প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৩ আগস্ট ২০২৪ ১৬:৪২ পিএম
আপডেট : ০৩ আগস্ট ২০২৪ ১৭:৪২ পিএম
শনিবার রাজধানীর শান্তিনগরে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। প্রবা ফটো
কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ রবিবার (৪ আগস্ট) থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সর্বাত্মক ‘অসহযোগ আন্দোলনের’ ডাক দিয়েছে।
কর্মসূচি সফল করতে দেশের সবার উদ্দেশে ১৫টি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে আন্দোলনের আওতামুক্ত থাকবে কী কী, সেটিও জানানো হয়েছে।
শনিবার (৩ আগস্ট) দুপুরে সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে এসব কথা জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ।
তিনি জানান, অসহযোগ আন্দোলন চলাকালে হাসপাতাল, ফার্মেসি, জরুরি পরিবহনসেবা যেমন-ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম পরিবহন, অ্যাম্বুলেন্স সেবা, ফায়ার সার্ভিস, গণমাধ্যম, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য পরিবহন, জরুরি ইন্টারনেট সেবা, জরুরি ত্রাণ সহায়তা এবং এই খাতে কর্তব্যরত কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিবহন সেবা চালু থাকবে।
এ ছাড়া নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকানপাট বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত খোলা থাকবে বলেও জানান আসিফ মাহমুদ।
এদিকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বসার আগ্রহের কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সকালে গণভবনে পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ কথা জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের জন্য গণভবনের দরজা খোলা। কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আমি বসতে চাই, তাদের কথা শুনতে চাই। আমি সংঘাত চাই না।’
তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘সরকারের কাছে বিচার চাওয়া বা সংলাপে বসার সুযোগ আর নেই। ক্ষমা চাওয়ার সময়ও পার হয়ে গেছে।’
টেলিগ্রামে দেওয়া এক বার্তায় তিনি লিখেছেন, ‘যখন সময় ছিল তখন সরকার ব্লক রেইড দিয়ে শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তার করেছে, নির্যাতন করেছে। আখতার হোসেন, আরিফ সোহেলসহ রাজবন্দিদের কারাগারে রেখে আমরা কোনো ধরনের সমঝোতায় যাব না।’