প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১২:৩৯ পিএম
বন্যাকবলিত রাঙামাটির লংগদু উপজেলার মোহাম্মদুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। প্রবা ফটো
সাম্প্রতিক সময়ে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় দুর্গত জেলাগুলোর শিক্ষা খাতে দেখা দিয়েছে বিপর্যস্ত অবস্থা। ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুরসহ কয়েকটি জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। ধীরগতিতে পানি নামার কারণে এসব জেলার অনেক স্থানেই বাড়ি ফেরার মতো অবস্থা তৈরি হয়নি দুর্গত মানুষদের। ফলে এসব প্রতিষ্ঠানে সহসাই পাঠদান শুরুর সম্ভাবনা নেই। এ ছাড়াও বন্যার পানিতে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তলিয়ে ভবন ও আসবাব মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মেরামত করা ছাড়া অনেক প্রতিষ্ঠানই খোলা সম্ভব নয়। এসব স্কুল-মাদ্রাসা কবে খুলবে, কেউ সঠিকভাবে বলতে পারছে না। তবে কিছু কিছু স্থানে বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় অনেক শিক্ষাকেন্দ্রে শুরু হয়েছে শ্রেণিকার্যক্রম।
গত সোমবার প্রকাশিত মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) বন্যা-পরবর্তী প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যায় এক হাজার ২০৬ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে ক্ষতির পরিমাণ ৩৭ কোটি ৩৮ লাখ ৭০ হাজার ৮০০ টাকা। ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৫৬৫টিতে এখনই ক্লাস চালু করা সম্ভব হবে না।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, চট্টগ্রাম অঞ্চলের ৮৪৪ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ২৪ কোটি ৯৪ লাখ ৮৫ হাজার ৮০০ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ অঞ্চলে বর্তমানে ৬১৮ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস চলছে। বাকি প্রতিষ্ঠানগুলোতে ক্লাস চালু করা এখনই সম্ভব নয়। চট্টগ্রাম অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে নোয়াখালী জেলায়। জেলাটিতে ৫৬৩ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১২ কোটি ২৬ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া ফেনীতে ২৮১ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১১ কোটি ৬৫ লাখ ৫ হাজার ৮০০ টাকা ও চট্টগ্রামে ২৫ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্ষতি হয়েছে এক কোটি ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকার। কুমিল্লায় মোট ৩৩৪ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১২ কোটি ১৫ লাখ ৬৫ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। জেলায় ২০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস চলমান। বাকি ৩১৪টিতে এখনই পাঠদান চালু করা যাবে না।
কুমিল্লা অঞ্চলের লক্ষ্মীপুরে ৫৪টি, চাঁদপুরে ৪০টি, কুমিল্লায় ২৪০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে কুমিল্লা জেলায় ১৭ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস চলমান। বাকি ২২৩টি ক্লাস চালুর অযোগ্য হয়ে পড়েছে। চাঁদপুরে ৩টিতে ক্লাস চলমান। বাকি ৩৭টি পাঠদানের অযোগ্য অবস্থায় রয়েছে। সিলেট অঞ্চলে মোট ২৮ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ২৮ লাখ ২০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। তবে এ অঞ্চলে ২৮টি প্রতিষ্ঠানেই পাঠদান চলমান আছে।
বন্যায় বিপর্যস্ত ফেনীর শিক্ষাব্যবস্থা
গত ২০ আগস্ট থেকে পাঠদান বন্ধ রয়েছে ফেনীর প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও কলেজসহ ৯২০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। এ পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো কবে খুলবে সে ব্যাপারে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, ৫৫৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১৯৩টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১২৮টি মাদ্রাসা, ৩০টি কলেজ, ১০টি কারিগরি, ডিপ্লোমা ও প্রশিক্ষণ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
অভিভাবকরা বলছেন, বন্যায় অনেক শিক্ষার্থীর বইপত্র ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে। এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে টানা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় পাঠদান থেকে দূরে সরে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
পরশুরাম উপজেলার সামিয়া আন্জুম নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, বাড়িতে বন্যার পানি প্রবেশ করায় অন্যত্র গিয়ে এক আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলাম। ঘরে থাকা বইপত্র কিছুই বাঁচানো যায়নি। এ পরিস্থিতিতে স্কুল কবে খুলবে সেটাও জানি না।
এদিকে জেলার সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত সোনাগাজী উপজেলায় স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাসহ মোট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ১৮৮টি। এর সবক’টি ২০ আগস্ট থেকে বন্ধ। বন্যার পানি কমায় গত রবিবার থেকে কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললেও বাকিগুলো কবে খুলবে সে ব্যাপারে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
ফেনী জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শফী উল্লাহ বলেন, প্রতিষ্ঠানগুলোতে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে সে বিষয়ে তালিকা হচ্ছে। উপজেলা পর্যায়ে শিক্ষা কর্মকর্তা ও স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানকে শ্রেণিকার্যক্রম শুরু করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ফেনী জেলা প্রশাসক শাহীনা আক্তার বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। এ বিষয়ে লিখিত প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে।
নোয়াখালীর দেড় হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আশ্রয়কেন্দ্র
ভয়াবহ বন্যায় নোয়াখালীর ৮ উপজেলা ও ৭ পৌরসভার প্রায় দেড় হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়। যেখানে আশ্রয় নেন ৩ লাখেরও বেশি মানুষ।
জেলা প্রশাসকের তথ্যমতে, জেলার আশ্রয়কেন্দ্রগুলো থেকে প্রায় ১ লাখ মানুষ বাড়ি ফিরে গেছে। এখনও ১ হাজার ৬৩টি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ২ লাখ মানুষ রয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এসব প্রতিষ্ঠানে পাঠদান শুরু হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের জয়কৃষ্ণপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নেন সাবেক শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস। তিনি বলেন, যে বিদ্যালয় থেকে পড়ালেখা করেছি, সেখানেই আশ্রয় নেব তা কখনও ভাবিনি। এখানে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এখনও পানিবন্দি অবস্থায় আছি। নৌকা ছাড়া চলাচল করা যাচ্ছে না।
বিদ্যালয়ের আরেক সাবেক শিক্ষার্থী ইয়াছমিন আক্তার বলেন, আমি এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। পড়ালেখা বর্তমানে বন্ধ। মানুষ ঠিকমতো খাবার পাচ্ছে না, সুপেয় পানি পাচ্ছে না। বেঁচে থাকলে পড়ালেখা হবে।
জেলা শিক্ষা অফিসার নুর উদ্দিন মো. জাহাঙ্গীর বলেন, নিজেদের বাড়িঘর ডুবে যাওয়ায় তারা নিকটস্থ বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। যতদিন তারা অবস্থান করবেন ততদিন বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ থাকবে। বিদ্যালয়গুলো ঠিক হতে সময় লাগবে।
ছাত্র আন্দোলন পরবর্তী বন্যায় বেহাল কুমিল্লার শিক্ষা খাত
জুলাই মাসের শেষভাগ থেকে দেশজুড়ে ছাত্র আন্দোলনের প্রভাব কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই এলো বন্যা। এ দুইয়ের প্রভাবে বেহাল কুমিল্লার শিক্ষা খাত। জেলা শিক্ষা অফিস ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, বন্যায় জেলায় ৬৩৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ২৪০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার মধ্যে ১০৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ২২৩টি উচ্চ বিদ্যালয় পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়া এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সংস্কার বা মেরামতের আগে পাঠদান কার্যক্রম চালানো সম্ভব নয় বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।
কুমিল্লার বন্যাদুর্গত এলাকার অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। জেলার বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির পথে। কিন্তু শতভাগ উন্নতি না হলে বিদ্যালয়গুলো আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে থেকে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে জুলাই-আগস্টের পর সেপ্টেম্বরের শেষভাগ পর্যন্ত দুর্গত এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার শঙ্কা রয়েছে। এতে করে এসএসসি পরীক্ষার্থীসহ অন্য শিক্ষার্থীদের ক্ষতি দীর্ঘায়িত হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এ ছাড়াও বন্যার পানিতে তলিয়ে গিয়ে অনেক শিক্ষার্থীর বই-খাতা নষ্ট হয়েছে।
লক্ষ্মীপুরে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৬৫৯ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
লক্ষ্মীপুরে আকস্মিক বন্যায় জেলায় ৬৫৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ৬২টি, মাধ্যমিক-স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও কলেজের ৮৪টি এবং প্রাথমিকের ৫১৩টি প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে প্রায় ৫ কোটি ৯০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর।
লক্ষ্মীপুর জেলা শিক্ষা অফিসের সহকারী পরিদর্শক ইব্রাহিম খলিল বলেন, লক্ষ্মীপুরে ১৮৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ৮৬টি আশ্রয়ণ কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। মাদ্রাসা ও কলেজ আমাদের অধীনে নয়। এজন্য কতটি মাদ্রাসা ও কতটি কলেজ আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে তা জানা নেই।
লক্ষ্মীপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবদুল লতিফ মজুমদার বলেন, আমাদের ৭৩২টি বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ২০৪টি আশ্রয়ণ কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। বন্যায় ৫১৩টি প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে প্রায় ৫ কোটি ৯০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। যেসব বিদ্যালয়ে আশ্রয়ণ কেন্দ্র রয়েছে, তন্মধ্যে সবগুলোতে পানি ওঠেনি। আবার যেগুলো আশ্রয়ণ কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার হয়নি, সেগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখন অধিকাংশ বিদ্যালয়ই বন্ধ।
রাঙামাটিতে ২৪ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ
বন্যায় আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করায় ও বিদ্যালয় বন্যায় কবলিত হওয়ায় রাঙামাটি জেলার চারটি উপজেলায় ২৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, টানা ভারী বৃষ্টিপাতে বিদ্যালয়ে পানি ওঠায় ও বন্যায় আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ায় রাঙামাটির চার উপজেলায় ২৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণি পাঠদান বন্ধ রয়েছে। বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে রয়েছে বাঘাইছড়ি ২টি, লংগদু ২০টি, জুরাছড়ি ১টি ও বরকল ১টি।
রাঙামাটি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হৃষীকেশ শীল বলেন, জেলার চারটি উপজেলায় ২৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্যায় আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার ও বিদ্যালয়ে পানি ওঠায় ছাত্র-ছাত্রীরা বিদ্যালয়ে আসতে না পারার কারণে ক্লাস স্থগিত রয়েছে।
ফটিকছড়ির বন্যায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষয়ক্ষতি
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায় অনেক স্কুলে পানি উঠলেও বই-খাতাসহ শিক্ষাসামগ্রীর তেমন একটা ক্ষতি হয়নি। তবে বন্যায় উপজেলার ৪১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্কুলের টিন, শ্রেণির কক্ষের ফ্লোর নষ্টসহ বেঞ্চ ও ফার্নিচারের বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৮৫ লাখ টাকার মতো।
উপজেলা ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘বন্যায় অনেক স্কুলে পানি উঠেছে। এতে বই-খাতাসহ অন্যান্য ডকুমেন্ট নষ্ট না হলেও শ্রেণিকক্ষের ফ্লোর, বেঞ্চসহ অনেক ফার্নিচার নষ্ট হয়েছে।’
মাধ্যমিকের ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ড. সেলিম রেজা বলেন, ‘বন্যায় উপজেলার বাগানবাজার, চিকনছড়া, হারুয়ালছড়ি ও সুয়াবিলে বেশ কিছু স্কুলে পানি ঢোকে। তবে তেমন বড় ক্ষতি হয়নি।'