প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৬ আগস্ট ২০২৪ ১৩:২০ পিএম
আপডেট : ২৬ আগস্ট ২০২৪ ১৪:৩৭ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
দেশকে এগিয়ে নিতে হলে ধর্মবর্ণনির্বিশেষে ভেদাভেদ ভুলে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। একই সঙ্গে দেশের এ সংকটকালে বানভাসি মানুষের পাশে দাঁড়াতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
সোমবার (২৬ আগস্ট) জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বঙ্গভবনে শুভেচ্ছা বক্তব্যে রাষ্ট্রপতি বলেন, আমি আশা করি পরোপকারের মহান ব্রত নিয়ে যার যতটুকু সামর্থ্য আছে তা দিয়েই অসহায় ও দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য দলমতনির্বিশেষে সবাই এগিয়ে আসবেন। জাতীয় অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে সমাজে বিদ্যমান সম্প্রীতি ও পারস্পরিক সৌহার্দ্য অটুট রাখতে হবে।
রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ১১ জেলা ভয়াবহ বন্যায় ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যাকবলিত এলাকার লোকজন মানবেতর জীবনযাপন করছে। অসহায় এসব লোকের নিরাপদ আশ্রয়ের পাশাপাশি জীবনধারণের জন্য খাদ্য, পানি, ওষুধসহ বহুমুখী সহায়তা প্রয়োজন। সরকার বন্যাকবলিত মানুষের সহায়তায় সর্বাত্মক প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতাও তাদের সাধ্যমতো সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন।
শ্রীকৃষ্ণকে হিন্দুধর্মের একজন পরোপকারী ও মানবদরদি মানুষ এবং সমাজ সংস্কারক হিসেবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, সমাজ থেকে অন্যায়-অত্যাচার, নিপীড়ন ও হানাহানি দূর করে মানুষে মানুষে অকৃত্রিম ভালোবাসা ও সম্প্রীতির বন্ধন গড়ে তোলাই ছিল শ্রীকৃষ্ণের মূল দর্শন। বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আমাদের সংস্কৃতির অনন্য বৈশিষ্ট্য। জাতীয় অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে সমাজে বিদ্যমান সম্প্রীতি ও পারস্পরিক সৌহার্দ্য অটুট রাখতে হবে।
বাংলাদেশের সংবিধান সব নাগরিকের সমান অধিকারের নিশ্চয়তা দিয়েছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে হলে ধর্মবর্ণনির্বিশেষে ভেদাভেদ ভুলে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। সব ধর্মের মূল বাণী হচ্ছে মানবকল্যাণ এবং ধর্মীয় মূল্যবোধকে দেশ ও জনকল্যাণে কাজে লাগাতে হবে। পারস্পরিক সহমর্মিতা, সম্প্রীতি ও মানবিক মূল্যবোধের বন্ধনে নতুন প্রজন্মের জন্য একটি প্রগতিশীল ও শান্তিপূর্ণ সামাজিক ব্যবস্থা গড়ে তোলাই হোক এবারের জন্মাষ্টমীর অঙ্গীকার।
তিনি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সম্প্রীতি ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য তুলে ধরতে সমাজে ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখার পাশাপাশি পরমতসহিষ্ণু ও সহনশীল আচরণ করতেও সবার প্রতি অনুরোধ জানান। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বার্তা প্রদান শেষে রাষ্ট্রপতি দরবার হলে অতিথিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।