কূটনৈতিক প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১০ জুলাই ২০২৪ ১১:২৪ এএম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার চীনের বেইজিংয়ের সাংগ্রি-লা সার্কেলে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বিভিন্ন ব্যবসা ও বিনিয়োগের সুযোগ-সুবিধা বিষয়ক সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন। ছবি : ফোকাস বাংলা
চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে আয়োজিত বিজনেস সামিটে ১৬টি সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি সই হয়েছে। বাংলাদেশের ১০টি কোম্পানির প্রতিনিধির সঙ্গে চীনের বিভিন্ন বহুজাতিক কোম্পানির মধ্যে এসব চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী, চীনা কোম্পানিগুলো এ দেশের বস্ত্রশিল্প, বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাণ, সৌরবিদ্যুৎ, ফিনটেক ও প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগ করবে। চারটি সমঝোতা স্মারকের অধীনে চীন থেকে বাংলাদেশ পেতে চলেছে মোট ৪৯ কোটি ডলারের বিনিয়োগ।
গতকাল মঙ্গলবার চীনের স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বেইজিংয়ের সাংগ্রিলা সার্কেলে ‘দ্য রাইজ অব বেঙ্গল টাইগার : সামিট অন ট্রেড, বিজনেস অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট অপরচুনিটিজ বিটুইন বাংলাদেশ অ্যান্ড চায়না’ শীর্ষক এ সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর সামনে রেখে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি), বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিআইডিএ), বাংলাদেশ চায়না চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিসিসিসিআই), সিসিপিআইটি চায়না ওয়ার্ল্ড সামিট উইং ও বেইজিংয়ে বাংলাদেশ দূতাবাস যৌথভাবে এই ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট সামিট আয়োজন করেছে।
পরে স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জানান, বাংলাদেশের প্রায় ৯০ জন ব্যবসায়ী প্রতিনিধি এবং চীনের শতাধিক ব্যবসায়ী এ সম্মেলনে যোগ দেন। সেখানে বাংলাদেশ ও চীনের বেশ কয়েকটি কোম্পানির মধ্যে ১৬টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর হয়।
রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে সর্বোচ্চ সহযোগিতা
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফর নিয়ে বেইজিংয়ের সেন্ট রেজিস হোটেলে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশের পাশে থেকে চীন সর্বোচ্চ সহযোগিতা দেবে।’ গতকাল বিকালে বেইজিংয়ের গ্রেট হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে চাইনিজ পিপলস পলিটিক্যাল কনসাল্টেটিভ কনফারেন্সের (সিপিপিসিসি) জাতীয় কমিটির চেয়ারম্যান ওয়াং হুনিং এ প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সিপিপিসিসির জাতীয় কমিটির চেয়ারম্যানের অত্যন্ত আন্তরিক পরিবেশে এ বৈঠকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং চীনের কম্যুনিস্ট পার্টির মধ্যে যোগাযোগ বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন তারা। দলীয় নেতাদের পারস্পরিক সফরের বিষয়েও ঐকমত্য হয়।’ ওয়াং হুনিং বলেন, ‘চীনের কম্যুনিস্ট পার্টি ও আওয়ামী লীগ উভয়েরই অভিন্ন লক্ষ্য জনগণের কল্যাণ।’
গতকাল সকালে প্রধানমন্ত্রীর বেইজিং নিবাস সেন্ট রেজিস হোটেলের পার্লার রুমে এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের (এআইআইবি) প্রেসিডেন্ট জিন লিকুনের সৌজন্য সাক্ষাতের বিষয়ে হাছান মাহমুদ জানান, প্রধানমন্ত্রী এআইআইবি-কে বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়ন, নদী খনন, জলবায়ু পরিবর্তনসহ উপযোগী খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন। এআইআইবির প্রেসিডেন্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়য়ন-অগ্রগতিকে ‘অভূতপূর্ব’ বলে বর্ণনা করেছেন।
বিশেষ পর্যটন অঞ্চলে আগ্রহ চীনা বিনিয়োগকারীদের
এর আগে বেইজিংয়ের সাংগ্রিলা সার্কেলে ‘সামিট অন ট্রেড, বিজনেস অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট অপরচুনিটিজ বিটুইন বাংলাদেশ অ্যান্ড চায়না’ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অংশগ্রহণের কথা তুলে ধরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী চীনা ব্যবসায়ী সম্প্রদায়কে বিশ্বের সবচেয়ে উদার বিনিয়োগ ব্যবস্থার সুবিধা নিয়ে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানান। অবকাঠামো, আইসিটি, পর্যটন, কৃষি প্রক্রিয়াকরণ শিল্প, নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ জ্বালানি খাত, জলবায়ু-সহনশীল স্মার্ট ফার্মিং, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, সবুজ প্রযুক্তি ও উন্নয়ন খাতে বৃহত্তর বিনিয়োগের আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।’
প্রধানমন্ত্রী এ সময় তিনটি বিশেষ পর্যটন অঞ্চল প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা ও সেখানে রিয়েল এস্টেট এবং হসপিটালিটি খাতে চীনের বিনিয়োগের সুযোগের কথা উল্লেখ করেন। চীনারাও এ বিষয়ে যথেষ্ট উৎসাহ দেখান। চীনের ভাইস মিনিস্টার অব কমার্স লি ফেই, চায়না কমিউনিকেশনস কনস্ট্রাকশন গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ওয়াং টং ঝু, এইচএসবিসি চায়নার প্রেসিডেন্ট এবং সিইও মার্ক ওয়াং ও হুয়াওয়ের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সাইমন লিন তাদের বক্তব্যে এ আগ্রহের কথা তুলে ধরেন।
সম্মেলনের খুঁটিনাটি
সম্মেলনে বক্তৃতা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, বাংলাদেশে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, চীনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. জসিম উদ্দিন এবং বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া। বিনিয়োগ বিষয়ে উপস্থাপনা পেশ করেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবায়াত-উল ইসলাম।
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি বিনিয়োগ ও শিল্পবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ-চায়না চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি গাজী গোলাম মর্তুজা পাপ্পাসহ সামিটের আয়োজক সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিরা সম্মেলনে অংশ নেন।
আজ রাতেই ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরের সকল অনুষ্ঠান অপরিবর্তিত রয়েছে। শুধু ১১ তারিখ সকালের পরিবর্তে ১০ জুলাই বুধবার রাতে বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইটে প্রধানমন্ত্রী ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন।’
গতকাল বিকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীনের ঐতিহ্যবাহী তিয়েনআনমেন স্কয়ারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। রাতে তিনি বেইজিংয়ে বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত নৈশভোজে যোগ দেন।
চীনের প্রিমিয়ার অব দ্য স্টেট কাউন্সিল লি ছিয়াংয়ের আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার বেলা ১১টায় বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ফ্লাইটযোগে চীনের স্থানীয় সময় বিকাল ৬টায় বেইজিং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনারসহ যথাযথ সম্মাননায় অভ্যর্থনা জানানো হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আজ বুধবার ১০ জুলাই প্রধানমন্ত্রী গ্রেট হলে চীনের প্রিমিয়ার অব দ্য স্টেট কাউন্সিল লি শিয়াংয়ের সাথে সাক্ষাৎ করবেন। এই সময় দুদেশের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবে। এরপর ২০-২২টির মতো সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর এবং কয়েকটি প্রকল্প উদ্বোধনের ঘোষণার কথা রয়েছে। এরপর প্রধানমন্ত্রী তার সম্মানে আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেবেন। বিকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গ্রেট হল অব দ্য পিপল-এ চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন।
অর্থমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী, পররাষ্ট্র সচিব, অন্যান্য সচিবসহ উচ্চপর্যায়ের সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হয়েছেন।
১৬ সমঝোতা চুক্তি
সম্মেলনে নগদ ও হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। যেখানে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে নতুন প্রজন্মের ডিজিটাল আর্থিক প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলতে কৌশলগত অংশীদারত্বের অংশ হিসেবে প্রায় ৫০ মিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ হবে বাংলাদেশে। বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের ডিজিটাল রূপান্তরের প্রক্রিয়ায় ২০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে ডিইএক্স বাংলাদেশ টেক লিমিটেডও ও হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের মধ্যে।
বাংলাদেশ চাইনিজ আর্থিক ও শিল্প এলাকায় বিনিয়োগ অবকাঠামোবিষয়ক একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে চায়না রোড অ্যান্ড ব্রিজ করপোরেশন (সিআরবিসি) ও নিংবো সিক্সিং কোম্পানি লিমিটেডের মধ্যে। মোংলা অর্থনৈতিক অঞ্চলে ৩৩ একর জায়গাজুড়ে বৃহত্তম পিএসএফ ও পেট বোতল উৎপাদন কারখানা টেক্সটাইল গ্রেড কারখানা স্থাপনের জন্য ৪০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের জন্য সমঝোতা হয়েছে দেশবন্ধু গ্রুপ কেমটেক্স ও চায়না কেমিক্যাল সিএনসিইসির মধ্যে।
দেশে ইলেকট্রিক গাড়ি উৎপাদনের জন্য একটি সমেঝোতা স্মারক সই হয়েছে বিলিয়ন ১০ কমিউনিকেশন লিমিটেডে ও সিএইচটিসি (হেংইয়াং) ইন্টেলিজেন্ট ইভি কোম্পানি লিমিটেডের মধ্যে। অন্যদিকে সিলেটে সোলার পার্ক স্থাপনের জন্য সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে বিলিয়ন ১০ কমিউনিকেশনের সঙ্গে নিংবো সান ইস্ট সোলার কো. লিমিটেডের মধ্যে। বিলিয়ন ১০ কমিউনিকেশন আরও দুটি সমঝোতা স্মারক সই করেছে। এর মধ্যে হেশেং (হোশাইস) সিলিকন ইন্ডাস্ট্রি কো. লিমিটেডের সঙ্গে নবায়নযোগ্য শক্তি এবং ঝোংকে গুয়োরুই (ঝুহাই) নিউ ম্যাটেরিয়াল টেকনোলজি কো. লিমিটেডের সঙ্গে সমঝোতা হয়েছে ওয়েস্ট লুব্রিক্যান্ট অয়েল রিকভারি অ্যান্ড রিফাইনিং বিষয়ে।
দুটি সমঝোতা চুক্তি করেছে ইবি সলিউশন লিমিটেড। তারা হংজি ইন্টেলিজেন্ট ট্রান্সপোর্ট কো. লিমিটেডের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করেছে ঢাকা শহরের জন্য মোবাইল প্রকল্প নিয়ে। আর নিংবো শেরিং নিউ এনার্জি টেকনোলজি লিমিটেডের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করেছে স্মার্ট কোল্ড চেইন লজিস্টিক সলিউশন নিয়ে। এ ছাড়া স্থল ও জলপথে সিএনজি পরিবহনে কারিগরি ও আর্থিক বিনিয়োগ খাতে ২০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন পিএলসি এবং শিঝুয়াং এনরিক গ্যাস ইকুইপমেন্ট কো. লিমিটেডের (সিআইএসমসি এনরিক) মধ্যে।
এককভাবে সর্বোচ্চ পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই করেছে দেশের অন্যতম শিল্প গ্রুপ নিটল নিলয় গ্রুপ। চীনের জিবো জিনহুয়াটেং পেপার মেশিনারি কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে পেপার মেশিনারি খাতে ঝেংঝো ডংফেং মিড-সাউথ এন্টারপ্রাইজ কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে টিবিআর টায়ার প্রকল্পে এবং শ্যাংডং সুনাইট মেশিনারি কো. লিমিটেডের সঙ্গে অ্যারিয়েটেড অটোক্লেভ কংক্রিট (এএসি) ব্লক খাতে বিনিয়োগের জন্য সমঝোতা করেছে কোম্পানিটি।
এ ছাড়া রাবার মেশিনারি খাতে বিনিয়োগের জন্য নিটল নিলয় গ্রুপ সমঝোতা স্মারক সই করেছে দালিয়াম হুয়াহান রাবার অ্যান্ড প্লাস্টিক মেশিনারি কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে। আর লিথিয়াম ব্যাটারি ও ইলেকট্রিক যানবাহনের জন্য তারা সমঝোতা স্মারক সই করেছে চীনের জেডপি টেকনোলজিস (আনহুই) কো. লিমিটেডের সঙ্গে।