× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

ফারদিনের লাশ গুমের নির্দেশ দেন বজলু

শহিদুল ইসলাম রাজী

প্রকাশ : ১৬ নভেম্বর ২০২২ ২২:২৪ পিএম

আপডেট : ১৭ নভেম্বর ২০২২ ১৪:১১ পিএম

ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশকে হত্যার পর লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে দেয় রায়হান ওরফে হোরোইনচি রায়হান গ্যাংয়ের সদস্যরা। এ কাজে তাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বজলুর রহমান ওরফে বজলু মেম্বার। তদন্ত-সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এ তথ্য জানিয়েছে।

তদন্ত সূত্র বলছে, ফারদি হত্যার অন্যতম হোতা ছিলেন র‌্যাবের অভিযানে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত রাশেদুল ইসলাম শাহীন ওরফে সিটি শাহীন ও রায়হান গ্যাংয়ের সদস্যরা। সিটি শাহীন ও রায়হান বজলু মেম্বারের ঘনিষ্ঠজন হওয়ায় চনপাড়া আধিপত্য ছিল তাদের হাতে। 

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তথ্যমতে, বুয়েট ছাত্র ফারদিনকে হত্যার পর লাশ গুমের সার্বিক সহযোগিতা করেন বজলু মেম্বার। ওইদিন চনপাড়ার একটি মাঠে ১২-১৪ জনের একটি গ্রুপ ফারদিকে পিটিয়ে হত্যা করে। তাদের মধ্যে রায়হান-সিটি শাহীন ছাড়াও রয়েছে হিরোইনচি রায়হান, পিচ্চি শাহ আলম, মিঠু, টাক রবিন, ডাকাত মোস্তফার ভাগিনা মোবারক, মাল্টা রনি, উজ্জ্বল, মনির, সোহাগ, পলাশ ও ফেন্সি রুবেল। এরা সবাই র‌্যাব ও গোয়েন্দা জালে রয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে। 

ওই সূত্র আরও জানায়, গোয়েন্দারা যাদের শনাক্ত করেছেন, তারা সবাই বজলু মেম্বারের লোকজন। বজলুর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার ৬টি, অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য ৫টিসহ ২৩ মামলার তথ্য পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তার বিরুদ্ধে আরও শতাধিক মামলায় সম্পৃক্ততা পেলেও অর্থ ও ক্ষমতার জোরে মামলা থেকে রেহাই পেয়ে যান তিনি।

ওই সূত্র জানায়, ফারদিন হত্যাকাণ্ডে সিটি শাহীন ও রায়হানের সম্পৃক্ততা পাওয়ার পর বজলু গা-ঢাকা দিয়েছেন। বজলুকে গ্রেপ্তার করতে একাধিক স্থানে অভিযান চালিয়েও ব্যর্থ হয়েছে গোয়েন্দারা। তবে স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, রূপগঞ্জের প্রভাবশালী এক নেতার আশ্রয়ে রয়েছে বজলু মেম্বার। ওই নেতা ও তার ছেলের সহযোগিতায় বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন বজলু। 

তদন্ত-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চনপাড়ার মোড় থেকে ‘ফিডিং’ (কৌশলে ফাঁদ পাতা) দিয়ে চনপাড়ার একটি মাঠে নিয়ে জিম্মি করা হয় রায়হানকে। এরপর চাহিদামতো মোটা অঙ্কের টাকা না পেয়ে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয় তাকে। 

তদন্ত-সংশ্লিষ্ট র‌্যাবের একাধিক কর্মকর্তা প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ফারদিন হত্যাকাণ্ডের তদন্তে এখন পর্যন্ত নারীঘটিত বা মাদক-সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের মতিঝিল বিভাগের ডিসি রাজিব আল মাসুদ বলেন, ‘আমরা এই হতাকাণ্ডের মোটিভ উদ্ঘাটনের চেষ্টা চলাচ্ছি। যেহেতু এখনও কিছু পাচ্ছি না, তাই কিছু বলতেও পারছি না। হত্যা রহস্য উদ্ঘাটনে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালানো হচ্ছে।’

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা বেশ কয়েকজনকে শনাক্ত করেছি। তাদের মধ্যে অন্যতম হেরোইনচি রায়হানের সরাসরি সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। সেদিন রাতে রায়হানসহ তার গ্যাংয়ের সদস্যরা ফারদিনকে ফাঁদে ফেলে জিম্মি করে পিটিয়ে হত্যা করে লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে ফেলে দেওয়া হয় শীতলক্ষ্যা নদীতে।’

বান্ধবী বুশরা কারাগারে

ফারদিনের বাবার করা হত্যা মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ডে থাকা বান্ধবী বুশরাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বুধবার (১৬ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে রিমান্ড শেষে তাকে হাজির করা হয়। 

এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রামপুরা থানার পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মোহাম্মদ গোলাম মউলা।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, আসামিকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পেয়ে উচ্চ আদালতের নিয়ম মেনে সতর্কতার সঙ্গে মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। রিমান্ডে পাওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই চলছে। আসামি জামিনে মুক্তি পেলে তদন্ত কার্যক্রমে বিঘ্ন সৃষ্টিসহ পলাতক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামিকে জেলহাজতে আটক রাখা একান্ত আবশ্যক। 

অপরদিকে আসামিপক্ষে জামিনের আবেদন করেন তার আইনজীবী। শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল্লাহ জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে বুশরাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।


শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা