প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৪ জুলাই ২০২৪ ২১:০১ পিএম
আপডেট : ১৪ জুলাই ২০২৪ ২১:৪৬ পিএম
পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন আয়োজিত কর্মশালা মঞ্চে অতিথিরা। প্রবা ফটো
দারিদ্র্য বিমোচনে বিশ্বজুড়ে চলমান কর্মযজ্ঞে বাংলাদেশ অগ্রগামী ভূমিকা পালন করছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।
তিনি বলেছেন, সরকারের নেওয়া বিভিন্ন গণমুখী, সময়োপযোগী পদক্ষেপের ফলে গত দেড় দশকে বাংলাদেশে দারিদ্র্য ও অতিদারিদ্র্যের হার উল্লেখযোগ্য হ্রাস পেয়েছে। এর পেছনে উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলোর সহায়তাও কার্যকর ভূমিকা পালন করেছে।
রবিবার (১৪ জুলাই) ঢাকার আগারগাঁওয়ে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ‘পাথওয়েজ টু প্রসপারিটি ফর এক্সট্রিমলি পুওর পিপল– ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (পিপিইপিপি-ইইউ)’ প্রকল্পের আওতায় কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আরও বলেন, সরকারের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হলো– অতিদারিদ্র্য নিরসন। এ লক্ষ্য পূরণে দীর্ঘমেয়াদি এবং টেকসই কার্যক্রম গ্রহণের বিকল্প নেই।
কর্মশালায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি বলেন, গত বছর ইইউ ও বাংলাদেশ পারস্পরিক সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন করেছে। পিপিইপিপি-ইইউ প্রকল্পটি এ সম্পর্কেরই একটি প্রতিফলন। গত পাঁচ দশকে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক, অবকাঠামো ও মানবিক বিভিন্ন খাতে উন্নয়ন হয়েছে। হাওর ও উপকূলীয় এলাকার মতো দেশের অনগ্রসর অঞ্চলে অতিদারিদ্র্য এখনও বেশি। এসব স্থানে বিশেষ মনোযোগ অব্যাহত রাখতে হবে।
পিকেএসএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নমিতা হালদার বলেন, এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতিবন্ধিতা ও লবণাক্ততার প্রকোপ মোকাবিলার মতো কঠিন বিষয়গুলো সমাধানে কাজ করা হয়, যা একই সঙ্গে সময়সাপেক্ষ ও চ্যালেঞ্জিং।
পিকেএসএফের চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন বলেন, দারিদ্র্য দূরীকরণে পিকেএসএফের যতো অভিজ্ঞতা ছিল, সব কাজে লাগিয়ে পিপিইপিপি-ইইউ প্রকল্পের পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়ন করা হয়। এ প্রকল্পের অগ্রগতি আশা জাগানিয়া। তবে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে প্রকল্পের কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে।
খায়রুল হোসেনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব আবদুর রহমান খান।