প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৫ আগস্ট ২০২৪ ২২:৩৭ পিএম
আপডেট : ০৬ আগস্ট ২০২৪ ০৮:৩৪ এএম
বগুড়া থানা ভবনে আগুন দেওয়া হয়। প্রবা ফটো
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানকে ঘিরে সোমবার (৫ আগস্ট) কত মানুষের প্রাণহানি হয়েছে তার সঠিক কোন হিসাব পাওয়া যায়নি। বিভিন্ন সূত্র বলছে, এদিন রাজধানীসহ সারাদেশে কমপক্ষে ১৫৯ জন নিহত হয়েছেন। তবে এই সংখ্যা আরও অনেক বেশি। বেশিরভাগ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে থানা ও পুলিশ ফাাঁড়িতে হামলা করার সময় পুলিশের গুলিতে।
এছাড়া দেশের বিভিন্নস্থানে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বাড়ি ঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের খবর পাওয়া গেছে। এসময় বহু মানুষ মারা গেছে। সময় যতই গড়ায় ততই নিহতের সংখ্যা বাড়তে থাকে। থানা পুলিশ ও পুলিশ হেডকোয়ার্টার আক্রান্ত হওয়ায় পুলিশের নেটওয়ার্ক ভেঙ্গে পড়েছে। ফলে নির্ভরযোগ্য কোন সূত্র থেকে এসব তথ্য যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে, রাজধানীর যাত্রাবাড়িতে অন্তত ৫০ জন, উত্তরায় ১০ জন, বাড্ডায় ৭ জন, চাঁনখারপুলে ৩ জন, সাভারে ৯ জন নিহত হয়েছে। তবে সূত্রগুলোর দাবি রাজধানীতে নিহতের সংখ্যা আরও অনেক বেশি। রাত ১০টায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিভিন্ন স্থান থেকে নিহতের খবর পাওয়া যাচ্ছিল।
সারা দেশে নিহতদের মধ্যে চাঁদপুরে বালু খেকো সেলিম ও তার ছেলে নায়ক শান্ত খানকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। সাভারে পুলিশের গুলিতে মারা গেছেন ৯ জন। এছাড়া গাজীপুরের শ্রীপুরে ৬ জন, কালিয়াকৈরে ৪ জন, কুষ্টিয়ায় শিশুসহ ৬ জন, হবিগেঞ্জের বানিয়াচংয়ে ৬ জন, লক্ষ্মীপুরে ১২ জন, নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে ৪ জন, ঝিনাইদহে ৬ জন, যশোরে ১২ জন, খুলনার কয়রায় ১ জন, চুয়াঙ্গায় ৪ জন ও সাতক্ষীরায় ৮ জন নিহত হয়েছেন।