× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

বইমেলা

বিষয় যখন মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু ও রাজনীতি

সেলিম আহমেদ

প্রকাশ : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১১:৪৭ এএম

আপডেট : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১২:০০ পিএম

ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

বাঙালির গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসকে স্বকীয়তা দিয়েছে মহান মুক্তিযুদ্ধ। এই জনযুদ্ধ এবং সেই সূত্রে এ দেশের জনগণের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছাড়াও এ জনপদের রাজনৈতিক ইতিহাস এবং এর ধারাবাহিকতা সম্পর্কে পাঠকমনে রয়েছে ব্যাপক আগ্রহ। তাই এসব বই কিনতে প্রতিদিনই বিভিন্ন প্রকাশনীর স্টল-প্যাভিলিয়নে ভিড় করেন পাঠকরা। যদিও অভিযোগ রয়েছে, এসব বিষয় নিয়ে মানসম্মত ও বস্তুনিষ্ঠ তথ্যভিত্তিক বই নেই বললেই চলে। এমনকি প্রকাশকরাও একই কথা বলে থাকেন।

বাংলা একাডেমির তথ্যমতে, গতকাল শনিবার পর্যন্ত বইমেলায় নতুন বই এসেছে ২ হাজার ৭৩৯টি। এর মধ্যে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক বই ৫৫টি, বঙ্গবন্ধুবিষয়ক ২৩টি এবং রাজনীতিবিষয়ক ২২টি।

মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে উল্লেখযোগ্য বইগুলোর মধ্যে রয়েছেÑমুনতাসীর মামুনের ‘১৯৭১ মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শান্তি কমিটি গঠন ও তৎপরতা’ ও সালেক খোকনের ‘১৯৭১ : খেতাবপ্রাপ্ত ত্রিশ বীর’ (কথাপ্রকাশ); আফসান চৌধুরীর ‘১৯৭১ : আন্তর্জাতিক পরিসন’ ও আসাদ চৌধুরীর ‘একাত্তরের ৭১ কবিতা’ (ঐতিহ্য); মুনতাসীর মামুনের ‘১৯৭১ : বিশ্বজনমত তৈরিতে শরণার্থীর ভূমিকা’ (সুবর্ণ প্রকাশনী); বীর প্রতীক আলমগীর সাত্তারের বয়ানে ‘কিলোফাইট’ ও ফারুক আলমগীরের ‘ঢাকা টিভি স্টেশনের অবিস্মরণীয় দিনগুলো’ (জার্নিম্যান বুকস ); ড. এম আলীমের ‘বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ’, সুজন বড়ুয়ার ‘সূর্য উঠার সময়’ ও ‘মুক্তিযুদ্ধের কিশোর উপন্যাসসমগ্র’, মোনায়েম সররকারের ‘মুক্তিযুদ্ধের কত স্মৃতি কত কথা’ ও রফিকুর রশীদের ‘দাঁড়াবার সময়’ (আগামী প্রকাশনী); সুরমা জাহিদের ‘বীরাঙ্গনাদের ভয়াবহ স্মৃতিকথা’ (অনিন্দ্য প্রকাশ); আশফাকুজ্জামানের ‘মুক্তিযুদ্ধের কণ্ঠস্বর : স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র’ (তাম্রলিপি); মো. আজিজুল আলমের ‘স্বাধীনতা যুদ্ধের ১০ নম্বর সেক্টর : সাগর সীমানায় অজেয় সেনা, বাংলাদেশের নৌ কমান্ডো কাহিনি’ (অনন্যা); মোস্তফা সেলিমের ‘সাপ্তাহিক মুক্তবাংলা’ (পাঠক সমাবেশ), সুলতানা কামালের ‘বাংলাদেশের প্রথম হাসপাতাল’ (বেহুলা বাংলা) ইত্যাদি। 

বঙ্গবন্ধুবিষয়ক উল্লেখযোগ্য বইয়ের মধ্যে রয়েছে আবু মো. দেলোয়ার হোসেনের ‘অভ্যন্তরীণ ঘটনাপঞ্জি নিয়ে বঙ্গবন্ধু শাসনামল ১ম ও ২য় খণ্ড’ ও বিধায়ক সেনের ‘বঙ্গবন্ধু ও গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্র’ (কথাপ্রকাশ); আফরিন শাহনাজ সম্পাদিত ‘বঙ্গবন্ধুর বিদেশি বন্ধু ও বিদেশ সফর ও অন্যান্য’ ও সালাম আজাদের ‘বঙ্গবন্ধু প্রসঙ্গে অন্নদাশঙ্কর’ (ঐতিহ্য); সুব্রত বড়ুয়ার ‘Bangabandhu’s Life and Struggle : A Junvenile Reading’ (পড়ুয়া); মোহিত কামালের ‘অক্ষরস্রোতে বঙ্গবন্ধু’ (অনিন্দ্য প্রকাশ); সুমী শারমীনের ‘প্রযত্নে ধানমন্ডি ৩২’ (সময় প্রকাশন); মোজাম্মেল হক নিয়োগীর ‘কিশোরগঞ্জে বঙ্গবন্ধু’, জালাল ফিরোজের ‘বাঙালি জাতি গঠন : বঙ্গবন্ধুর পত্রাবলি’ (বাংলা একাডেমি); মুনতাসীর মামুনের ‘কী চেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু’ (সময় প্রকাশন); আউলিয়া পারভীনের ‘শেখ মুজিব বাঙালির বাতিঘর’ (মেঘদূত প্রকাশনা); প্রত্যয় জসীমের ‘বঙ্গবন্ধুর তিনটি বই’ মুহম্মদ আবদুল মজিদের ‘ইতিহাসের দর্পণে বঙ্গবন্ধু, ১ম ও ২য় খণ্ড, ((মিজান পাবলিশার্স) ইত্যাদি।

এ ছাড়াও রাজনীতিকেন্দ্রিক বিভিন্ন ধরনের বই এসেছে এবারের মেলাতে। যেমন কথাপ্রকাশ থেকে এসেছে ইমতিয়ার শামীমের সম্পাদনায় ‘গোপন রাজনীতির গল্প’ এবং ঐতিহ্য থেকে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী ও আবুল হাসনাতের সম্পাদনায় ‘নব্বই-এর অভ্যুত্থান’। আন্তর্জাতিক রাজনীতিভিত্তিক বইয়ের মধ্যে রয়েছে শোভাপ্রকাশের ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস ও রাজনীতি’, পুঁথিনিলয়ের ‘বাংলাদেশের নেতৃত্বের পরম্পরা ও উন্নয়ন’, নক্ষত্র প্রকাশনীর ‘রাশিয়ার ইউক্রেন আগ্রাসন’, আগামী প্রকাশনীর ‘স্বদেশ সংলাপ ও বিশ্ববীক্ষণ, সহে না মানবতার অবমাননা এবং সমালোচনা’ ইত্যাদি। 

বিভিন্ন প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু ও রাজনৈতিক বই রয়েছে ছাত্রলীগের স্টল ‘মাতৃভূমি’তে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ নেতাদের বিভিন্ন বই রাখা হয়েছে এখানে। উল্লেখযোগ্য বইগুলোর মধ্যে রয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’, ‘আমার দেখা নয়া চীন’, ‘কারাগারের রোজনামচা’, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লেখা ‘শেখ মুজিব আমার পিতা’, ‘নির্বাচিত প্রবন্ধ’, ‘আমাদের ছোট রাসেল সোনা’, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূমিকায় লেখা ‘জয় বাংলা : সাক্ষাৎকার ও আলাপচারিতা’ ইত্যাদি।

বইমেলায় কথা হয় সাইফ হাসানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ, রাজনীতি ও বঙ্গবন্ধু একে অপরের সঙ্গে জড়িত। এই বইগুলো আমাকে খুব টানে। কিন্তু মেলায় ভালো লেখকের বই খুব কম পাওয়ায় যায়। অনেক বইয়ে মেলে না সঠিক ইতিহাস।’

দাঁড়িকমার প্রকাশক আলমগীর রুমি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর অনেক অজানা অধ্যায় আছে, যা এখনও উন্মোচিত হয়নি। বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধের আঞ্চলিক ইতিহাস নিয়ে গবেষণার অনেক সুযোগ রয়েছে। যেসব বই অমূল্য সম্পদ হয়ে উঠতে পারে আমাদের প্রকাশনা শিল্পে। এ ছাড়াও রাজনীতি নিয়ে কাজ করার প্রচুর সুযোগ রয়েছে।’ 

কথাপ্রকাশের ব্যবস্থাপক ইউনুস আলী বলেন, ‘আমার প্রকাশনীতে প্রবন্ধ বা নন-ফিকশন বই বেশি। তাই মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক বইয়ের বিক্রি ভালো। প্রবীণ ও গবেষকদের পাশাপাশি তরুণরাও বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক বইগুলো কিনছেন।’

আগামী প্রকাশানীর প্রকাশক ওসমান গনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক বইয়ের চাহিদা থাকে সারা বছর ধরেই। কারণ বোদ্ধা ও আগ্রহী সব পাঠকই এসব বইয়ের ক্রেতা। তবে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক বইয়ের চাহিদা বেশি হওয়ার সুযোগ নিয়ে মানহীন কপিপেস্ট বই প্রকাশিত হচ্ছে। এসবের লাগাম টানা দরকার।’ 

মেলার শেষ শনিবারে ভিড়-আড্ডা

বইমেলার শেষ শনিবার ছিল পাঠক-দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়। পছন্দের বই সংগ্রহে ব্যস্ত ছিলেন সবাই। মেলায় দিনভর আড্ডায় মেতে ছিলেন লেখক, বইপ্রেমী আর প্রকাশকরা।

বিক্রয়কর্মী ও প্রকাশকরা জানান, মেলার শেষদিকে বেশিরভাগ মানুষই বই কিনতে আসেন। অনেকে মেলায় ক্যাটালগ সংগ্রহ করে তালিকা করে রাখেন। সারা বছর সেই তালিকা ধরে বই কেনেন।

মোহাম্মদপুর থেকে দুই মেয়ে রুধিবা ও রুধবাকে নিয়ে মেলায় এসেছিলেন ককন খান। তিনি বলেন, ‘নানা কারণে এবার এক দিনও মেলায় আসা হয়নি। তাই শেষ শনিবার সবাইকে নিয়ে এসেছি। মেয়েদের জাফর ইকবাল ও ধ্রুব এষের ৮টি শিশুতোষ বই কিনে দিলাম। নিজেও কিনলাম ৩টি বই। সব মিলিয়ে ভালো সময় কাটল।’

প্রতিভা প্রকাশের স্বত্বাধিকারী মঈন মোরসালীন বললেন, ‘এখন লোকজন বই কেনার জন্যই মেলায় আসছে। তবে ছুটির দিনের সন্ধ্যায় অনেকেই মেলায় আসেন ঘুরে বেড়াতে।’

শব্দশৈলীর প্রকাশক ইফতেখার আমিন বলেন, ‘মেলা তো শেষ দিকে। তাই যারা আসছেন সবাই বই কিনছেন।’

খড়িমাটির আয়োজনে সাত কবি

খড়িমাটির আয়োজনে বইমেলায় এসেছে দেশের বর্তমান সময়ের আলোচিত সাত কবির পেপারব্যাক সিরিজ। এই সিরিজ পাওয়া যাচ্ছে বইমেলায় খড়িমাটির ১৯৮ নম্বর স্টলে। এই সিরিজে রয়েছে সরকার আমিনের ‘প্রেমের জন্য রাজি’, মুস্তাফিজ শফির ‘মায়াগুচ্ছ’, আলফ্রেড খোকনের ‘হাতমেশিনে বোনা’, শোয়াইব জিবরানের ‘নিরস্ত্র মানুষের গান’, মুজিব ইরমের ‘মফস্বলের কবিতা’, টোকন ঠাকুরের ‘বাসি বাসি কবিতা’ ও মাহবুব আজীজের ‘মিহি তরঙ্গের মতো’ শিরোনামের কবিতার বই। এই পেপারপ্যাক সিরিজটি বেশ সাড়া ফেলেছে বলে জানিয়েছেন স্টল সংশ্লিষ্টরা।

নতুন বই

শনিবার নতুন বই এসেছে ১৩৮টি। উল্লেখযোগ্য বইগুলোর মধ্যে রয়েছেÑবাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত হালিম দাদ খানের গবেষণাগ্রন্থ ‘বঙ্গবন্ধু হত্যা : প্রতিবাদ-প্রতিরোধ’; কথাপ্রকাশ এনেছে ইমতিয়ার শামীমের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গল্পগ্রন্থ ‘সোনালু সোনালু যত স্বপ্নদাহ’; আগামী প্রকাশনী এনেছে ড. অরূপরতন চৌধুরীর স্বাস্থ্যবিষয়ক ‘ডায়াবেটিসে মুখের সমস্যা’; পাঠক সমাবেশ এনেছে রইসউদ্দিন আরিফের স্মৃতিকথা ‘প্রবাহিত জীবনের গল্প’; ঐতিহ্য এনেছে হাসনাত আবদুল হাইয়ের উপন্যাস ‘শ্রেষ্ঠ উপন্যাস’। এ ছাড়া তাম্রলিপি থেকে প্রকাশ পেয়েছে ইমতিয়ার শামীমের ‘শ্রেষ্ঠ কিশোর গল্প’ ও ধ্রুব এষের ‘শ্রেষ্ঠ কিশোর গল্প’। 

মেলা মঞ্চের আয়োজন

বিকাল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘স্মরণ : মোহাম্মদ রফিক’ এবং ‘স্মরণ : খালেক বিন জয়েনউদদীন’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যথাক্রমে আলতাফ শাহনেওয়াজ এবং সুজন বড়ুয়া। আলোচনায় অংশ নেন শামীম রেজা, শোয়াইব জিবরান ও আসলাম সানী। সভাপতিত্ব করেন আবুল মোমেন।

সভাপতির বক্তব্যে আবুল মোমেন বলেন, ‘কবি মোহাম্মদ রফিক এবং ছড়াকার ও শিশুসাহিত্যিক খালেক বিন জয়েনউদদীন তাদের সাহিত্যপ্রতিভা দিয়ে বাংলা সাহিত্যকে ঋদ্ধ করেছেন। নতুন প্রজন্মের মাঝে দেশপ্রেম জাগিয়ে তোলা ও ইতিবাচক মনোগঠনে তাদের সাহিত্যকর্ম অপরিসীম ভূমিকা রাখবে।’

এ ছাড়াও মূলমঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন কবি মাকিদ হায়দার, আশিক আকবর, মাহবুব আজীজ, বীরেন মুখার্জী, আরেফিন রব, কাফি শেখ, সালেহ মুজাহিদ ও তিথি বালা। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী নূরুল হাসনাত জিলান, লুৎফুন নাহার লতা, নিমাই মণ্ডল, সাহিত্য ভঞ্জ চৌধুরী।

‘লেখক বলছি’ অনুষ্ঠানে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন কবি ও গবেষক শাহনাজ পারভীন, কবি ও অনুবাদক সাইফুল ভূঁইয়া, কথাসাহিত্যিক শাহনাজ পারভীন স্মৃতি এবং গবেষক মনিরুজ্জামান শাহীন।

আজকের আয়োজন

আজ রবিবার, ২৫তম দিন। মেলা শুরু হবে বেলা ৩টায় এবং চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। বিকাল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে ‘স্মরণ : স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন কাজী নূরুল করিম দিলু। আলোচনায় অংশ নেবেন তানভীর নেওয়াজ এবং মাহমুদুল আনোয়ার রিয়াদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন জেবুন নাসরীন আহমেদ। 

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা