× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

পশুর হাট জমজমাট বেচাকানার ধুম

প্রবা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৫ জুন ২০২৪ ০৯:১৮ এএম

আপডেট : ১৫ জুন ২০২৪ ১৬:০৪ পিএম

ক্রেতা-বিক্রেতার হাঁকডাকে মুখর রাজধানীর পশুর হাটগুলো। ছুটির দিন হওয়ায় শুক্রবার সকাল থেকেই দেখা যায় ব্যাপক ক্রেতাসমাগম। গাবতলী থেকে গরু কিনে রাখাল দিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন এক ক্রেতা। প্রবা ফটো

ক্রেতা-বিক্রেতার হাঁকডাকে মুখর রাজধানীর পশুর হাটগুলো। ছুটির দিন হওয়ায় শুক্রবার সকাল থেকেই দেখা যায় ব্যাপক ক্রেতাসমাগম। গাবতলী থেকে গরু কিনে রাখাল দিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন এক ক্রেতা। প্রবা ফটো

দরজায় কড়া নাড়ছে মুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। এই ঈদে কোরবানির জন্য পছন্দের পশু কিনতে মানুষের ভিড়ে এখন গমগম করছে রাজধানীর হাটগুলোতে। সকাল থেকে রাত- বিরামহীনভাবেই চলছে বেচাকেনা। ক্রেতা-বিক্রেতাদের দর-কষাকষি, গরু-ছাগলের হাঁকডাকে রাজধানীর হাটগুলো এবারও দারুণ জমজমাট চেহারা নিয়েছে। গতকাল শুক্রবার ঈদের ছুটি শুরুর প্রথম দিনটিতে উপচে পড়া ভিড় ছিল সব হাটেই। বেচাকেনাও হয়েছে আগের কয়েকদিনের তুলনায় বেশ ভালো। শনি ও রবিবার আরও বেশি বিক্রির আশা করছেন হাটের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা।

এতদিন রাজধানীর হাটগুলো কোরবানির পশুর বেচাকেনা তেমন একটা না হলেও শুক্রবার একেবারেই ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে। এ দিন বিকাল থেকে ক্রেতাদের ঠাসা ভিড় চোখে পড়েছে। অনেকেই তাদের পছন্দের পশু কিনে বাড়ি ফিরেছেন। বেচাকেনা বেশি হওয়ায় খুশি বিক্রেতারাও। তবে অনেকেই কাঙ্ক্ষিত দাম না পাওয়ায় পশু বিক্রি না করে রেখে দিয়েছেন শেষ দুদিনের আশায়। তাদের দাবি, বড় গরুর ন্যায্য দাম বলছে না কেউ। ২ থেকে ৩ লাখ টাকা কম বলার কারণে বড় গরুগুলো বিক্রি হচ্ছে না। ফলে বড় গরু নিয়ে হাটে আসা বেপারিরা বেশ চিন্তার মধ্যে পড়েছেন। গতবারের ঈদেও বড় গরু বিক্রি করতে না পেরে বিপাকে পড়তে হয়েছিল অনেক ব্যক্তিগত খামারি ও বেপারিকে। অন্যদিকে ক্রেতাদের অভিযোগও কম নয়। অনেকেই এবার গরু-ছাগলের বেশি দাম হাঁকা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন। তবে হাটগুলোতে পশু উঠেছে পর্যাপ্ত পরিমাণে। কাজেই শেষবেলা পর্যন্ত অপেক্ষা করে কিছু কমে কেনার আশায়ও রয়েছেন অনেক ক্রেতা।

পটুয়াখালী থেকে কমলাপুর হাটে আসা বেপারি শাহাদাত হোসেন জানান, তিনি ১১টি গরু এনেছিলেন। শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত ৫টি বিক্রি হয়ে গেছে। বাকিগুলোর দরদাম চলছে। সেগুলোও তাড়াতাড়ি বিক্রি করে বাড়ি চলে যেতে চান তিনি। 

কমলাপুর হাটে গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত অন্তত ১৫০০ গরু বিক্রি হওয়ার কথা জানান ইজারাদাররা। ইজারাদার প্রতিনিধি নূরে আলাম জীবন প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় দেড় হাজার গরু বিক্রি হয়েছে। শনি ও রবিবার আরও বেশি বিক্রি হবে। 

গতকাল সারাদিনে তার হাটে ৬ শতাধিক গরু বিক্রি হয়েছে। কিছু ছাগলও বিক্রি হয়েছে। তিনিও শেষ দুই দিনে আরও বেশি বেচাকেনার আশা করছেন। 

তেজগাঁওয়ের অস্থায়ী হাটেও গতকাল বেশ ভালো বেচাকেনা হয়েছে। দুপুরে এ হাটে দেখা যায় বেশিরভাগ ক্রেতাই বিক্রেতাদের সঙ্গে দামদামি করছেন। বিক্রেতারাও খুঁটি গেঁড়ে বসে আছেন। মনের মতো দাম না পেলে গরু ছাড়ছেন না। ক্রেতারাও শেষ মুহূর্তে দাম কমতে পারে- সেই আশা নিয়ে অপেক্ষা করছেন।

এ হাটের বেপারি কুষ্টিয়ার আসিফ শেখ আগের দিন একটি গরু বিক্রি করেছেন। গতকাল তিনি সকালেই সাতটি গরু বিক্রি করেছেন। এবার ১৫টি গরু নিয়ে হাটে এসেছেন তিনি। বাকিগুলোও অল্প সময়ে বিক্রি হয়ে যাবে বলে তার ধারণা। 

জামালপুর থেকে দুটি গরু নিয়ে হাটে এসেছেন শাহ জামাল। দাম ধরেছেন সাড়ে তিন লাখ টাকা। তিনি বলেন, ‘সকাল থেকেই লোকজন আসতেছে; কিন্তু সাড়ে তিন লাখের কমে গরু বেচুম না। দুয়েকজন তিন লাখ পর্যন্ত দাম বলেছেন’।

১৮টি গরু নিয়ে একই এলাকা থেকে আসা নূর নবী বলেন, সকাল থেকে মানুষ আসছে। দরদাম বেশি হচ্ছে, সেই হারে বিক্রি হয়নি। মানুষজন আগে পরিস্থিতি দেখেশুনে নিচ্ছে। শেষ দিন বেশি বিক্রি হবে বলে তিনি মনে করেন। 

৬৫ হাজার টাকা দিয়ে একটি ছোট আকারের গরু কিনেছেন মরিয়ম আক্তার। সঙ্গে ভাই ও ছেলেকে নিয়ে এসেছেন। তিনি বলেন, প্রতিবারই ছোট গরু কোরবানি দিই। এবারও তাই কিনেছি। দামের মধ্যে পাওয়া গেছে বলে কিনে ফেললাম। মনে হচ্ছে অনেক বড় একটা কাজ শেষ হলো।

উত্তরার দিয়াবাড়ী হাটের মূল সীমানা পেরিয়ে সড়কেও পশু রাখতে দেখা গেছে। মেট্রোরেলের ২ নম্বর স্টেশন থেকে পশ্চিমে ১৮ নম্বর সেক্টরে যাতায়াতের সড়কের ওপর গরু রাখায় বিপাকে পড়ছেন এলাকার বাসিন্দারা।

গরু কিনতে আসা সাইফুল ইসলাম বলেন, গরুগুলো সড়কের ওপর রাখায় ক্রেতারা ঠিকমতো দাঁড়াতেও পারছেন না। পেছন থেকে কেবলই গাড়ির হর্ন বাজছে। একটা আতঙ্ক নিয়ে এখানে গরু দেখতে হচ্ছে। 

ভাটারা হাট ঘুরে দেখা যায়, নতুন বাজারে অস্থায়ী পশুর হাটে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে বেপারিরা গরু নিয়ে এসেছেন। গতকাল বিক্রিও হয়েছে বেশ ভালো। আগামী দুদিন ভিড় আরও বাড়বে বলে মনে করছেন বিক্রেতারা। হাট ঘুরে দেখা যায়, মানিকগঞ্জ, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গা থেকে কোরবানির পশু এনেছেন কৃষক, খামারি ও ব্যবসায়ীরা। এর মধ্যে অধিকাংশই দেশীয় গরু। 

হাটের ইজারাদার মো. মিলন হোসেন বলেন, অনেক গরু বেচাকেনা হয়েছে। শনি ও রবিবার হাটে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় হবে আশা করছি। আমরা সেভাবে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।

এক হাট থেকে অন্য হাটে ক্রেতারা

এবার রাজধানীবাসীর কোরবানির পশুর চাহিদা মেটাতে গাবতলী ও সারুলিয়া স্থায়ী হাট ছাড়াও ১৯টি অস্থায়ী হাট বসেছে। এলাকাভিত্তিক এসব হাটে ঘুরে ঘুরে সাধ্যের মধ্যে ভালো পশু কিনতে চাচ্ছেন অনেকেই। রাজধানীর খিলগাঁওয়ের বাসিন্দা আমির হোসেন ও তার তিন বন্ধু এসেছেন কমলাপুর হাটে। আলাপকালে তিনি জানান, বাড়ির পাশেই কাওলা শিয়ালডাঙ্গা হাট রয়েছে। সেখানে বৃহস্পতিবার তারা চারজন বাজার যাচাই করে দেখেছেন। এ হাটেও গরু দেখতে এসেছেন। আরও দু-একটি হাট দেখার পর তুলনামূলক কম দামে যেখানে গরু পাবেন, সেখান থেকেই কিনবেন। চারজন মিলে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা থেকে দেড় লাখ টাকার মধ্যে কোরবানির পশু কিনবেন বলে ঠিক করেছেন।

হাটে হাটে ঘুরেছেন ক্রেতা মো. আলমগীর হোসেন। তিনি জানান, তেজগাঁওয়ে সুবিধা না হলে গাবতলী হাটে যাবেন। এ হাটে তার পছন্দ হওয়া লাল রঙের একটি ষাঁড় গরুর দাম হাঁকাচ্ছে ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা। তিনি ১ লাখ ২০ হাজার পর্যন্ত দাম বলেও গরুটি নিতে পারেননি। তিনি বলেন, বিক্রেতারা দাম বেশি চাচ্ছে। আরও দুই দিন সময় হাতে আছে। ঘুরে দেখি, তারপর কেনা যাবে। 

হাটে পরিবার নিয়ে গরু কিনতে আসা মো. ইকবাল হোসেন বলেন, কোনো গরু পছন্দ হলে দেখা যায় তার দাম সাধ্যে কুলায় না। আবার সাধ্যের মধ্যে গরু পাওয়া গেলেও তা ঠিক তেমন একটা পছন্দ হয় না। এই দোটানার মধ্যেই পুরো বাজার চষে বেড়াচ্ছেন তিনি। দরকার হলে অন্য হাটেও যাবেন, তারপরও গরু নিয়েই আজ ঘরে ফিরবেন।

কাওলা শিয়ালডাঙ্গা হাটে আসা কুষ্টিয়ার বেপারি শহিদুল ইসলাম বলেন, তার আনা ৭টি গরুর মধ্যে ২টি বিক্রি হয়েছে। ক্রেতারা দরদাম করে চলে যাচ্ছেন। কাছে আরও হাট থাকায় অনেকেই বিভিন্ন হাটে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। 

‘বড় গরুর বিপদ বেশি’

সিরাজগঞ্জ থেকে তিনটি বড় গরু নিয়ে গাবতলী হাটে এসেছেন নাছির উদ্দিন নামে বেপারি। তিনি বলেন, বড় গরু লালন-পালন করা এখন বিপদের বিষয়। ভুট্টা, ভুসিসহ সব ধরনের গো-খাদ্যের দাম চড়া। এত খরচ করে এখন ভালো দাম পাব কি না তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।

তিনি জানান, শাহীওয়াল জাতের একটি কালো ষাঁড়ের দাম তিনি চাইছেন ২৪ লাখ টাকা। ১৯ লাখ পর্যন্ত দাম উঠেছে। ২৩ লাখের কমে এই গরু ছাড়বেন না বলেও জানান তিনি। 

নাছির বলেন, এত কষ্ট করে, এত খরচ করে কিছু টাকা হাতে না থাকলে গরু দিয়ে কি করব। সারা বছর গরুর লালন-পালন করে যদি লোকসান হয়, তাহলে ছেড়ে দেওয়াই ভালো। 

জামালপুর থেকে তেজগাঁও হাটে ১টি বড় গরু নিয়ে এসেছেন মানিক মিয়া। তিনি বলেন, এক কেজি ভুসির দাম ৬০ টাকা। প্রতিদিন তিন কেজি ভুসি খাওয়াতে হয়। দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ টাকা। গরুর দামও বেশি হবে। আমার একটাই গরু, এটা বিক্রি করে যেতে না পারলে পথে বসতে হবে। ৬ লাখ টাকা দাম চাইছি। সাড়ে ৫ লাখ হলে ছেড়ে দেব। এখন পর্যন্ত একজন সর্বোচ্চ ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা দাম বলেছে।

মহিষ ছাগল ভেড়ার হাল

গাবতলীর হাটে এবার মহিষ, ছাগল, ভেড়া উঠেছে অন্য বছরের তুলনায় বেশি। চাহিদাও বেশ ভালো। পাবনা থেকে ৪টি মহিষ নিয়ে এসেছেন শাহীন বেপারি। গতকাল বিকালের মধ্যে তার ৩টি মহিষ বিক্রি হয়েছে। তিনি বলেন, দুইটা ৩ লাখ, আরেকটা ১ লাখ ২০ হাজারে বিক্রি করেছি। এবার কোরবানির পশুর দাম বাড়েনি। গত বছরের দামেই বিক্রি হচ্ছে।

শফিকুল নামে এক ছাগল ব্যবসায়ী বলেন, সিরাজগঞ্জ থেকে ১২টি ছাগল নিয়ে আসছি। আমার কাছে সাড়ে ৮ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকার ছাগল আছে। দুইটা বিক্রি হয়েছে।

গ্রিন রোডের বাসিন্দা হারুনুর রশীদ বলেন, বড় ছাগল কিনতে এসেছিলাম। কিন্তু মাঝারি আকারের ছাগলের দামই হাঁকছে ৫০ হাজার টাকা। দাম বেশি থাকায় কিনতে পারেনি। 

তেজগাঁও হাটে ছাগল, ভেড়ার দেখা এবার তেমন একটা মেলেনি। দুটি ছাগল কিনে ফিরছিলেন তানভীর হোসেন। তিনি বলেন, হাটে এখন ছাগল পাওয়া যায় না আগের মতো। আমরা একাই কোরবানি দেই। আর গরুর মাংসও সবাই খেতে পারে না বলে খাসিই কোরবানি দিয়ে থাকি। একজন বিক্রেতাকে কয়েকটি ভেড়া নিয়ে বসে থাকতে দেখলেও আর কোথাও গরু ছাড়া কিছু দেখা যায়নি।

দিয়াবাড়ী হাটেও একই চিত্র। ছাগল ও ভেড়ার সংখ্যা খুবই কম। ছাগলের কিছু ক্রেতা থাকলেও দাম বেশি থাকায় তাদের অনেককেই ফিরে যেতে হয়েছে। কমলাপুর হাটে বেশকিছু ছাগল দেখা গেলেও সাঈদ নগর হাটে ছাগলের দেখা মেলেনি।

গাবতলীতে বেচাকেনা তারপরও কম

রাজধানীর অন্যতম পশুর হাট গাবতলীতে এখনও সেভাবে বেচাকেনা শুরু হয়নি বলে দাবি করেছেন বেপারিরা। বেশিরভাগ ক্রেতা-বিক্রেতাই দরদামে ব্যস্ত সময় পার করছেন। আরও দুদিন হাতে থাকায় অনেকেই আরেকটু দেখেশুনে কেনার কথা ভাবছেন। তবে ট্রাকবোঝাই করে এ হাটে কোরবানির পশু আসা অব্যাহত রয়েছে। বেপারিরা বলছেন, ঢাকার মানুষ এত তাড়াতাড়ি গরু কেনেন না। ঈদের আগের দিনের অপেক্ষায় থাকেন সবাই। তাই মূল বেচাকেনা ঈদের আগের দিনই হবে। 

কুষ্টিয়ার সাগর হোসেন বিভিন্ন জাতের ১৭টি গরু নিয়ে এ হাটে এসেছেন। শাহীওয়াল ও হলিস্টিন জাতের ১০টি গরুর দাম চাইছেন সাড়ে তিন লাখ থেকে ১২ লাখ টাকা পর্যন্ত। তবে তখনও তার কোনো গরু বিক্রি হয়নি। তিন দিন অপেক্ষা করে একটি গরুও বিক্রি করতে পারেননি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শহিদুল ইসলাম। তিনি ৮টি গরু এনেছেন। দাম হাঁকছেন ৪ লাখ থেকে ৮ লাখ টাকা পর্যন্ত।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা