হলে তারাও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একমত পোষণ করে। চূড়ান্তভাবে সেটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে গেলে তিনি রেজাউলের বিরুদ্ধে শাস্তি অনুমোদন করেন।