ফসিহ উদ্দীন মাহতাব
প্রকাশ : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৯:২৯ এএম
আপডেট : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১০:১৫ এএম
ছবি: সংগৃহীত
দেশের পূর্ব-উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে গত মাসে আকস্মিক বন্যায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বন্যায় মানুষের প্রাণহানির পাশাপাশি গবাদি-পশুপাখি, কাঁচা-পাকা ঘরবাড়ি ও ফসল বিনষ্ট হয়। দুর্যোগ মোকাবিলায় রাষ্ট্রের পাশাপাশি সাধারণ মানুষ বানভাসি মানুষের পাশে এসে দাঁড়ায়।
ওই দুর্যোগের ক্ষতির মাত্রা তাৎক্ষণিক কমিয়ে আনার লক্ষ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) কিছু সরঞ্জাম ও স্থাপনা উদ্ধার তৎপরতায় কাজে লাগানো হয়। এতে বানভাসি মানুষগুলোকে দ্রুত উদ্ধার তৎপরতার মাধ্যমে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়। পাশাপাশি জরুরি ভিত্তিতে অসহায় পরিবারের মাঝে ত্রাণ পৌঁছানো এবং ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমকে ত্বরান্বিত করা যায়। এ কাজে বিআইডব্লিউটিএ ২৫টি স্পিডবোট ও ২টি ট্রলার নিয়োজিত রাখা হয়। একই সঙ্গে সংস্থাটির বিভিন্ন জেলায় নির্মিতব্য নৌ ও মানুষ চলাচলের সুবিধার্থে তৈরি জেটিগুলো ব্যাপক সহায়ক হিসেবে কাজ করে।
এর মধ্যে ভাড়ায় নেওয়া একটি স্পিডবোট গত ২৫ আগস্ট নিখোঁজ হলেও এখনও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি বলে জানা গেছে।
এ ছাড়া বানভাসি মানুষের মধ্যে ত্রাণ বিতরণে সংস্থাটির নির্মিত ঘাটের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বর্তমানে এগুলো মানুষ পারাপার ও ব্যবহারে অনুপযোগী হয়ে পড়ায় তা মেরামতে ৭০ লাখ টাকার চাহিদাপত্র প্রস্তুত করা হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএর ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, বিআইডব্লিউটিএর ঘাটগুলো থাকার কারণে ত্রাণ কার্যক্রম দুর্গত মানুষের কাছে দ্রুত পৌঁছানো সম্ভব হয়েছিল। কারণ কয়েকটি জেলার পুরো এলাকা ভারত থেকে আসা পানির তোড়ে তলিয়ে গিয়েছিল। দেশি-বিদশি অনুদানের পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় উদ্ধার তৎপরতায় নৌযান ও দ্রুতগামীর স্পিডবোট ব্যবহারের কারণে অনেক মানুষের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছিল। বন্যার ক্ষত কমে আসার পর দেখা যাচ্ছে আমাদের ঘাটগুলোর অবস্থা শোচনীয় পর্যায়ে চলে গেছে। এখন এগুলো সংস্কার জরুরি। তাই ক্ষতির সম্ভাব্য একটি পরিসংখ্যান তৈরি করা হয়েছে সেখানে ৭০ লাখ টাকার মতো খরচ হতে পারে এমন ধারণা থেকে প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে।