প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২০ জুন ২০২৪ ১৯:০০ পিএম
আপডেট : ২০ জুন ২০২৪ ১৯:২৪ পিএম
বন্যাকবলিত এলাকার দৃশ্য। প্রবা ফটো
বন্যা-ঘূর্ণিঝড়সহ জলবায়ুসংক্রান্ত দুর্যোগে দেশের প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার শিকার, যা মোট জনসংখ্যার ৩১ শতাংশ বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অক্সফাম ইন বাংলাদেশ।
সংস্থাটির এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড় রেমালে ৪৬ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৪৬টি জেলার কৃষির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এর ফলে এই সংকটকে আরও বাড়িয়ে দেবে। এটি দেশের ভবিষ্যৎ খাদ্য নিরাপত্তার জন্য একটি উল্লেখযোগ্য উদ্বেগ তৈরি করেছে।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) বিশ্ব শরণার্থী দিবস উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা নাগরিক এবং এক দশকে জলবায়ু বিপর্যয়ের কারণে সৃষ্ট বন্যা-ঘূর্ণিঝড়ে দেশের অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা ১৮ লাখে দাঁড়িয়েছে। পুনর্বাসনসহ এসব সংকট নিরসনে বৈশ্বিক সম্প্রদায়ের কাছে দ্রুত সমস্যা সমাধানের দাবি জানানো হয়েছে।
সংস্থাটি দাবি করে, সম্প্রতি মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষগুলোতে শত শত রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশ সীমানায় আশ্রয় নিতে বাধ্য করা হচ্ছে; যা দেশের শরণার্থী সংকটে নতুন অস্থিরতা তৈরি করছে। এমন পরিস্থিতিতে মানবিক সহায়তা ও টেকসই সমাধানের জরুরি প্রয়োজন।
অক্সফাম ইন বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর আশিষ দামলে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন বাংলাদেশের মতো ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর বৈষম্যগুলো উন্মোচন করে দিয়েছে। ক্রমাগত জলবায়ু সংশ্লিষ্ট দুর্যোগ দেশের ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর ভোগান্তি আরও বাড়াচ্ছে। একটি দুর্যোগ কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই নতুন দুর্যোগের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। এমন অবস্থায় সংকট নিরসনে বিশ্বব্যাপী পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি। বিশেষত ধনী দূষণকারী দেশগুলোকে অবশ্যই তাদের কার্বন নির্গমন হ্রাস করতে হবে। বাংলাদেশের মতো জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোতে যথাযথ জলবায়ু অর্থ বরাদ্দ দিতে হবে। কারণ জলবায়ু অভিযোজন অর্থের প্রয়োজন; দুর্যোগ পূর্বপ্রস্তুতি ব্যবস্থা এবং সামাজিক সুরক্ষার জন্য অর্থায়ন প্রয়োজন।
তিনি বলেন, মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নিতে আন্তর্জাতিক সমর্থন, উদ্যোগ ও সংহতির প্রয়োজন। আমাদেরকে অবশ্যই রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীসহ সবাইকে রক্ষা করতে হবে। তাদের অধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিত করতে হবে।