প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২৩:৪৫ পিএম
আপডেট : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২৩:৪৬ পিএম
শহীদি মার্চ কর্মসূচি। প্রবা ফটো
হাসিনা সরকারের পতনের একমাস পূর্তি উপলক্ষে ‘শহীদি মার্চ’ কর্মসূচি পালন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। কর্মসূচি থেকে পাঁচ দফা দাবি জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসব দাবি তুলে ধরেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা।
দাবিগুলো হলো:
১। গণহত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
২। শহীদদের পরিবারকে দ্রুত আর্থিক ও আইনি সহযোগিতা দিতে হবে।
৩। প্রশাসনে দুর্নীতিবাজ ও ফ্যাসিস্টদের দোসরদের চিহ্নিত করে অনতিবিলম্বে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
৪। গণভবনকে জুলাই স্মৃতি যাদুঘর ঘোষণা করতে হবে। এবং
৫। রাষ্ট্র পুনর্গঠনের রোডম্যাপ দ্রুত ঘোষণা করতে হবে।
সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে যে দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে, এই আন্দোলনের শহীদ ভাইদের রক্ত এবং তাদের স্পিরিট কখনও বৃথা যেতে দেব না। এখনও অনেক ফ্যাসিস্টের অস্তিত্ব রয়েছে। কোনো চাঁদাবাজ ও সিন্ডিকেট এই বাংলাদেশে হবে না।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের যে ভাইয়েরা এই স্বাধীনতা আনতে রক্ত দিয়েছেন, আমরা তাদের রক্তের মূল্য দিতে যে কোনো সময় নিজেদের রক্ত দিতে প্রস্তুত আছি।’
আরেক সমন্বয়ক আবদুল কাদের বলেন, ‘দেশে কোনো বৈষম্য থাকবে না- এমন স্বপ্ন নিয়ে আমাদের ভাইয়েরা নিজের বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছেন। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত ছিল তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। দেশকে পুনর্গঠনের লড়াই আমাদের চালিয়ে যেতে হবে।’
এর আগে দুপুর থেকে বিভিন্ন স্কুল, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ দলবেঁধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে এসে জড়ো হন। পরে সেখান থেকে বিশাল মিছিল নিয়ে শহীদি মার্চ শুরু হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, কারিগরি, মাদ্রাসা ও স্কুলের শিক্ষার্থীসহ লাখো মানুষ অংশ নিয়েছেন।
মার্চটি নীলক্ষেত, সায়েন্সল্যাব ও কলাবাগান হয়ে সংসদ ভবন যায়। এরপর ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, রাজু ভাস্কর্য হয়ে শহীদ মিনারে এসে থামে।