মহিলা পরিষদের প্রতিবেদন
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০১ জুলাই ২০২৪ ২৩:৪৮ পিএম
চলতি বছর জুন মাসে ২৯৭ নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৬৭ জন এবং দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে ১৯ জন। এ ছাড়াও চার কন্যাশিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের নারী ও কন্যা নির্যাতনবিষয়ক মাসিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় লিগ্যাল এইড উপপরিষদে সংরক্ষিত ১৬টি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়।
মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু স্বাক্ষরিত প্রতিবেদনে বলা হয়, জুন মাসে যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে ৩২ তরুণীসহ ৪৮ জন। উত্ত্যক্তের শিকার হয়েছে একজন। বিভিন্ন কারণে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে ৪৫ জন। এ ছাড়াও তিন নারীকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। পাশাপাশি নারী ও কন্যাশিশু পাচারের ঘটনা ঘটেছে তিনটি। যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১০ জন। এর মধ্যে এক কন্যাসহ চারজনকে যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়েছে। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৮ জন, এর মধ্যে রয়েছে এক কন্যাশিশু।
প্রতিবেদনে বলা হয়, পারিবারিক সহিংসতায় শারীরিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে ৫টি। দুই কন্যাশিশুসহ তিন গৃহকর্মী নির্যাতনের ঘটনায় এক কন্যাশিশুকে হত্যা এবং এক কন্যাশিশুর আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। চার কন্যাসহ ২৪ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। ৯ কন্যাসহ ২১ জনের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে তিনজন আত্মহত্যার প্ররোচনার শিকার হয়েছে। এ ছাড়াও তিন কন্যার আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। ৮ কন্যাসহ ৯ জন অপহরণের শিকার হয়েছে। এ ছাড়াও ৪ কন্যাকে অপহরণের চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। তিন কন্যা সাইবার ক্রাইমের শিকার হয়েছে। বাল্যবিবাহের ঘটনা ঘটেছে তিনটি এবং বাল্যবিবাহের চেষ্টা করা হয়েছে চারটি। এ ছাড়া ৮ কন্যাসহ ১৫ জন বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছে।