প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৮ আগস্ট ২০২৪ ১৯:২৫ পিএম
আপডেট : ০৮ আগস্ট ২০২৪ ২০:২২ পিএম
শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সদস্য হবে ১৭ জন। এরই মধ্যে তাদের নাম প্রকাশ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় বঙ্গভবনে যারা ড. ইউনূসের সঙ্গে শপথ নেবেন তারা হলেন,
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহ উদ্দিন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আদিলুর রহমান খান, সাবেক বিচারপতি হাসান আরিফ, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব তৌহিদ হোসেন, পরিবেশকর্মী ও বেলার নির্বাহী পারিচালক সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মো. নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন, সাবেক রাষ্ট্রদূত ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান সুপ্রদিপ চাকমা, মানবাধিকার কর্মী ফরিদা আখতার, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায়, হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির আ.ফ.ম খালিদ হাসান, নুরজাহান বেগম, নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী ও ব্রতীর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন মুরশিদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক-ই-আজম।
ড. ইউনূস বৃহস্পতিবার দুপুরে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস থেকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফেরেন। তাকে স্বাগত জানিয়েছেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, অন্য দুই বাহিনীর প্রধান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কেরা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। এরপর তিনি বিমানবন্দরে অপেক্ষমাণ গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেন।
অধ্যাপক ইউনূস শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, এ স্বাধীনতাকে রক্ষা করতে হবে। প্রতিটি মানুষের কাছে এর সুফল পৌঁছে দিতে হবে। স্বাধীনতার অর্থ হলো, দেশ তোমাদের হাতে। তোমাদের মনের মতো করে গড়তে পারো। পালটে ফেলতে পারো। পুরোনোদের বাদ দাও। তোমাদের মধ্যে সৃজনশীলতা আছে, তাকে কাজে লাগাও।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘আজকে আমার আবু সাঈদের কথা মনে পড়ছে। যে আবু সাঈদের কথা দেশের প্রতিটি মানুষের মনে গেঁথে আছে। এ ঘটনার মধ্য দিয়ে দেশে দ্বিতীয় স্বাধীনতা এসেছে।’
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, সরকার হয়ে উঠেছিল দমনপীড়নের একটি যন্ত্র। এটা সরকার হতে পারে না। সরকারকে দেখে মানুষ উৎফুল্ল হবে। যে সরকার মানুষকে রক্ষা করবে। আমাদের সারা বাংলাদেশ একটি পরিবার।
দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতি নিয়ে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, মানুষ মানুষকে আক্রমণ করছে। সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা হচ্ছে । সবাইকে রক্ষা করা আমাদের কাজ। প্রতিটা মানুষ আমাদের ভাই। বিশৃঙ্খলা অগ্রগতির বড় শত্রু। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা আমাদের প্রথম কাজ।
ড. ইউনূস বলেন, দেশবাসীর কাছে আবেদন, আপনারা যদি আমার ওপর বিশ্বাস রাখেন তবে দেশের কারও ওপরে হামলা হবে না। বিশৃঙ্খলা থেকে, সহিংসতা থেকে রক্ষা করেন। কোনো গোলযোগ যাতে না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।