প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৯ মে ২০২৩ ১৬:৫৪ পিএম
আপডেট : ১৯ মে ২০২৩ ১৭:০২ পিএম
পেন আমেরিকার বার্ষিক নৈশভোজে কথা বলছেন সালমান রুশদি। ১৮ মে নিউইয়র্কে। ছবি : সংগৃহীত
সালমান রুশদি ৯ মাস আগে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতের শিকার হন। এরপর বৃহস্পতিবার (১৮ মে) প্রথমবারের মতো জনসম্মুখে আসেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী এই ঔপন্যাসিক।
বৃহস্পতিবার রাতে নিউইয়র্কে নিজেদের প্রধান কার্যালয়ে সাহিত্যবিষয়ক সংগঠন পেন আমেরিকা বার্ষিক নৈশভোজের আয়োজন করেন। এতে কয়েক মিনিট কথা বলেন সালমান রুশদি।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম পলিটিকো জানায়, সালমান রুশদি বলেছেন, এই নৈশভোজে যোগ দিতে পেরে আমার অসম্ভব ভালো লাগছে। পেন আমেরিকার সঙ্গে আমার সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। লেখক ও বইপ্রিয় মানুষদের মধ্যে উপস্থিত হতে পেরে আমি অত্যন্ত খুশি।
পেন আমেরিকার একসময়কার প্রেসিডেন্ট রুশদি বৃহস্পতিবার কথা বলার সময় একটি কলারবিহীন কালো জ্যাকেট এবং ম্যাচিং প্যান্ট পরা ছিলেন। ৭৫ বছর বয়সি এই লেখককে কিছুটা বিষণ্ন মনে হলেও আত্মশক্তিতে ভরপুর মনে হয়েছে।
গত আগস্টে পশ্চিম নিউইয়র্কের চৌতাকুয়া ইনস্টিটিউশনে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন রুশদি। বক্তৃতা শুরুর কিছুক্ষণ পর দর্শক সারি থেকে হাদি মাতার নামের এক তরুণ দৌড়ে গিয়ে রুশদির চোখে-মুখে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করতে থাকেন।
আঘাতে ডান চোখের দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন রুশদি। তা ছাড়া এখন হাতে লিখতেও তার সমস্যা হয়।
হাদি মাতার বর্তমানে আটক রয়েছেন। তার বিচার চলছে। তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন।
১৯৮৮ সালে রুশদির দ্য স্যাটানিক ভার্সেস নামের বহুল আলোচিত উপন্যাসটি বের হয়। এতে হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে অবমাননা করা হয়েছে, এমন অভিযোগে ১৯৮৯ সালে রুশদিকে হত্যার জন্য ফতোয়া জারি করেন ইরানের তৎকালীন সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনি।
এরপর রুশদির ওপর বেশ কয়েকবার হামলা হয়। এ অবস্থায় দীর্ঘসময়ের জন্য আত্মগোপনে চলে যান রুশদি।
একসময় যুক্তরাজ্যের নাগরিক থাকলেও বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব নিয়ে নিউইয়র্কে বসবাস করছেন রুশদি। গত ফেব্রুয়ারিতে তার ১৫তম উপন্যাস ভিক্টরি সিটি বের হয়েছে।
সূত্র : পলিটিকো