প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৬ আগস্ট ২০২৪ ১৬:৪৪ পিএম
আপডেট : ১৬ আগস্ট ২০২৪ ১৮:০৭ পিএম
হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান। ফাইল ছবি
সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানকে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করবে পুলিশ। এর আগে বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) মধ্যরাতে রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকা থেকে তাকে আটক করে নিউমার্কেট থানার একটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বর্তমানে তিনি ডিবি কার্যালয়ে রয়েছেন।
শুক্রবার (১৬ আগস্ট) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিউমার্কেট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সজিব মিয়া এ রিমান্ড আবেদন করবেন। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরফাতুল রাকিবের আদালতে জিয়াউল আহসানের উপস্থিতিতে রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
শুক্রবার দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) এডিসি (মিডিয়া) মো. ওবায়দুর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) গভীর রাতে ঢাকার খিলক্ষেত এলাকা থেকে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক জিয়াউল আহসানকে গ্রেপ্তার করা হয়। কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় গত ১৬ জুলাই দোকান কর্মচারী শাহজাহান আলীকে হত্যার অভিযোগে তার মা আয়েশা বেগম মামলাটি করেন।
মামলায় বলা হয়েছে, শাহজাহান আলী নিউমার্কেট থানার মিরপুর রোডের বলাকা সিনেমা হলের গলির মুখে পাপোশের দোকানে কাজ করত। প্রতিদিনের মতো গত ১৬ জুলাই সকাল ৯টার দিকে দোকানে কাজ করার জন্য আসে। ওইদিন সন্ধ্যায় অজ্ঞাতনামা একজন মামলার বাদীকে মোবাইল ফোনে কল দিয়ে জানায় যে, শাহজাহান আলী গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ধানমন্ডি পপুলার হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। সেখানে গিয়ে তিনি জানতে পারেন, উন্নত চিকিৎসার জন্য শাহজাহানকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে গিয়ে ছেলের মরদেহ শনাক্ত করেন তিনি।
এর আগে ৬ আগস্ট শীর্ষ পদগুলোতে বড় রদবদল আনে সেনাবাহিনী। সে সময় জিয়াউলকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া।
জিয়াউল আহসান র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (গোয়েন্দা) হিসেবে বহুল পরিচিত ছিলেন। সে সময় তিনি কর্নেল পদমর্যাদার কর্মকর্তা ছিলেন। সেনাবাহিনীর এই কর্মকর্তা চাকরিচ্যুতের আগ পর্যন্ত এনটিএমসির মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। ফোনে আড়ি পাতা হয় বলে সরকারের এই সংস্থাটি বহুল পরিচিত।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঢাকাসহ দেশের অন্তত ৪৫০টি থানায় হামলা ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। বিশেষ করে, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর পুলিশ সদর দপ্তর, বিভিন্ন জেলা পুলিশের কার্যালয়, ট্রাফিক পুলিশ বক্সসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর হয়। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় অনেক থানা ভবনে। লুট করা হয় অস্ত্র গোলাবারুদ ও সরঞ্জাম। এরপর থেকেই সারা দেশের থানাগুলো পুলিশশূন্য হয়ে পড়ে। শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর গত ৭ আগস্ট ভোরে জিয়াউল দেশ ছাড়ার চেষ্টা করলে তাকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।