বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ১২:২৮ পিএম
আপডেট : ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ১৪:৩৭ পিএম
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক। ফাইল ছবি
দেশের ২৪টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘এ’ ইউনিটের পরীক্ষার মধ্য দিয়ে সমন্বিত গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আজ। এতে ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩টি কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। এদিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ক্যাম্পাস কেন্দ্রে সাংবাদিকদের প্রবেশ সীমিত করে কোটাভিত্তিক কয়েকজনকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় গুচ্ছ কমিটি। এর বাইরে আর কোনো সাংবাদিককে ক্যাম্পাসে প্রবেশ না করতেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন মহলে তীব্র সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, বিগত বছরগুলোতে ক্যাম্পাসে কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন কেন্দ্রে প্রবেশ করে সংবাদ সংগ্রহে অনুমতি পেয়ে এসেছে। প্রক্সি পরীক্ষা চক্রের হোতাসহ, প্রশ্নফাঁস চক্রের সদস্যদের ধরতেও অবদান রেখেছেন সাংবাদিকরা। এবার ক্যাম্পাসের কয়েকটি সাংবাদিক সংগঠনকে কোটাভিত্তিক বরাদ্দ দিয়ে মাত্র ১২ জন সাংবাদিক প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে প্রশাসন। তাদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বিশেষ কার্ডেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর বাইরে অন্য সাংবাদিকদের ক্যাম্পাসে প্রবেশ না করতে সাংবাদিক সংগঠনগুলোকে নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
এদিকে গুচ্ছভুক্ত ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩টি কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষা চললেও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্র ছাড়া অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রে সাংবাদিক প্রবেশে এমন কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সাংবাদিক প্রবেশে কোটাভিত্তিক কোনো আসন বরাদ্দ দেওয়া হয়নি বলেও জানা গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত একাধিক সাংবাদিক জানান, এর আগে বিগত বছরগুলোতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন ‘প্রক্সিকাণ্ড’ ও প্রশ্নফাঁস চক্র ধরতে সাংবাদিকরা বেশ বড় ভূমিকা রেখেছেন। এবার সাংবাদিকদের পরীক্ষা চলাকালীন ক্যাম্পাসে প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা প্রশ্ন ফাঁস কিংবা প্রক্সি চক্রের নতুন ফন্দি কি না তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন সংশ্লিষ্টরা। সাংবাদিকরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে না পারলে কীভাবে তথ্য সংগ্রহ করে সংবাদ পরিবেশন করবে তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তারা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, এখানে আমাদের কিছু করার নেই। কেন্দ্রীয় গুচ্ছ কমিটি থেকে যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে আমরা সেভাবেই কাজ করছি। আমরা ১২ জন সাংবাদিককে প্রবেশের সুযোগ দিচ্ছি। এটা আমাদের কোনো সিদ্ধান্ত না।
এ বিষয়ে কথা বলতে গুচ্ছ ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক এবং যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেনকে বারবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।