কুমিল্লা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৫ মে ২০২৪ ২০:০৪ পিএম
আপডেট : ০৫ মে ২০২৪ ২০:১৯ পিএম
১৯৫৫ সালের ৫ মে কুমিল্লা থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক আমোদ পত্রিকার প্রথম সংস্করণ
৭০ বছরে পদার্পণ করেছে দেশের প্রাচীন সাপ্তাহিক সংবাদপত্র আমোদ। কুমিল্লা থেকে প্রকাশিত পত্রিকাটি সংবাদ ও ইত্তেফাকের পরে নিয়মিত প্রকাশিত তৃতীয় প্রাচীন সংবাদপত্র।
আমোদ পরিবারের সূত্রে জানা গেছে, ১৯৫৫ সালের ৫ মে কুমিল্লায় মোহাম্মদ ফজলে রাব্বী ‘আমোদ’ পত্রিকার প্রকাশনা শুরু করেন। পূর্ব পাকিস্তানের প্রথম ক্রীড়া সাপ্তাহিক পত্রিকা ছিল এটি। পরে তা সাধারণ সংবাদপত্রে রূপ নেয়। প্রথম সংখ্যাটির মূল্য ছিল এক আনা।
১৯৯৪ সালের ২৮ নভেম্বর মোহাম্মদ ফজলে রাব্বী মারা গেলে প্রকাশনার দায়িত্ব নেন তার সহধর্মিণী শামসুননাহার রাব্বী। ২০২১ সালের ২৫ জুন মারা যান শামসুননাহার। বর্তমানে ছেলে বাকীন রাব্বী সম্পাদনার দায়িত্বে রয়েছেন।
আঞ্চলিক সংবাদপত্র হিসেবে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে আমোদ। আর সে কারণে তার যোগ্য স্বীকৃতিও পেয়েছে পত্রিকাটি। জাতিসংঘের অঙ্গসংগঠন ইউনেস্কো এশিয়ার পাঁচটি সেরা আঞ্চলিক পত্রিকার একটি হিসেবে আমোদকে স্বীকৃতি দেয়।
কুমিল্লার প্রবীণ সাংবাদিক খায়রুল আহসান মানিক বলেন, ‘বৃহত্তর কুমিল্লা তথা ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর এবং তার আশপাশের এলাকায় এখন যে সংবাদপত্রের বিকাশ দেখা যায়, তার উৎস আমোদ। এ অঞ্চলে যারা সাহিত্যসেবী হিসেবে সুপরিচিত তারাও আমোদে লিখে হাত পাকিয়েছেন। প্রথম দিকে বৃহত্তর নোয়াখালী ও সিলেটে আমোদের সার্কুলেশন ছিল। গত ৬৯ বছর কুমিল্লা ও আমোদ হাত ধরাধরি করে চলেছে। কুমিল্লার শিক্ষা ও সংস্কৃতিতে ব্যাপক অবদান রেখেছে পত্রিকাটি।’
সম্পাদক বাকীন রাব্বী বলেন, ‘প্রতিটি মানুষ সকালে ঘুম থেকে উঠে বলে একটি নতুন দিনের জীবন পেলাম। তেমনি আমরা প্রতি বৃহস্পতিবার সকালে আমোদ পত্রিকা ছাপা হওয়ার পর হাঁফ ছেড়ে বলি, আরেকটি সপ্তাহ পত্রিকা প্রকাশ করতে পারলাম। পেশা ও নেশার সঙ্গে সংবাদপত্র প্রকাশনা আমাদের নিকট ইবাদতের মতো। মানুষের ভালোবাসার কারণেই এই দীর্ঘসময়ের পথ পাড়ি দিতে পেরেছি।’