বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৯:৫২ পিএম
আপডেট : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২১:৫৯ পিএম
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সাংবাদিকদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সকল সাংবাদিক ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জয় বাংলা ভাস্কর্যের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
সোমবার বিকাল সাড়ে ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের একটি গ্রুপের নেতাকর্মীদের অতর্কিত হামলার শিকার হন বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত দুই সাংবাদিক। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সদ্যসাবেক সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবীবকে হামলা করা হয় সমিতির অফিসের সামনেই। এরপর সমিতির সভাপতি মো. ফাহাদ বিন সাঈদ তাকে উদ্ধার করতে এলে তাকেও জয়ধ্বনি মঞ্চের সামনে বেধড়ক পেটানো হয়।
মানববন্ধনে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও সাংবাদিক তৈয়ব শাহনুর বলেন, ‘ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল লেগেই থাকে। এসবকে কেন্দ্র করে তারা অস্ত্রের মহড়াসহ প্রায়ই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। গতকালও তাই হয়েছিল। সেখানে ক্যাম্পাসের সাংবাদিকদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় অনেক সাংবাদিকও। এই সাংবাদিকরা যেন তাদের অপকর্ম, তাদের নগ্নরূপ তুলে ধরতে না পারেন, তাই তাদের প্রতিহত করতেই এই হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। এসব সন্ত্রাসী নানা ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করলেও ‘ছাত্রলীগ’ ট্যাগ ইউজ করে বেঁচে যায়। অথচ এরা ছাত্রলীগের কোনো রকম নীতি আদর্শ কখনোই প্রদর্শন করেনি। এরা বারবার বহিষ্কৃত, তবু এরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘোরাফেরা করে, হলেও থাকে। প্রশাসন যদি এদের বিরুদ্ধে এবারও কড়া সিদ্ধান্ত না নেয়, তাহলে প্রশাসনের মেরুদণ্ড নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রশ্ন তুলবে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ত্রিশাল প্রেস ক্লাবের সভাপতি খুরশিদুল আলম মুজিব, সাধারণ সম্পাদক এইচএম জোবায়ের হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান সেলিম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান নোমান, ত্রিশাল বার্তার সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, সময় টেলিভিশনের ময়মনসিংহ ব্যুরো চিফ সাদিকুর রহমান, মানবকণ্ঠের প্রতিনিধি মো. সেলিম, ত্রিশাল প্রেস ইউনিটির সভাপতি সাইফুল ইসলাম তুহিন, বিজনেস বাংলাদেশের ত্রিশাল প্রতিনিধি নুরুদ্দিনসহ ক্যাম্পাসে কর্মরত সাংবাদিকরা। এ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতি, প্রেস ক্লাব, সাংবাদিক ফোরামের সাংবাদিকসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধন শেষে জড়িতদের স্থায়ী বহিষ্কার, গণমাধ্যমে সিসিটিভি ফুটেজ প্রদান, গণমাধ্যমে প্রশাসনের বিতর্কিত বক্তব্য প্রত্যাহার, সন্ত্রাসীদের বর্তমান অবস্থান ব্যাখ্যা এবং আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণের আল্টিমেটামসহ পাঁচ দফা দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিকদের গণস্বাক্ষরসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।