× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

ইউলেসিসের একশ বছর

আবদুস সেলিম

প্রকাশ : ১৯ জুন ২০২২ ২১:১৬ পিএম

’ইউলিসিস’ প্রথম সংস্করণের প্রচ্ছদ

’ইউলিসিস’ প্রথম সংস্করণের প্রচ্ছদ

বিশ্বের শ্রেষ্ঠ দশটি উপন্যাসের তালিকায় অনিবার্যভাবে জেমস অগাস্টিন জয়েসের (১৮৮২-১৯৪১) ইউলিসিস অন্তর্ভুক্ত হয়ে আসছে আজ প্রায় একশ বছর ধরে। অর্থাৎ ১৯২২ সালে উপন্যাসটি প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই- যদিও এ উপন্যাস রচনার সূচনা সেই ১৯১৪ সাল থেকেই, প্রথমে ছোটগল্প হিসেবে এবং পরবর্তী সময়ে উপন্যাস রূপে। কিন্তু এ কথাও সত্যি এই উপন্যাসটি বিশ্বের দুর্বোধ্যতম উপন্যাস বলেই গণ্য হয়েছে শুধু অন্যান্য ভাষাভাষী পাঠকদের কাছেই নয়, স্বয়ং যে ভাষায় উপন্যাসটি রচিত সেই ইংরেজি ভাষাভাষীদের প্রায় পঞ্চাশ শতাংশেরও বেশি পাঠকের কাছে। এটি সর্বস্বীকৃতভাবে একটি অগম্য উপন্যাস। এমনকি লেখকের সমসাময়িক এবং স্বদেশী, বিখ্যাত কবি, উইলিয়াম বাটলার ইয়েটসও (১৮৬৫-১৯৩৯)- দুজনই আইরিশ- এই উপন্যাসটি পড়ে শেষ করতে পারেননি বলে কথিত আছে এর ভাষা, জটিল রচনাশৈলী, পরোক্ষ উল্লেখের ( allusion) বাধাহীন পর্যাপ্ততা এবং সর্বোপরি লেখকের গল্প রচনার কৌশলী ও পদ্ধতি- সাহিত্য জগতে জয়েসের এক অনন্য চারিত্র- যাকে আমরা চেতনাপ্রবাহ বা stream of consciousness বলে জানি, এসব কিছুর কারণে। তবুও কেন এ উপন্যাস শ্রেষ্ঠত্বের তালিকায়। 

এর অন্যতম কারণ এই অসাধারণ উপন্যাসে একাধারে সংমিশ্রিত হয়েছে পুরাণ, প্রতীক, একাধিক জাগতিক, মহাজাগতিক, ধর্মীয় দর্শন, সামাজিক বাস্তবতা এবং সর্বোপরি মনুষ্যধর্ম- বিশেষ করে মধ্যবিত্ত মানুষের মনমানসিকতা, তাদের ব্যর্থতা, তাদের স্পর্শকাতরতা, প্রগলভতা, ন্যায়-অন্যায়ের দ্বান্দ্বিকতা, হতাশা, রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় আশাভঙ্গ ইত্যাকার বিষয় একটি মহাকাব্যিক মোড়কে। ফলে উপন্যাসটি সর্বঅর্থে আধুনিকতার প্রাজননিক সাহিত্য, যেটি নিঃসন্দেহে বিশ্বসাহিত্যের সকল সীমারেখাকে অতিক্রম করে এক নতুন জনরার বা শিল্পরীতির জন্ম দিয়েছে। অনেক সাহিত্যামোদীই এই উপন্যাসকে চিহ্নিত করেছেন ‘অননুকরণীয় এবং অপ্রকৃতিস্থ’ শিল্পকর্ম রূপে। প্রসঙ্গত সমসাময়িক আর এক কবি- যিনি জয়েসের মতোই পরোক্ষ উল্লেখের ( allusion) প্রতি প্রায় অপ্রকৃতিস্থভাবে আকর্ষণ বোধ করতেন, তাঁর কবিতা রচনায়- সেই টমাস স্টার্ন্স এলিয়টের (১৮৮৮-১৯৬৫) ইউলেসিস সম্বন্ধে একটি বক্তব্য এমন ছিল : আমি এই গ্রন্থটিকে বর্তমান সময়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অভিব্যক্তি বলে গণ্য করি : এটি এমন একটি উপন্যাস যার প্রতি আমরা সবাই আকর্ণ ঋণী, যার প্রভাব থেকে আমাদের পরিত্রাণের কোনো উপায় নেই। 

ইউলেসিসকে চিহ্নিত করা হয় বিশ্বসাহিত্যের চূড়ান্ত আভিজাত্যের মাত্রা স্পর্শ করা উপন্যাস হিসেবে। বিদগ্ধজনেরা মনে করেন ১৯০৪ সালের ১৬ জুন- যে দিনটিকে এখনো ডাবলিন শহরে জয়েসের এই উপন্যাসের অন্যতম চরিত্র ‘ব্লুম’-এর নামানুসারে প্রতি বছর ‘ব্লুমসডে’ বলে পালন করা হয়- ডাবলিন শহরের অতি সাধারণ কয়েকজন নরনারীর একদিনের অতি সাধারণ নিত্যকর্ম নিয়ে এমন বিশাল একটি উপন্যাস তার আনুষঙ্গিক জটিলতাসহ পড়ে শেষ করার দাবি যে ব্যক্তি করতে পারেন, তিনি নিশ্চিতভাবে জ্ঞানজগতের একজন অভিজাত যাত্রী। তবে এটাই উপন্যাসের একক গুরুত্বের মাপকাঠি নয়। এর সঙ্গে সংযুক্ত হয়েছে যে শ্রেষ্ঠতম সাহিত্য-উপাদান তা হলো : সেই ঊনবিংশ শতাব্দী থেকেই উপন্যাসে জেন অস্টিন থেকে শুরু করে জর্জ এলিয়ট; গুস্তাভ ফ্লেবেয়ার থেকে আন্তন চেখভ যে প্রচেষ্টা চালিয়েছিলেন, অর্থাৎ সাদামাটা মানুষদের জীবন নিয়ে অসাধারণ গল্প রচনা-প্রচেষ্টা, তারই চূড়ান্ত রূপ বিংশ শতাব্দীর প্রারম্ভে রচিত ‘ইউলেসিস’। কারণটা হলো প্রাথমিকভাবে, এ উপন্যাস হোমারের ইউলেসিসের আদলে লেখা, যে বিশাল মহাকাব্যে আমরা পাই দেবদেবীদের অমোঘ উপস্থিতিতে এবং প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ নিয়ন্ত্রণে রাজা-রাজড়া, যোদ্ধাদের অসীম বীরত্ব, ভালোবাসা, পরকীয়া, প্রবঞ্চনা, অসত্য কথন, কপটতা, ভোগবিলাস, প্রলোভনের আখ্যান ঠিক তেমনি সাধারণ মানব চরিত্রের অস্তিত্বের সংগ্রাম, ধর্ম ও রাজনীতির বেসাতী, যৌনতা, মিথ্যা, বিলাসিতা, ঔদরিকতা এবং কপটতার প্রতি আকর্ষণের মনস্তাত্ত্বিক যাত্রার গল্প। সেই রেনেসাঁ যুগে হিস্পানি লেখক মিগুয়েল দে সেরভান্তেস তাঁর ডন কিহতে (ডন কুইকজোট) উপন্যাসের মাধ্যমে নাইটদের ব্যঙ্গ করে প্রথাবিরুদ্ধভাবে একজন সাধারণ মানুষের বোধোদয়ের গল্প লিখেছিলেন, সেই ঢাল-তলোয়ারহীন দরিদ্র কল্পিত নাইট ডন কিহতের জয়ধ্বজা পুতেছেন জয়েস তাঁর ইউলেসিস রচনার মাধ্যমে বিংশ শতাব্দীর প্রারম্ভে। এ যাত্রা সর্ববিচারে অনন্য।

জয়েসের গল্প রচনার নতুন পদ্ধতি, যা সাহিত্য জগতে প্রায় তারই একান্ত- যাকে আমরা চেতনা-প্রবাহ বা stream of consciousness বলে জানি, ‘ইউলেসিস’-কে এক আধুনিক মাত্রা দিয়েছে। যদিও আমার মনে পড়ে বাংলা সাহিত্যে কমল কুমার মজুমদার, ধুর্ঝটিপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় এবং অতিসম্প্রতি বাংলাদেশে আখতারুজ্জামান ইলিয়াস চেতনাপ্রবাহ নিরীক্ষায় তাদের উপন্যাস রচনায় সচেষ্ট হয়েছিলেন, কিন্তু সেই জনেরা বাংলা সাহিত্যে কখনোই তেমন সচল এবং স্থায়ী হয়নি এবং এই রীতিতে ‘ইউলেসিস’-এর মতো সফল কোনো উপন্যাস বাংলায় রচিতও হয়নি- যদিও আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ‘খোয়াবনামা’ বাংলা ভাষায় রচিত চেতনা-প্রবাহ উপন্যাসের শ্রেষ্ঠ উদাহরণ। উপন্যাস রচনায় যদিও ডরোথি রিচার্ডসন (১৮৭৩-১৯৫৭) প্রথম চেতনা-প্রবাহের ব্যবহার করেন। তবে জেমস জয়েসই এই ধারার অর্থপূর্ণ ব্যবহার করেছেন তাঁর অধিকাংশ উপন্যাসে, বিশেষ করে ‘আ পোর্ট্রেট অব দ্য আর্টিস্ট অ্যাজ এ ইয়াংম্যান’ এবং ‘ইউলেসিস’-এ।

‘ইউলেসিস’ অনুধাবনের সংকটটা শুধু চেতনা-প্রবাহের ভেতরই সীমাবদ্ধ নয়, এর নানাবিধ সমস্যার মধ্যে অন্যতম, পরোক্ষ উল্লেখের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার যার ভেতর রয়েছে, রোমান ক্যাথলিক এবং অ্যাপোস্টলিক চার্চের বাড়াবাড়ির সংকট এবং বিভিন্ন খ্রিষ্টীয় বিধিনিষেধ ও আচার-আচরণের পারস্পরিক সংঘাত যা জয়েসের সময়ে সমসাময়িক ছিল এবং সর্বোপরি ইংল্যান্ড ও আইরিশ রাজনীতির জটিল মিথ্যাচার (আসলে ইংরেজরা আয়ারল্যান্ড দখল করেছিল এক কপট মিথ্যাচার রাজনীতির মাধ্যমেই) ও অবিশ্বাস। এই বিষয়টি যেমন উইলিয়ম বাটলার ইয়েটস তাঁর অনেক কাব্যে ব্যাবহার করেছেন স্মৃতিবেদনাতুরভাবে তেমনি জয়েস তাঁর একাধিক উপন্যাস এবং গল্পে বারবার ব্যবহার করেছেন তাঁর প্রিয় চেতনা-প্রবাহের মাধ্যমে।

সত্যি বলতে কি ইউলেসিস উপন্যাস প্রকাশিত হবার পর ইংরেজি উপন্যাস রচনায় এক বিপ্লব ঘটে যায়। তদানীন্তন সময়ে ডরোথি রিচার্ডসনÑযার কথা আগেই উল্লেখ করেছি- সেরউড অ্যান্ডারসন প্রমুখ চেতনা-প্রবাহের মাধ্যমে সাধারণ মানুষদের নিয়ে, তাদের জীবযাপন নিয়ে এমন আরও উপন্যাস রচনায় উৎসাহী হন কিন্তু ‘ইউলেসিস’ যে শীর্ষচূড়া স্পর্শ করতে পেরেছে সেই স্থানে কেউই পৌঁছাতে পারেনি। এ এক আশ্চর্য ঘটনা যে মহাকাব্যের বিশালতায় রচিত (অধিকাংশ মুদ্রিত গ্রন্থের পৃষ্ঠাসংখ্যা আটশত), তাও চব্বিশ ঘণ্টার কম সময়ের ব্যাপ্তিকালে সংঘটিত (সকাল আটটা থেকে শুরু করে পরদিন ভোর পর্যন্ত) অত্যন্ত সাধারণ লব-কুশদের বিনত জীবনযাপনের ব্যঙ্গাত্মক ঘটনাবলি-আকীর্ণ অথচ সেই সাধারণের পরিপ্রেক্ষিতে অসাধারণ উচ্চমার্গীয় ইতিহাস, রাজনীতি, দর্শন, ধর্মীয় তত্ত্বের সাদৃশ্য বিশ্লেষণ এবং তারই সংমিশ্রণে সৃষ্ট একটি উপন্যাস আজ এক শত বছর ধরে শ্রেষ্ঠ উপন্যাসের বিশ্বতালিকায় আসন গেড়ে বসে আছে।       

 উপন্যাসটি তিনটি মূল ভাগে ভাগ করা এবং সব মিলিয়ে মোট আঠারোটি পরিচ্ছেদে বিন্যস্ত- প্রথম ভাগে তিনটি, দ্বিতীয় ভাগে বারোটি এবং তৃতীয় ভাগে তিনটি পরিচ্ছেদ রয়েছে। কিন্তু সবচেয়ে উল্লেখ্য, বিষয়টি হলো উপন্যাসের বিন্যাস হোমারের ‘দ্য ওডেসি’ মহাকাব্যের অনুকরণে। তিন ভাগে বিভক্ত উপন্যাসের আঠারোটি পরিচ্ছেদের শিরোনাম না দিলেও জয়েস এগুলোকে সংগঠিত করেছেন আঠারোটি হোমারিও বিন্যাসে : প্রথম ভাগ ‘দ্য টেলেমাকিয়াদ’-এ রয়েছে টেলেমেকাস, নেস্টর এবং প্রোটিওস; দ্বিতীয় ভাগ ‘দ্য ওয়ান্ডারিংস অব ইউলেসিস’-এ আছে ক্যালিপসো, লোটাস-ইটার, হেইডিস, এওলস, লেস্ট্রাইগনিয়ান্স, সিলা অ্যান্ড ক্যারিবডিস, সাইরেনস, সাইক্লপস, নসিকা, অক্সেন অব দ্য সান, সার্সি; তৃতীয় ভাগ ‘দ্য হোমকামিং’-এ আছে ইউমিএস, ইথাকা, এবং পেনেলোপে। আঠারোটি পরিচ্ছেদের বিষয়বস্তু হোমারের মহাকাব্যের মতো হুবহু একই কিন্তু উত্তর-আধুনিকতায় রূপান্তরিত। জেমস জয়েস একাধিক ভাষা জানতেনÑলাতিন, ইতালিও, ফরাসি, জর্মন ও নরওয়েজিও। ফলে এই উপন্যাসে প্রতুল পরিমাণে বাইবেল, মূল ওডেসি, ইতালিও, লাতিন, ফরাসি ও জর্মন উদ্ধৃতি রয়েছে যার বোধশক্তিসম্পন্ন পরিপ্রেক্ষিত বিচার সহজ নয়। শুধু তাই নয়, এই উদ্ধৃতিগুলোর সাথে ধর্মীয়, রাজনৈতিক, ঐতিহাসিক, দার্শনিক এবং গল্পের আনুক্রমিক সামঞ্জস্য অনুধাবন করে পাঠ করা এবং উপভোগ করা সুকঠিন। বিশেষ, এটি একটি এমন উপন্যাস যা খোদ ইংরেজি ভাষাভাষীর কাছেও সহজবোধ্য নয়। বাস্তবতা হলো, এই উপন্যাসের বিভিন্ন বিস্তৃত টিকাভাষ্য রয়েছে একাধিক খ্যাতিমান সাহিত্যানুরাগী এবং সমালোচকদের এবং সেগুলোর প্রতিটিই প্রায় ওই মূল উপন্যাসের সমান। আমার নিজের কাছেই এমন টিকাটিপ্পনির মুদ্রিত পাঁচটি গ্রন্থ আছে। এসব টিকাভাষ্য পাঠ করে একটি উপন্যাস বোঝার চেষ্টা করা বিড়ম্বনারই শামিল- যার জন্য সমালোচক এবং অগ্রসর অনেক পাঠকই প্রাথমিকভাবে মন্তব্য করেছিলেন উপন্যাসটি একজন বিকৃতমনা, উন্মাদের রচনা। উল্লেখ্য, ১৯২২ সালে বইটি মুদ্রণের আগেই মার্কিন পত্রিকায় তার কয়েকটি প্রকাশিত অংশ পাঠ করে কিছু সনাতন মানসিকতার পাঠক সেগুলোতে অগ্নিসংযোগ করে এবং এরই ফলে ইউলেসিস ১৯২০ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এবং ১৯২৯ সালে যুক্তরাজ্যে নিষিদ্ধ হয়। তবে সম্ভবত বছর দুয়েক পরে এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারও করা হয়।  

জানা মতে, ইউলেসিস এ পর্যন্ত সব ইউরোপীয় ভাষায়ই অনূদিত হয়েছে। উপন্যাসটির জাপানি এবং চীনা ভাষান্তরের বিষয়টিও জানা, তবে ভারতীয় কোনো ভাষায় এটি অনুবাদ হয়েছে কিনা সন্দেহ। বাংলায় ইউলেসিস দুই বাংলার কোথাও অনুবাদ হয়নি। এর অন্যতম কারণ এর দুর্বোধ্যতা এবং এই দুই দেশে ইউলেসিসের ওপর পর্যাপ্ত টিকাভাষ্যের অপ্রতুলতা। বাংলায় এমন একটি উপন্যাসের প্রমিত ভাষান্তর আমাদের বাংলাদেশের বিদগ্ধ পাঠকদের যেমন একটি মহান সাহিত্যকর্মের সাথে পরিচিত করতে সক্ষম হবে, তেমনি আমাদের ঔপন্যাসিকদের রচনাশৈলীকেও সমৃদ্ধ করতে সহায়ক হবে বলে আমি দৃঢ় বিশ্বাস করি।  


লেখক : অধ্যাপক, ইংরেজি বিভাগ, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, অনুবাদক 

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা