প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৯:৫৭ পিএম
আপডেট : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২০:৫৪ পিএম
মেলায় পাঠকদের সঙ্গে ‘মাদকের সাতসতেরো’ ও ‘কিশোর গ্যাং- কীভাবে এলো, কীভাবে রুখবো’ বই দুটির লেখক র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
অমর একুশে বইমেলায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছে ‘মাদকের সাতসতেরো’ ও ‘কিশোর গ্যাং- কীভাবে এলো, কীভাবে রুখবো’ বই দুটি। কর্মক্ষেত্রে বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে সচেতনতামূলক বই দুটি লিখেছেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বই দুটির উদ্বোধন করেন র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) এম খুরশীদ হোসেন। কবি প্রকাশনীর (৬৩ ও ৬৪ নম্বর) স্টলে বই দুটি পাওয়া যাচ্ছে।
বর্তমান সামাজিক অবক্ষয়ের দুটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা মাদক ও কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত। সমাজ থেকে মাদক ও কিশোর গ্যাং নির্মূলে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিজের সুদীর্ঘ অভিজ্ঞতা থেকে গভীর অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে মাদক ও কিশোর গ্যাংয়ের মতো ভয়ংকর সমস্যাগুলোর সমাধানসূত্র খুঁজলেন জননন্দিত ব্যক্তি র্যাব ফোর্সেস মুখপাত্র খন্দকার আল মঈন।
বই দুটি ব্যাপক সাড়া ফেলেছে উল্লেখ করে কবি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী সজল আহমেদ বলেন, ‘শেষ সময়ে বই দুটি এলেও এর ব্যাপক চাহিদা। আগে থেকে লেখকের সুপরিচিতি থাকায় অনেকে তার বই সংগ্রহ করছে। এরই মধ্যে দুটি বইয়ের প্রায় সব সংখ্যাই বিক্রি হয়ে গেছে।'
লেখক খন্দকার আল মঈন জানান, কর্মক্ষেত্রে শত ব্যস্ততার ফাঁকে বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে সচেতনতামূলক বই দুটি লেখেন তিনি। বই দুটি ব্যাপক সাড়া পাচ্ছে বলে প্রকাশনা সংস্থা জানিয়েছে তাকে। বলেন, ‘ছুটির দিন বুধবার বিকাল থেকে মেলায় ছিলাম। বইপ্রেমীদের ব্যাপক সাড়া দেখেছি। প্রকাশক জানিয়েছে প্রায় সব সংখ্যাই বিক্রি হয়ে গেছে।’
‘মাদকের সাতসতেরো’ বইটি সম্পর্কে জানা গেছে, লেখক র্যাবের মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে মাদক সেবনকারী ও মাদক কারবারিদের সম্পর্কে প্রাপ্ত তথ্য যাচাই-বাছাই ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে তার যে অভিজ্ঞতার সঞ্চার হয়েছে, তারই প্রতিফলন ঘটিয়েছেন বইটিতে। এ ছাড়া মাদকের বাহক হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে দরিদ্র নারী ও শিশুদের। কখনও কখনও বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া তরুণরাও জড়িয়ে যাচ্ছেন। বইটিতে মাদক সেবনের ভয়াবহ ক্ষতিকর প্রভাব এবং মাদক কারবারিদের ভয়ানক ও অন্ধকার রূপের কথা তুলে ধরা হয়েছে। সমাজ থেকে মাদককে সমূলে উৎপাটিত করার রূপরেখাও দিয়েছেন লেখক।
অন্যদিকে ‘কিশোর গ্যাং- কীভাবে এলো, কীভাবে রুখবো’ বইটি সম্পর্কে জানা গেছে, খন্দকার মঈন তার দায়িত্ব পালনের সময় একজন কিশোর কীভাবে অপরাধের দিকে ঝুঁকে পড়ে, তা খুব কাছ থেকে দেখেছেন। নিজের পেশাগত অভিজ্ঞতার ফসল এ বই। তার দায়িত্ব পালনকালে বিভিন্ন কিশোর গ্যাংয়ের উত্থান সংশ্লিষ্ট নানা বিষয় প্রত্যক্ষভাবে পর্যবেক্ষণ ও গবেষণালব্ধ বাস্তব অজ্ঞিতারই প্রতিফলন ঘটিয়েছেন এ বইয়ের লেখায়।
খন্দকার মঈনের কলমে পাঠক দেখতে পারবেন- কিশোর গ্যাং সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য কী সংকট তৈরি করেছে। তবে শুধু সমস্যার বয়ানেই সীমাবদ্ধ থাকেননি লেখক। এই অহেতুক যন্ত্রণা থেকে উত্তরণের জন্য আমাদের করণীয় কী, তা-ও আলোচিত হয়েছে ‘কিশোর গ্যাং- কীভাবে এলো, কীভাবে রুখবো’ গ্রন্থে।