বন্যা মোকাবিলা
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৪ আগস্ট ২০২৪ ২০:৩৫ পিএম
আপডেট : ২৪ আগস্ট ২০২৪ ২১:১১ পিএম
শনিবার বিকালে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় ৪৪টি এনজিও প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা। ছবি : সংগৃহীত
বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সবার সমন্বিত উদ্যোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, যেভাবে দেশের মানুষ এগিয়ে এসেছে তাতে আমি অভিভূত।
শনিবার (২৪ আগস্ট) বিকালে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় ৪৪টি এনজিও প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা।
প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে চলা বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে সমন্বিতভাবে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। এক্ষেত্রে দাতা সংস্থা ও প্রবাসীদের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহের বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।
প্রেস সচিব আরও জানান, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল, পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলো ভয়াবহ বন্যা আক্রান্ত। ১১ জেলায় পানিবন্দি লাখ লাখ মানুষ। দিশেহারা এসব বন্যার্তদের সহায়তায় ঝাঁপিয়ে পড়েছে দেশ-বিদেশে সব শ্রেণি পেশার বাংলাদেশিরা। ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশের এ অভিপ্রায় দেখে অভিভূত প্রধান উপদেষ্টা।
প্রেস সচিব জানান, ৪৪টি এনজিও প্রতিনিধির সঙ্গে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা। বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের পর দাতা সংস্থা ও প্রবাসীদের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করে সমন্বিতভাবে কাজ করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। বন্যা আক্রান্ত এলাকায় ডিজেল পাঠিয়ে মোবাইল টাওয়ার চালু রাখার ও বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করার নির্দেশ দিয়েছেন ড.ইউনূস।
শফিকুল আলম জানান, প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, সরকার এই মুহূর্তে বন্যা মোকাবিলাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে। আমাদের অব্যশই এ পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে। সবাই মিলে এ দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি আরও জানান, কোটি কোটি মানুষ বন্যায় উদ্ধার কার্যক্রম ও ত্রাণ নিয়ে এগিয়ে আসছে। তাদের মহৎ উৎসাহের যথার্থ ব্যবহার নিশ্চিত করা জরুরি। এজন্য আমাদের সবাইকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পরে আরও বেশি কাজ করতে হবে বলে এসব কথা উল্লেখ করে ড. ইউনূস বন্যা পরবর্তী খাদ্য ও স্বাস্থ্যঝুঁকিসহ সার্বিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব পক্ষকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।
বন্যা মোকাবিলায় উদ্ধার কার্যক্রম ও ত্রাণ বিতরণসহ আনুষঙ্গিক কার্যক্রমের ক্ষেত্রে সমন্বয় বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করে এটি মোকাবিলায় সরকার, এনজিওসহ যারা যারা কাজ করছেন, তাদের সবার মধ্যে সমন্বয় বাড়াতে হবে। সম্ভব হলে জেলা পর্যায়েও বন্যা মোকাবিলার কাজে সমন্বিতভাবে করতে হবে জানিয়েছেন ড. ইউনূস। বলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব।
বৈঠক শেষে বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর কীভাবে সংকট মোকাবিলায় করা যায় বা একসঙ্গে কাজ করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক।
জোনভিত্তিক ভাগ করে ত্রাণ কার্যক্রম বন্যাকবলিত সবার দরজায় পৌঁছানোর বিষয়েও বৈঠকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলেও জানানো হয়।