প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৮:৫০ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
প্রাণের বইমেলা শেষ হতে আর মাত্র একদিন বাকি। ২৬তম দিনে দেখা গেল মেলা শেষের আবহ। বুধবার কর্মদিবস হওয়ায় বিকেল তিনটা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সময়সীমা। বইও বিক্রি হয়েছে অন্যান্যদিনের তুলনায় বেশি।
বেচা-বিক্রি ও সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে মেলায় অংশ নেওয়া বিভিন্ন প্রকাশনা সংস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এবার মেলাটা ঠিক বইমেলা হচ্ছে না; যা হচ্ছে তা বারোয়ারি মেলা বলা যায়। মেলায় সুচ-ক্লিপ-চুরি থেকে শুরু চটপটি-ফুসকা-পিয়াজো-সিঙ্গাড়া সব পাওয়া যাচ্ছে- মেলার সব জায়গায়। মেলা শেষ হবে শুক্রবার। এই সময়েও মেলায় বই বিক্রির চেয়ে বায়োয়ারি পণ্যের ব্যবসা রমরমা।
মেলায় অংশ নেওয়া প্রকাশনা সংস্থা ‘অভ্র প্রকাশ’-এর কর্ণধর সমা খান প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, এবার এটা বইমেলা হচ্ছে না কি হচ্ছে- মেলার শুরু থেকে বুঝে উঠতে পারছি না। মেলায় শুধু আসা আর যাওয়ার মাঝেই আছি। মেলাটা শেষ হলেই বাঁচি। কেননা, মেলাটা শেষ হলেই আসা-যাওয়ার ভাড়া এবং সময়ক্ষেপণ হয় তা থেকে মুক্তি পাবো।
তিনি মেলার আয়োজক প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমির প্রতি বলেন, বাংলা একাডেমি এবারের মেলাটাকে একেবারে বারোয়ারি পণ্যে মেলা বানিয়ে ছেড়েছে। বইমেলার যে চেতনা; না এটা কোনভাবেই ‘অমর একুশের চেতনা’ নয়! মেলার আয়োজন দেখে বলতে বাধ্য হচ্ছি যে- ‘অমর একুশে চেতনা’ এখনকার বাংলা একাডেমির কেউ-ই বোঝেই না! যদি বুঝতো তাহলে- মেলায় চুরি-হালামালা থেকে শুরু করে স্ট্রিটফুডের দোকানের সমাহার ঘটতো না। আর যদি তারা (বইমেলার আয়োজনের সঙ্গে জড়িতরা) ‘একুশে চেতনা’ বোঝে বলে মনে করে তাহলে এখনও সময় আছে মেলার নাম পরিবর্তন করুক! প্রকাশকদের সহযোগিতায় বাংলা একাডেমি আয়োজিত এবারের প্রাণেরমেলা ‘অমর একুশে বইমেলা’র নাম দেওয়া হোক ‘বারোয়ারি মেলা’; এটা সমীচিন। সত্যিই এবার বইমেলা হচ্ছে না, হচ্ছে বারোয়ারি পণ্যের মেলা।