প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৬:১২ পিএম
আপডেট : ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৭:১২ পিএম
জনপ্রিয় শিশুতোষ অনুষ্ঠান সিসিমপুরের চরিত্ররা। ফাইল ফটো
অমর একুশে বইমেলার তৃতীয় দিন আজ। ছুটির দিনে বইমেলায় শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ছিল প্রথম শিশুপ্রহর। ছুটির ফুরসতে এদিন শিশুদের নিয়ে পছন্দের বইয়ের খোঁজে মেলায় আসেন বাবা-মায়েরা।
প্রতিবারই বইমেলায় অন্যতম একটি আয়োজন শিশুপ্রহর। বইমেলা চলাকালে শুক্র ও শনিবার আয়োজন করা হয় শিশুপ্রহরের।
গ্রন্থমেলার শিশু কর্নার ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন বয়সি শিশু স্টল ঘুরে ঘুরে বইয়ের পাতা উল্টে নিজেদের পছন্দের বই খুঁজছে। স্টলের পাশে থাকা কয়েকটি খেলাধুলার স্পটে তাদের মধ্যে বেশ উচ্ছ্বাস লক্ষ করা গেছে।
শিশুপ্রহরে কথা হয় বই কিনতে আসা মুন্সীগঞ্জের প্রেসিডেন্সি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী শিথিল আহমদের সঙ্গে। সে জানায়, গত বছরের মতো এবারও মায়ের সঙ্গে একুশে গ্রন্থমেলায় বই কিনতে এসেছে। বিজ্ঞান এবং ছোটদের গল্পের বই পড়তে তার ভীষণ পছন্দ। তাই প্রথম দিনই সে সিসিমপুরের বেশ কিছু বই সংগ্রহ করেছে।
শিশুপ্রহরের মূল আকর্ষণ সিসিমপুরের চরিত্র ইকরি, শিকু, হালুম ও টুকটুকিরা। শুক্রবার সকাল পেরিয়ে দুপুর হলেও যখন এরা কেউ এলো না, অপেক্ষারত শিশুদের মন তখন বেজায় ভারী। দুপুর ১২টার দিকে বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে জানানো হয়, এখনই আসছে না সিসিমপুরের চরিত্ররা।
রাজধানীর বসিলা থেকে দুই সন্তানকে নিয়ে এসেছিলেন রহিমা ও কাকলী দম্পতি। তারা বলেন, ‘আমাদের শিশুদের বায়না ছিল তারা হালুমের সঙ্গে ছবি তুলবে, খেলবে। তাই প্রথম শিশুপ্রহরেই তাদের নিয়ে মেলায় এসেছি। মেলায় এসে হতাশ হলাম।’
শিশুচত্বরের পাশের বেঞ্চিতে কিছুটা মন খারাপ করে বসে থাকতে দেখা যায় নামিরা নামে পাঁচ বছরের এক শিশুকে। জিজ্ঞেস করতেই জানা যায়, মেলায় হালুম-শিকুরা না আসায় তার মন একটু খারাপ। তবে সে অপেক্ষা করছে।
পরে শুক্রবার বিকাল ৩টায় শিশুপ্রহরের উদ্বোধন করেন কথাসাহিত্যিক, বিজ্ঞান কল্পকাহিনি লেখক, পদার্থবিদ ও শিক্ষাবিদ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও বাংলা একাডেমির সদস্য সচিব কেএম মুজাহিদুল ইসলাম।
সিসিমপুরের স্টল ইনচার্জ সজীব জানান, ফেব্রুয়ারিজুড়ে প্রতিদিন বেলা সাড়ে ১১টা, বিকাল সাড়ে ৩টা ও সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় মোট তিনটি প্রহর হবে। এ ছাড়া শিশুদের জন্য বিভিন্ন ধরনের খেলা, কুইজ, চিত্রাঙ্কন থাকবে।