প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৮ আগস্ট ২০২৪ ০১:২৭ এএম
তানজীম আহমেদ সোহেল তাজ। ফাইল ফটো
দেশে ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা, মানুষে কথা বলার অধিকারকে গুরুত্ব দেওয়া, জনবান্ধব ও পেশাদার পুলিশ বাহিনী প্রতিষ্ঠাসহ আসন্ন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে ১০টি দাবির কথা তুলে ধরেছেন প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদের ছেলে তানজীম আহমেদ সোহেল তাজ।
বুধবার (৭ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ফেইসবুক লাইভে ৬ মিনিট ২৬ সেকেন্ডের বক্তব্যে তিনি এসব দাবি তুলে ধরেন। এ সময় শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাসভবন পুড়িয়ে দেওয়া, তার ভাস্কর্য গুঁড়িয়ে দেওয়ার নিন্দাও জানান সোহেল তাজ। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বাসভবন ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে নির্বিচারে হামলা নিয়েও কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘চারদিকে এক থমথমে অবস্থার মধ্যে কীভাবে আমরা বসবাস করব? দেশের নানা প্রান্তে ভিন্ন ভিন্ন ধর্মের মানুষদের মন্দির, গির্জায় আগুন দেওয়া হয়েছে। অনেকের বাড়িঘর আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। অনেক মানুষ নিহত আর আহত হয়েছে। এর মধ্যে আওয়ামী লীগসহ অনেক রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ রয়েছে। তাদেরও ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে অনেক নিরীহ কর্মী প্রতিহিংসার শিকার হয়েছে। সরকার প্রশাসনসহ আওয়ামী লীগের যেসব নেতাকর্মী দুর্নীতি, হত্যা, গুমের সঙ্গে জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। কিন্তু তারপরেও একজন নিরীহ কর্মীর এই দেশে বাঁচার অধিকার রয়েছে।’
১০ দাবি তুলে ধরে সোহেল তাজ বলেন, ‘দেশে ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা, সাম্য আর ন্যায্যতা ভিত্তিতে সুশাসন প্রতিষ্ঠা, সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হলে আইনের শাসন নিশ্চিত করা, বিচার ব্যবস্থা, জনপ্রশাসন ও পুলিশবাহিনীকে রাজনীতি প্রভাব মুক্ত রাখা, পুলিশ বাহিনীসহ সকল আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জনবান্ধব ও পেশাদার বাহিনী হিসেবে প্রতিষ্ঠা, মেধাভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে শিক্ষাব্যবস্থাকে বাস্তব উপযোগী করা, সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে রাজনৈতিক নির্ভরতা থেকে মুক্ত রাখা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিশ্চিত করা, মানুষের কথা বলার অধিকারসহ সকল মৌলিক অধিকারকে গুরুত্ব দেওয়া, সন্ত্রাস ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার পদক্ষেপ নিতে ও গুম হত্যার রাজনীতি বন্ধ করতে আন্তরিক হতে হবে।’
শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগের পর বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় ও ব্যক্তিগত স্থাপনায় হামলা নিয়েও কথা বলেন সোহেল তাজ। তিনি বলেন, ‘এই হত্যাযজ্ঞ ও ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপের জন্যই ছাত্র জনতা রাজপথে নেমেছিল? দেশের সম্পদ ও ঐতিহ্য ধ্বংস করে নতুন প্রজন্মকে আমরা কী বার্তা দিচ্ছি?’
বঙ্গবন্ধুর বাসভবন পুড়িয়ে দেওয়ার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের বাড়িতে আগুন ও তার ভাস্কর্য ভাঙায় কতটুকু লাভ হল?’
যে সংস্কারের জন্য আন্দোলন হয়েছিল তার দিকে নজর দিয়ে ভিন্ন মতের মানুষকেও কথা বলার সুযোগ দিতে হবে বলেও উল্লেখ করে লাইভ শেষ করেন সোহেল তাজ।