প্রবা
প্রকাশ : ০৮ জুলাই ২০২৩ ১৭:৩১ পিএম
গতকাল শুক্রবার (৭ জুলাই) বিকেল ৪টায় বর্ষার কবিতা পাঠ ও আড্ডা অনুষ্ঠিত হয় কবি রফিক আজাদ প্রাঙ্গণে। ২৩ আষাঢ় ১৪৩০ বঙ্গাব্দের দিনটিতে কবি রফিক আজাদের বর্ষার কবিতা নিয়ে কাটায় কবিরা। কবির দীর্ঘ ৩৫ বছরের স্মৃতি বিজড়িত ধানমণ্ডির সরকারি বাড়িটিতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে প্রেম ও দ্রোহের কবি রফিক আজাদের হাজারো পদচ্ছাপ। ১নং ধানমণ্ডির এই বাড়িতে বসে তিনি রচনা করেছেন অসংখ্য কবিতা। কবির স্মৃতি বিজড়িত এই প্রঙ্গণেই অনুষ্ঠিত হলো বর্ষার কবিতা পাঠের আসর।
বর্ষার কবিতা পাঠের অনুষ্ঠিানে উপস্থিত ছিলেন- কবি রুবী রহমান, জরিনা আখতার, দিলারা হাফিজ, কামাল চৌধুরী, মিনার মনসুর, দিলারা মেজবাহ, নিশাত জাহান রানা, শাহনাজ নাসরীন, জুনান নাশিত, রহিমা আখতার কল্পনা, শান্তা মারিয়া, নভেরা হোসেন, মণিকা চক্রবর্তী, মেঘ অদিতি, জাহানারা পারভীন, আবদুর রব, ওবায়েদ আকাশ, সাকিরা পারভীন, সাবেরা তাবাসসুম, শাহেদ কায়েস, কামরুল হাসান, মামুন রশীদ, ফারাহানা রহমান, তিথি আফরোজ, আসমা সুলতানা শাপলা, সোনিয়া নিশাত আমিন প্রমুখ। এছাড়া কবিতা আবৃত্তি করেন, আবৃত্তিশিল্পী দেওয়ান সাইদুল হাসান ও মাহমুদুল হাকিম তানভীর।
কবি রফিক আজাদের স্মৃতি বিজড়িত বাড়িটিতে কবিতা পাঠের প্রথম ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন কবি ফেরদৌস নাহার,
সাকিরা পারভীন,
সাবেরা তাবাসসুম এবং জুনান নাশিত। তাদের প্রস্তাবেই গত ১১ মার্চ এই প্রঙ্গণে আয়াজিত হয়েছিল বসন্তের কবিতা পাঠ। বর্ষার কবিতা পাঠ ও আড্ডায় আগামীতে কবি শামসুর রহমান স্মরণে একটি কবিতা পাঠের আয়োজন আশাবাদ রাখার পাশাপাশি ঋতুভিত্তিক এবং অন্যান্য কবি-সাহিত্যিকদেরও
স্মরণ করবার ইচ্ছে পোষণ করেন কবি রফিক আজাদ স্মৃতি পর্ষদ।
বর্ষার কবিতা পাঠ পরবর্তী স্মৃতিচারণে কবি রফিক আজাদকে বাংলা কবিতার অন্যতম প্রাণ-পুরুষ হিসেবে আখ্যায়িত করে কবি কামাল চৌধুরী বলেন, তিনি দীর্ঘদিন বাংলা কবিতায় মোড়লের ভূমিকা ছিলেন।
তরুণ কবি,
ভক্ত পাঠকের মনে এভাবেই বেঁচে থাকেন একজন কবি তার কালজয়ী সব পংক্তিমালায় উল্লেখ করে কবিতা পাঠ ও আড্ডা শেষে কবি দিলারা হাফিজ বর্ষার আয়োজনকে মাধুরীময় করে তুলতে উপস্থিত কবিদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন-
ভরসা রাখি কবি,
কবিতা প্রেমী,
ভক্ত,
পাঠককূল এভাবে আমাদের সঙ্গে থেকে,
পাশে থেকে অনুপ্রেরণা দেবেন।