× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

বজলুর গডফাদার কে

জামশেদ নাজিম, শহিদুল ইসলাম রাজী ও সাইফুল ইসলাম

প্রকাশ : ২০ নভেম্বর ২০২২ ০০:০৪ এএম

আপডেট : ২০ নভেম্বর ২০২২ ০৯:২৪ এএম

শনিবার দুপুরে বজলুকে রূপগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে র‍্যাব। ছবি : প্রবা

শনিবার দুপুরে বজলুকে রূপগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে র‍্যাব। ছবি : প্রবা

অবশেষে র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন চনপাড়া বস্তির আতঙ্ক বজলুর রহমান ওরফে বজলু মেম্বার। রাজধানীর অদূরে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নে অবস্থিত চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্র ঘিরে অস্ত্র-মাদক ও অপরাধীদের যে ‘অভয়াশ্রম’ গড়ে উঠেছে, তার প্রধান নিয়ন্ত্রক হিসেবে বরাবরই আলোচনায় ছিলেন বজলু। হত্যাসহ ২৩টি মামলার আসামি হওয়ার পরও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সামনে নির্বিঘ্নেই নিজের অপকর্ম চালিয়ে গেছেন কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের এই সদস্য (মেম্বার); যিনি একাধারে রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগেরও সদস্য। একজন নিতান্ত সাধারণ ইউপি মেম্বার হয়ে কোন ক্ষমতাবলে গত ১৪ বছর ধরে চনপাড়ায় অপরাধের সাম্রাজ্য ধরে রেখেছিলেন বজলু? কার ছত্রছায়ায় এমন অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছিলেন তিনি? ডন হিসেবে কুখ্যাত বজলুর গডফাদার কে বা কারা?

এমন নানা প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গতকাল শনিবার দিনভর সরেজমিন অনুসন্ধান চালানো হয় চনপাড়া এলাকায়। এর আগে গত শুক্রবার বিকালে র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হন বজলু। গ্রেপ্তারের সময় তার কাছ থেকে গুলি ও ম্যাগাজিনসহ বিদেশি পিস্তল এবং জাল টাকা জব্দ করেছে র‌্যাব। বুয়েটছাত্র ফারদিন নূর পরশের মৃত্যুর পর নতুন করে আলোচনায় উঠে আসে মাদকের আখড়া হিসেবে পরিচিত চনপাড়া। একই সঙ্গে আলোচনা শুরু হয় চনপাড়ার ডন বজলুকে ঘিরে। যেহেতু তার ইশারা ছাড়া একটি পাতাও নড়ে না চনপাড়ায়, সেই সূত্রে তদন্তসংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন, ফারদিনের মৃত্যুর সঙ্গেও বজলুর সম্পৃক্ততা রয়েছে। অবশ্য বজলুকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে সম্প্রতি চনপাড়ায় মাদক উদ্ধার অভিযানে যাওয়া র‌্যাব সদস্যদের ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বজলু চনপাড়া ঘিরে অবৈধ কারবার, চাঁদাবাজিসহ সকল অপরাধে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। গতকাল দুপুরে রূপগঞ্জ থানায় সোপর্দের সময় বজলুর বিরুদ্ধে আরও তিনটি মামলা করেছে র‌্যাব।

গতকাল চনপাড়ায় গিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বজলুর গ্রেপ্তারের খবরে তাদের মনে স্বস্তি ফিরলেও এখনও আতঙ্ক কাটেনি। তাই বজলুর গ্রেপ্তারের পরও তাকে নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খোলার সাহস নেই কারও। চনপাড়ার মানুষ বলছেন, গত ১৪ বছর ধরে যে পরাক্রমশালী বজলুকে দেখছেন তারা, সেই বজলু কখনও গ্রেপ্তার হবেন সে কথাও কখনও ভাবেননি কেউ। শেষ পর্যন্ত বজলু গ্রেপ্তার হয়েছেন বটে, কিন্তু কতদিন তাকে জেলে আটকে রাখা যাবে সে নিয়ে সংশয় রয়েছে সবার। এখন কিছু বললে ফিরে এসে বজলু যদি প্রতিশোধ নেয়। এই ভয়ে কথা বলতে রাজি নন বেশিরভাগ মানুষ। কারণ বজলু গ্রেপ্তার হলেও তার গডফাদারেরা এখনও আছেন আগের মতোই।

সেই গডফাদারেরা কারা? এমন প্রশ্নের জবাবে সরাসরি মন্তব্যও করতে রাজি হলেন না চনপাড়ার বেশিরভাগ মানুষ। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন জানালেন, চনপাড়ায় এক চক্কর ঘুরলেই বোঝা যাবে কাদের ছত্রছাত্রায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছিলেন বজলু।

চনপাড়ার গডফাদার বজলুর রহমান বজলু মেম্বারকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। পরে হস্তান্তর করা হয় পুলিশের কাছে। 


এমন কথার সূত্র ধরে চনপাড়ার অলিগলিতে ঘুরে দেখা গেল দেয়ালে দেয়ালে বজলুর ছবিসংবলিত বিপুল সংখ্যক ব্যানার-পোস্টার। এসব ব্যানার-পোস্টারে বজলুর মাথার ওপরে রয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য; যিনি মন্ত্রিপরিষদেরও প্রভাবশালী সদস্য এবং তার ছেলের ছবি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চনপাড়ার একাধিক বাসিন্দার দাবি, স্থানীয় সংসদ সদস্য ও তার ছেলের প্রত্যক্ষ মদদে অনিয়ন্ত্রিত হয়ে উঠেছিলেন বজলু। এলাকার বিভিন্ন খাত থেকে অর্থ সংগ্রহ করে ওপর মহলে পাঠাতেন বজলু।

এদিকে বজলু গ্রেপ্তার হওয়ার পর স্থানীয় সংসদ সদস্যের বাসায় এরই মধ্যে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে একাধিক বৈঠক হয়েছে বলে জানা গেছে। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, এখন থেকে চনপাড়ায় মাদকবিরোধী মিছিল হবে। এরই মধ্যে কয়েকটি মিছিলও হয়েছে। কিন্তু বজলু গ্রেপ্তার হওয়ার আগে কেন মিছিল হয়নি তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এলাকাবাসী।

সম্প্রতি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মারা গেছেন চনপাড়ার চিহ্নিত মাদক কারবারি শাহীন মিয়া ওরফে সিটি শাহীন। শাহীনের স্ত্রী স্মৃতি এলাকার পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘এলাকার সব মাদকঅলা তো মন্ত্রীর (স্থানীয় সংসদ সদস্য) কাছে যায়। চনপাড়ায় মাদক বেচে তবু মন্ত্রীর কাছে যায়। যদি এলাকার অবস্থা পরিবর্তন করতে হয় তাহলে গোড়া থেকে পরিবর্তন করতে হবে।’

স্বামীর মৃত্যু নিয়ে কথা বলতে গিয়ে স্মৃতি বলেন, ‘শাহীনকে যেদিন ধরে নিয়ে যাওয়া হয় সেদিন শমসের নামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একজন সোর্স তাকে বলেছিলেন, পাপ্পা গাজীর (স্থানীয় সংসদ সদস্যের ছেলে) কাছে গিয়ে তার পায়ে ধরে কান্নাকাটি করলে স্বামীকে বাঁচাতে পারবে।’

বজলুর প্রশ্রয়দাতাদের ব্যাপারে জানতে চাইলে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘আগে এলাকাবাসী ভাবত, বজলুকে কেউ গ্রেপ্তারই করতে পারবে না। আমরা গ্রেপ্তার করেছি। তার বিরুদ্ধে তেইশটি মামলা রয়েছে। চনপাড়ায় মাদক, সন্ত্রাস ও অবৈধ অস্ত্র কারবারিদের বিরুদ্ধে র‌্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ বলেন, বজলুর বিরুদ্ধে র‌্যাব মাদক, জাল টাকা ও অস্ত্র আইনে পৃথক ৩টি মামলা দায়ের করেছে। তাকে শনিবার বিকালে নারায়ণগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আরও মামলা আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এখনও আতঙ্ক কাটেনি

গতকাল চনপাড়ায় সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা গেছে, বজলু গ্রেপ্তার হলেও তার বাহিনীর তৎপরতা থামেনি এখনও। বজলুর বিরুদ্ধে কথা বলায় অনেককে হত্যার হুমকিও দিচ্ছেন তার সহযোগীরা।

সম্প্রতি চনপাড়া নিয়ে আলোচনা শুরুর পর বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে বজলুর অপকর্ম নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলেছেন ছয় নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আলমগীর কবির। প্রতিদিনের বাংলাদেশকে তিনি জানান, গণমাধ্যমে কথা বলায় বজলু বাহিনীর রোষানলে পড়ে গত কিছুদিন ধরে তিনি আত্মগোপনে রয়েছেন। শুক্রবার বজলু গ্রেপ্তার হওয়ার পর তার স্ত্রী ও মেয়েরা আলমগীরের বাসায় গিয়ে হুমকি দিয়েছেন।

আলমগীর বলেন, ‘বজলুর স্ত্রী ও মেয়েরা বলেছে আমার বংশ ধ্বংস করে দেবে তারা। বজলু জেল থেকে ফেরার পর কী হবে সে কথা ভেবে দুই মেয়ে ও ছোট ভাইকে নিয়ে আতঙ্কে আছি।’

সড়কপথে চনপাড়ায় যাওয়ার একমাত্র পথ ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার হয়ে। সেখান থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় চনপাড়া যাওয়ার পথে কথা হয় চালকের সঙ্গে। প্রতিদিনের বাংলাদেশকে তিনি বলেন, জন্মলগ্ন থেকেই তিনি চনপাড়ায় থাকেন। বজলু গ্রেপ্তার হওয়ার পর পরিস্থিতি আপাতত শান্ত। তবে সবার মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। বজলুর বিরুদ্ধে কিছু বললে বিপদ বাড়বে।

অটোরিকশাচালক আরও জানান, কিছুদিন আগে পৈতৃকভাবে পাওয়া ঘরের দখল নিয়ে একটি পক্ষের সঙ্গে তার বিবাদ হয়। মীমাংসার জন্য বজলুর কাছে গেলে তিনি দুই লাখ টাকা দাবি করেন। সে টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় বজলুর লোকজনই তাকে ঘরছাড়া করার চেষ্টা করেন দাবি করে অটোচালক জানান, বাধ্য হয়ে বজলুর হাত থেকে বাঁচতে স্থানীয় সংসদ সদস্যের সঙ্গে দেখা করতে ঢাকায় গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু দেখা করার সুযোগ পাননি। পরে সংসদ সদস্যের ব্যক্তিগত সহকারী এমদাদকে বিষয়টি জানালে তিনি বলেন, টাকা তো কিছু দিতেই হবে। পরে দেড় লাখ টাকা দিয়ে রক্ষা পেয়েছেন বলে জানান ওই অটোচালক।

অটোরিকশা থেকে নামার পর চনপাড়া মোড়ে কথা হয় চা-দোকানি আমিনার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বজলু গ্রেপ্তার হওয়ার পর শান্তিতে ঘুমিয়েছি। কিন্তু কতদিন জেলে থাকবে বজলু? তার গডফাদারেরা অনেক শক্তিশালী। তারা বজলুকে আবার বের করে আনবে। তখন কে রক্ষা করবে?’

ওই চায়ের দোকানে বসা ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসমত আলী। স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত এই প্রবীণ ব্যক্তি বলেন, গত ১৪ বছরে চনপাড়ায় সবচেয়ে বেশি হামলা-মামলার শিকার হয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। হাসমত জানান, বজলুর কথা না শোনায় তার ছেলেকে মাদকের মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে জেলে পাঠানো হয়েছে। অনেক আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর জায়গাজমিও দখল করেছেন বজলু। এসব নিয়ে কথা বলায় হাসমতকে কয়েকবার হত্যার হুমকিও দিয়েছেন বজলু।

ধীরে ধীরে আলোচনায় যোগ দেন চায়ের দোকানে উপস্থিত আরও অনেকে। তারা জানান, চনপাড়ায় এমন লোক কমই আছেন বজলুর কারণে যাদের ভোগান্তি পোহাতে হয়নি। সামান্য শাক বিক্রেতাকেও চাঁদা দিয়ে এলাকায় থাকতে বাধ্য করেন বজলুর লোকজন। যারা কথা শোনে না তাদের ওপর হামলা হয় কিংবা মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে পাঠানো হয়।

আওয়ামী লীগে অসন্তোষ

চিহ্নিত অপরাধী বজলুকে রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের নবগঠিত কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্য মনোনীত করায় শুরু থেকেই অসন্তোষ রয়েছে স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে। এ কমিটির সভাপতি পদে আছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী।

স্থানীয় নেতাকর্মীরা বলছেন, আগে থেকেই নিয়ন্ত্রণহীন ছিলেন বজলু। উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে জায়গা পাওয়ার পর তিনি আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। কিন্তু স্থানীয় পর্যায়ের শীর্ষস্থানীয় নেতার আশীর্বাদ থাকায় এত কিছুর পরও বজলুকে কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান বানানো হয়।

রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক এসব পরিচয়ের অপব্যবহার করে নিজের অপরাধের সাম্রাজ্য আরও বিস্তৃত করেছেন বজলু। এলাকার অপরাধ নিয়ন্ত্রণের জন্য উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে যেসব সভা-সমাবেশ হতো, সেখানেও অতিথি করা হতো বজলুকে। তাই তার বিরুদ্ধে প্রশাসনকে তথ্য দিতেও ভয় পান এলাকাবাসী। বজলু গ্রেপ্তার হওয়ার পরও সেই ভয় কাটেনি।

চনপাড়া এলাকার একাধিক আওয়ামী লীগ নেতা জানান, সংসদ সদস্য ও প্রভাবশালী নেতার মদদে অপরাধ করেও বারবার পার পেয়েছেন বজলু। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে একসময়ের নুন আনতে পান্তা ফুরানো বজলু চলাফেরা করতেন ব্যক্তিগত সহকারী এবং অস্ত্রধারী দেহরক্ষী নিয়ে। তাকে নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তার নির্যাতন থেকে রক্ষা পাননি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও। এসব জানার পরও শীর্ষনেতারা বজলুর বিরুদ্ধে কখনও কোনো ব্যবস্থা নেননি। বজলু গ্রেপ্তার হওয়ার পরও তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য পদে বহাল রয়েছেন।

এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান ভুইয়া প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, বজলুর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে আগামী বৃহস্পতিবার সকালে মুড়াপাড়া বাজারে অবস্থিত রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রধান কার্যালয়ে জরুরি সভা ডাকা হয়েছে। সেখানে উপজেলা আওয়ামী লীগের সব নেতা উপস্থিত থাকবেন। সেখানেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা