প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৮ আগস্ট ২০২৪ ১৯:৪৪ পিএম
আপডেট : ০৮ আগস্ট ২০২৪ ২১:৪৩ পিএম
গণআন্দোলনের মুখে হাসিনা সরকারের পদত্যাগের পর সর্বসম্মতিক্রমে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শপথগ্রহণ শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাত ৯টার পরে রাষ্ট্রপতির বাসভবন বঙ্গভবনে এই অনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ জন নিয়ে এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া অন্য উপদেষ্টারা হলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহ উদ্দিন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আদিলুর রহমান খান, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল হাসান আরিফ, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব তৌহিদ হোসেন, পরিবেশকর্মী ও বেলার নির্বাহী পারিচালক সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মো. নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন, সাবেক রাষ্ট্রদূত ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান সুপ্রদিপ চাকমা, মানবাধিকার কর্মী ফরিদা আখতার, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায়, হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির আ.ফ.ম খালিদ হাসান, গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য নুরজাহান বেগম, নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী ও ব্রতীর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন মুরশিদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক-ই-আজম।
শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার পর থেকে বঙ্গবভনে আমন্ত্রিত অতিথি ও উপদেষ্টাদের গাড়ি প্রবেশ করতে শুরু করে। বঙ্গবভনের প্রধান ফটকে অতিথিদের আমন্ত্রণপত্র দেখে ভেতরে প্রবেশ করতে দেন সেনা সদস্যরা।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাদের বহন করে বঙ্গভবনে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত করা হয় জাতীয় পতাকাবাহী ২১টি গাড়ি। গাড়িগুলো বিকালে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও অন্যান্য উপদেষ্টাদের বাসভবনে পাঠানো হয়। সেসব গাড়িতে করে তারা বঙ্গভবনে আসেন।
এর আগে এ দিন দুপুরে এমিরেটস এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস থেকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফেরেন ড. ইউনূস। তাকে স্বাগত জানিয়েছেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, অন্য দুই বাহিনীর প্রধান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কেরা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। সব প্রক্রিয়া শেষ করে বিমানবন্দর থেকে বের হলে তাকে ফুলেল উষ্ণ অভিবাদন জানান ছাত্র-জনতা। শুভেচ্ছা স্বাগতম স্লোগানে প্রকম্পিত হয় পুরো বিমানবন্দর এলাকা।