প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১২:১৩ পিএম
আপডেট : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১২:২৬ পিএম
সংবাদ সম্মেলনে আসার আগে সচিবালয়ের সব কর্মকর্তার সঙ্গে ‘সৌজন্য বিনিময়’ করছেন নির্বাচন কমিশনাররা। প্রবা ফটো
সংবাদ সম্মেলনের আগে সচিবালয়ের সব কর্মকর্তার সঙ্গে ‘সৌজন্য বিনিময়’ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ পাঁচ কমিশনার।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। এ সংবাদ সম্মেলন থেকেই আউয়াল কমিশন পদত্যাগ করতে পারে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে পদত্যাগপত্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
তাদের পদত্যাগ কেন্দ্র করে নির্বাচন কমিশন এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। আইডি কার্ড ছাড়া ভেতরে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
সচিবালয়ের সব কর্মকর্তার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে তারা বলেছেন, একতরফা ও কম ভোটার উপস্থিতির দায় আমাদের নয়।
বুধবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং চার নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগের কথা শোনা গেলও শেষ পর্যন্ত তা আর হয়নি।
তবে ধারণা করা হচ্ছে, আজই পদত্যাগ করতে পারেন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল এবং নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান, বেগম রাশিদা সুলতানা, মো. আলমগীর ও মো. আনিসুর রহমান।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্বাচন সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে পদত্যাগের ঘোষণা দিতে পারেন তারা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিইসি গতকাল দুপুরে সাংবাদিকদের বলেন, এটা নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলব।
সিইসির এ মন্তব্যের কয়েক মিনিট পর নির্বাচন কমিশনের জনসংযোগ বিভাগ গণমাধ্যমকে জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে কমিশন গণমাধ্যমের সঙ্গে ‘শুভেচ্ছা বিনিময়’ করবে।
নির্বাচন কমিশনের অন্তত দুই শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সিইসি ও চার ইসি পদত্যাগের পর নির্বাচন কমিশন সচিবালয়কে তাদের পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে পাঠাতে বলবেন।
৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান। ৬ আগস্ট রাষ্ট্রপতি দ্বাদশ সংসদ ভেঙে দেন।
নির্বাচন কমিশন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সংসদ ভেঙে দেওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা থাকায় নির্বাচন কমিশনাররা পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন ২০২২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি পাঁচ বছরের জন্য কার্যভার গ্রহণ করে।
আওয়ামী লীগ শাসনামলে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল নির্বাচন কমিশন। বর্তমান নির্বাচন কমিশন গত জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সমালোচিত হয়েছে। সেই নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক দেখাতে ডামি স্বতন্ত্র প্রার্থী দিতে হয়েছিল আওয়ামী লীগকে।