প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২০:৫৫ পিএম
আপডেট : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২০:৫৭ পিএম
নরসিংদীর মাধবদীতে ড্রিম হলি ডে পার্কে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী বক্তব্য দেন। প্রবা ফটো
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী বলেছেন, ‘একটি দেশে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ বাস করতে পারে। কিন্তু তাদের মধ্যে যদি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি না থাকে তাহলে তারা কখনই একটি শক্তিশালী জাতিতে পরিণত হতে পারে না। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অভাবে সেই জাতির ভেতরে অন্তর্দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়। এতে করে সমাজ ও দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।’
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নরসিংদীর মাধবদীতে ড্রিম হলি ডে পার্কে ‘সাহা ফাউন্ডেশন’-এর ষষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘সাহা সম্প্রদায় শুধু এ দেশে নয়, গোটা পৃথিবীতেই অত্যন্ত সম্ভ্রান্ত এক সম্প্রদায়ের নাম। এদেশেও তাদের অবদান সর্বমহলে স্বীকৃত।’
সাহা সম্প্রদায়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কাদের গনি চৌধুরী বলেন, ‘দেশে হিন্দু-মুসলমান সবারই সমান অধিকার রয়েছে। প্রতিটি নাগরিক এদের মালিক। বিগত সরকার আমাদের মালিকানা কুক্ষিগত করেছিল। আমরা নাগরিকরা আমাদের মালিকানা ফেরত চাই। যারা ক্ষমতায় থেকে এদেশে অসাম্প্রদায়িকতার কথা বলে বারবার সংখ্যালঘু নির্যাতন চালিয়েছে, তাদের মুখোশ উন্মোচন করে গেছেন এই প্রিয়া সাহা। আজ সেই প্রিয়া সাহাকে এ অনুষ্ঠানে শ্রদ্ধা জানাই।’
সাহা ফাউন্ডেশনের ষষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এ জমকালো আয়োজনে সাহা ফাউন্ডেশনের সভাপতি মলয় কুমার সাহা সভাপতিত্ব করেন।
এ সাংবাদিক নেতা আরও বলেন, একটি দেশে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ বাস করতে পারে। কিন্তু তাদের মধ্যে যদি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি না থাকে তাহলে তারা কখনোই একটি শক্তিশালী জাতিতে পরিণত হতে পারে না। সাম্প্রদায়িক সম্প্রতির অভাবে সেই জাতির ভেতরে অন্তর্দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়। এতে করে সমাজ ও দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এ দেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বাস করে হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান। এটি আমাদের গৌরব। আমরা বিশ্বাস করি ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার। মুক্তিযুদ্ধে হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, খাসিয়া, সাঁওতাল নির্বিশেষে সকলে এক হয়ে যুদ্ধ করেছে। আমাদের প্রত্যেকটি উৎসবে বাঙালি জাতি এক হয়ে যায়। এটাই আমাসের ঐতিহ্য। এ ঐতিহ্য রক্ষা করতে হবে।’